ওয়েব সিরিজ রিভিউ: তাকদীর ( পর্ব ১ )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সামনে একটা নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ দেব। এই ওয়েব সিরিজটির নাম 'তাকদীর'। এটি একটি বাংলাদেশী ওয়েব সিরিজ, তবে এই সিরিজটা অনেক জনপ্রিয় স্থান করে নিয়েছে হৈচৈ প্লাটফর্ম এ। আমিও এটা দেখেছি এবং খুবই ভালো লেগেছে এই সিরিজটা। যাইহোক, আমি এটাকে পর্ব আকারে রিভিউ দেব। এর প্রথম পর্বের নাম হলো "Rashatal "। এই পর্বে দেখবো কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
তাকদীর
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
Rashatal
পরিচালকের নাম
সৈয়দ আহমদ শওকী
অভিনয়
চঞ্চল চৌধুরী, মনোজ কুমার প্রামাণিক, সানজিদা প্রীতি, সোহেল মন্ডল ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২৪ মিনিট ( প্রথম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
বাংলাদেশ


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এখানে শুরুতে আফসানা নামক একটা মেয়েকে কেউ একজনকে ইন্টারভিউ নিতে দেখা যায়, সম্ভবত কোনো সাংবাদিক হবে। সাধারণত মেয়েটার সাথে কিছু লোকজন মিলে অত্যাচার করেছিল যার স্টেটমেন্ট নিচ্ছিলো। এরপরে দেখা যায় চঞ্চল একটা লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ি নিয়ে একটা লাশ কবর স্থানে নিয়ে যায়। আর এটাই তার মূলত কাজ অর্থাৎ ড্রাইভারের কাজ। কোনো মৃত ব্যক্তিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া, যেমনটা সেই বাড়ির লোকজন বলবে সেখানে নিয়ে যেতে হবে। তো সেই লাশ কবর দেওয়া হয়ে গেলে সেখান থেকে মাছের আড়তে চলে যায়, এর পাশাপাশি আবার সে লাশবাহী গাড়িতে করে মাছের ব্যবসাও করে। মাছের আড়ত থেকে অনেক মাছ নিয়ে রাতের দিকে ফেরি পার হয়ে শহরের দিকে যায় এবং যার কাছে মাছ পৌঁছিয়ে দেওয়ার কথা তাকে দিয়ে দেয়। তবে এখানে আরেকটা ঘটনা ঘটেছে, সেটা হলো যখন চঞ্চল ভোরের দিকে এসে গাড়ি থামায় তখন সে পিছনে এসে দেখতে পায় গাড়ির লক খোলা আছে, আর সেটা দেখে একটু ভয় পেয়ে যায়, প্রথমত সে তো ভাবে যে কেউ গাড়ির থেকে মাছ সরিয়ে নেয়নি তো!


