দুর্ধর্ষ জয়ের মাধ্যমে প্লে-অফে জায়গা করে নিলো গুজরাট!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল ম্যাচের ১২ তম ম্যাচ ছিল গুজরাট আর দিল্লির মধ্যে। মোট ৬০ খানা ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত মজবুত অবস্থানে আছে এই গুজরাট, যাদের প্রত্যেক প্লেয়ারের পারফরম্যান্স অতুলনীয় প্রথম থেকে। বিশেষ করে গিল আর সাই সুদর্শনের ওপেনিং জুটি ডেঞ্জেরাস বিপরীত যেকোনো টিমের জন্য যদি একবার ভালোমতো সেট হয়ে যায়। তো গতকালকের এই ম্যাচে গুজরাট টসে জিতে পরে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এমনিতে দিল্লীর এই পিচটা ছিল ব্যাটিং পিচ, ফলে চেজ এর জন্য একদম পারফেক্ট পিচ। এটা দিল্লী হলেও তাই করতো।
তো সে যাই হোক, দিল্লী ব্যাটিং করতে নেমে হতাশামূলক কোনো ব্যাটিং করেনি, যদিও ডু প্লেসিস খেলতে পারেনি, আউট হয়ে গিয়েছিলো এসেই। কিন্তু বাস্তবে আসলে সেইরকম কোনো ঘাটতি পড়তে দেখা যায়নি। কোন রাহুল ওপাশে দাঁড়িয়ে ছিল, কঠোর হাতে একাই যেন দায়িত্ব নিয়ে খেলে গিয়েছিলো। পোড়েল পরে আসলেও সে কম বলে যথেষ্ট ভালো খেলে গিয়েছিলো, তবে ম্যাচের কর্ণধার রাহুল, একাই বেশিটাই খেলে গিয়েছিলো। মাত্র ৩ টি উইকেট পড়েছে, তার মধ্যে রান ছিল ৫৫-৭০ রান বাকিদের। আর বাকি রান একার ব্যক্তিগত রাহুলের। এমনিতেও রানের গতি আর পিচের কন্ডিশন দেখে মনে করা যাচ্ছিলো যে, ২০০ রান হয়ে যাবে।
আর এমনিতেও রাহুল যেভাবে ধরে খেলে যাচ্ছিলো, তাতে তো আরো বিষয়টা পরিষ্কার হওয়া গিয়েছিলো যে, রাহুল শেষ অব্দি থেকে গেলে রান নিঃসন্দেহে ২০০ হয়ে যাবে। দিল্লী বেশ ভালোই একটা রানের বোঝা তৈরি করে দিয়েছিলো গুজরাটের সামনে। ব্যাটিং পিচ হলেও ২০০ রান একটু সমস্যা হয়ে যায়, বিশেষ করে যদি লাস্ট পর্যায়ে ব্যাটিং বিপর্যস্ত দেখা দেয়, তাহলে তো আর কথা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটা জিনিস দেখা যায় যে, এই বেশি রান তাড়া করতে গিয়ে অনেক সময়ে রান উঠলেও উইকেট টিকে থাকে না। তো যাইহোক, গুজরাট আসলে এই রান চেজের ক্ষেত্রে উত্তম জবাব দিয়েছে।
শুরুতে একটা কথা বলেছি যে, এদের ওপেনিং জুটি এতটাই স্ট্রং যে, যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে শুরুতেই। এই ম্যাচগুলোতে তো আসলে শুরুতেই ম্যাচের অবস্থান নির্ধারণ হয়ে যায় যে, শেষ অব্দি কি হতে পারে। বর্তমানে আইপিএল এর যতগুলো ম্যাচ হয়েছে গুজরাটের, ম্যাক্সিমাম ম্যাচে সাই সুদর্শনের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ ম্যাচ পারফরম্যান্স ছিল। এক কথায় বলা যায় যে, এদের ওপেনিং জুটি যেকোনো কিছু করতে পারে। আর বর্তমানে গিলের খেলা বা ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কোনো কথা বলার জায়গা নেই, একদম নিখুঁত যাকে বলে। তো যাইহোক, শুরুতেই হাই ভোল্টেজ ছিল সাই সুদর্শনের, প্রতি ওভারেই ১২+ রান রেট। গিল পরে শুরু করলেও সুদর্শন স্ট্রাইক নিয়ে বেশি খেলে গিয়েছে। গিল একজন ঠান্ডা মাথার প্লেয়ার, ম্যাচটাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করে নিয়ে যেতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা ভালোভাবে রপ্ত করেছে।
কঠিন পর্যায়েও সে একাই লড়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে গিয়েছে কয়েকটা ম্যাচে। এই ম্যাচে একদম দুইজনেই বাজিমাত করেছে, কোনো উইকেট হারাতে হয়নি, দুইজনেই ২০০ রান চেজ করে ফেলেছে, তাও আবার ১ ওভার বাকি থাকতে। তবে গিল সেঞ্চুরি করতে পারেনি, ৭ রান বাকি ছিল। সুদর্শনের সেঞ্চুরিটা হয়ে গিয়েছিলো। বেশ সুন্দর একটা হাই ভোল্টেজ ম্যাচ দেখলাম চেজের ক্ষেত্রে। যদিও এইরকম খুব রেয়ার দেখা যায়। এর আগেও একবার ২৫০ রানের চেজে এইরকম ঘটনা ঘটেছিলো। গুজরাট অলরেডি কোয়ালিফাই করে ফেলেছে এই ম্যাচে জেতার সাথে সাথে। ফাইনালে তো যাবে তারা এটা ৯০% প্রেডিকশন করতে পারি যে, তারা যাবেই। এখন দেখা যাক কি হয়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.