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

কিন্তু দেখে সব ঠিকঠাক আছে, বরং তার থেকে আরো ভয়ানক কাহিনী ঘটেছে অর্থাৎ ওই রাতেই কেউ একজন একটা মেয়ের লাশ তার গাড়িতে তুলে দেয়। আর এই অচেনা একটা মেয়ের লাশ দেখে আসলে সবারই অবস্থা খারাপ হওয়ার মতো তারও গলা শুকিয়ে যায়। যদি পুলিশ ধরে তাহলে বিপদের শেষ থাকবে না, কারণ কার লাশ কথার থেকে এলো তার কোনো প্রমান নেই। এরপর মাছ সব নামিয়ে দিয়ে আবার সেই লাশ নিয়ে টেনশন অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে, আর যেখান থেকে মাছ তুলেছিল তাদের এই কাজ কিনা সেটাও ভাবতে থাকে। এর মধ্যে গাড়ির মালিক আবার ফোন করে এবং আরেকটা লাশ নিয়ে যেতে হবে বলে জানায়। কিন্তু সে যেতে চায় না এই অবস্থায়, কিন্তু জড়াজড়ি করে। এই গাড়িটা আবার তার নিজস্ব না, ভাড়ায় চালায় ফলে মালিক যা বলবে তাই করতে হবে, না যেতে চাইলে আরেকজনকে পাঠাবে। কিন্তু এখানে আরেকজন গেলে তো আরো ঝামেলায় পড়বে, কারণ গাড়িতে লাশ পড়ে আছে একটা। মালিক যদিও গাড়ি চেক করতে আসে, কিন্তু চঞ্চল বাধ্য হয়ে গাড়ি নিয়ে তার দেওয়া বরিশালে সেই লাশ আনতে যাওয়ার জন্য রাজি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তবে এই লাশটা সে আসতে আসতে ভাবে, ময়লা আবর্জনার মধ্যে কোথাও ফেলে দেবে। আর সেইভাবে রাস্তার পাশে যায়েও, কিন্তু সাহস পায় না, আর লোকজনও সেখানে আছে। এর মধ্যে তার কাছে একটা আননোন নম্বর থেকে কল আসে, আর এই ব্যাক্তিটা জানে যে তার গাড়িতে লাশ আছে ওই মেয়ের, আর তার সম্পর্কে সব ডিটেইলসও জানে। এখন ওই ব্যক্তি এই লাশ এই মুহূর্তে নিতেও চায় না, তার গাড়িতে ওইভাবে রেখে দিতে বলে। আর চঞ্চলের তো এদিকে এই লাশের টেনশনে ঘাম ছুটে যাচ্ছে, কেউ দেখে ফেললেই ফেঁসে যাবে বিনা কারণে । এখন সেইভাবে লাশটা গাড়ির ভিতরে একটা বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে রেখে সেই লাশ আনতে চলে যায়। তবে লাশ আনতে গিয়ে পড়ে আরো সমস্যায়, যে বাড়িতে লাশ আনতে গিয়েছে তারা আবার সেই লাশ ওইদিন নিয়ে যাবে না, আরো একদিন পরে যাবে। আর সে তো পড়ে যায় আরো বিপদে। এরপরে গাড়ি ওইভাবে ওখানে পার্কিং করে সারারাত ওইভাবে ফ্রিজে রাখতে বলে, যাতে লাশের কোনো সমস্যা না হয়। আর এদিকে চঞ্চল তো গাড়ি ছেড়ে এক মুহূর্তও কোথাও যেতে পারছে না এই লাশের টেনশন নিয়ে।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এই সিরিজটা একটা ক্রাইম বেস, তবে খুবই রহস্যময় গল্পের মধ্যে। বিশেষ করে এই যে অচেনা একটা মেয়ের লাশ তার গাড়িতে কিভাবে এলো সেটা একটা রহস্যের বেড়াজাল। এটা সাধারণত কোনো ট্র্যাপ হতে পারে, কাউকে ফাঁসানোর জন্য। এই মুহূর্তে দেখে মনে হচ্ছে চঞ্চলকে ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে বা তার মাধ্যমে অন্য কাউকেই ফাঁসানোর প্ল্যান থাকতে পারে। এটা এখন একটা রহস্যের মধ্যে আছে, কারণ যতক্ষণ না জানা যাচ্ছে এই লাশটা কার বা কে তার গাড়িতে তুলে দিয়েছে ততক্ষন এর রহস্য থেকে যাবে। চঞ্চল এই মুহূর্তে যে টেনশনে আছে সেটা হলো পুলিশের, কারণ এইগুলো খুবই ঘাতক কেস, ধরা পড়লে সারাজীবন জেল। আর এই নিয়ে এখন শুরু হবে চঞ্চলের একটা অজানা অচেনা পথের দিকে অভিযান। দেখা যাক এই রহস্য ধাপে ধাপে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৭/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

দাদা আজকে আবারো নতুন একটা ওয়েব সিরিজ দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় আমার কাছে দারুন লাগে। এই ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার ভিডিও আমি দেখেছিলাম। কিন্তু ওয়েব সিরিজটা এখনো দেখা হয়নি। আপনি রিভিউ দিয়েছেন বলে ভালো লাগলো। এতে ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে। তবে এই ওয়েব সিরিজ দেখছি অনেক রহস্যময়ী। এখানে তো দেখছি চঞ্চল চৌধুরীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু একটা মেয়ের লাশ কিভাবে গাড়িতে চলে আসলো এটা তো বুঝতে পারছি না। আসলে এই রহস্য উদঘাটন নিশ্চয়ই পরের পর্বে জানতে পারবো। এত সুন্দর একটা ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাদা আজকে "তাকদীর" ওয়েব সিরিজের রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে এই ওয়েব সিরিজের চঞ্চল চৌধুরীকে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় আমার খুবই পছন্দের। তাই অনেকগুলো নাটক দেখেছি চঞ্চল চৌধুরী । তবে এই ওয়েব সিরিজ দেখছি রহস্যজনক। এখানে তো দেখছি একটা মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। কিন্তু এর জন্য দেখছি চঞ্চল চৌধুরীকে দায়ী করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে চঞ্চল চৌধুরীকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই অনেক বড় কোন রহস্য রয়েছে। আবার দেখছি ওর মাধ্যমে অন্য কাউকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে সত্যি কারের এর পিছনে কে রয়েছে সেটা নিশ্চয়ই করার পর জানতে পারবো। কিন্তু এমনিতে আজকের ভিডিওটা পড়ে ভালই লেগেছে।

 2 years ago 

বাংলাদেশী ওয়েব সিরিজ "তাকদীর" ইতোমধ্যেই বেশ সারা ফেলেছে। কয়েক বছর আগে এই ওয়েব সিরিজটি যেমন জনপ্রিয় ছিল এখনো সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনীত প্রত্যেকটি নাটক কিংবা ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আসলে একজন দক্ষ অভিনয় শিল্পীকে সবাই পছন্দ করে। এছাড়া চঞ্চল চৌধুরী দারুন অভিনয় করেন। তবে এই ওয়েব সিরিজটি একেবারে রহস্যে ঘেরা। এই ওয়েব সিরিজটি অনেকটা ক্রাইম সিরিজের মত। তার গাড়িতে কে এই মেয়েটির লাশ রেখে গেছে এটা চঞ্চল চৌধুরী বুঝতে পারছে না। তবে সে অনেক রিক্স এর মধ্যে আছে। যেকোন সময় পুলিশ তল্লাশি হতে পারে। হয়তো কেউ তাকে ফাঁসানোর জন্য এই কাজ করেছে। তাকে ফাঁসানোর জন্যই মেয়েটির লাশ রেখে গেছে। অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরী ভীষণ বিপদের মধ্যে পড়ে গেছে। তাইতো অজানা উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ সবার মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

চঞ্চল চৌধুরীর এই তাকদির ওয়েব সিরিজটির কথা শুনেছিলাম বেশ কয়েকবার। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আমার তো ওয়েব সিরিজ একেবারে দেখা হতো না। কিন্তু আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম এই মুভিটা দেখব তবে দেখা হতো না। আপনি আজকে নতুন একটা ওয়েব সিরিজ শেয়ার করেছেন দেখে সম্পূর্ণটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে দাদা। দাদা আপনার এই ওয়েব সিরিজ গুলো পড়তে আমার কাছে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। আজকে তাকদীর মুভিটার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন, আর এই পর্বতের নাম ছিল Rashatal. চঞ্চল চৌধুরীর ওয়েব সিরিজ হওয়ার কারণে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে রিভিউটা পড়তে। এখানে তো দেখছি তার গাড়ির মধ্যে অচেনা একটা মেয়ের লাশ রেখে দেওয়া হয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে এই লাশটা রাখা হয়েছে চঞ্চল চৌধুরীকে ফাঁসানোর জন্য। তবে এই মেয়েটির লাশটা তার গাড়িতে কিভাবে আসলো?চঞ্চল চৌধুরী কিন্তু অনেক বড় বিপদে পড়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। সে পর্যন্ত অধীর আগ্রহে তাহলে বসে থাকলাম দাদা।

 2 years ago 

আমার খুবই পছন্দের একজন নায়ক হচ্ছে চঞ্চল চৌধুরী। আমি বেশিরভাগ সময় চঞ্চল চৌধুরীর বিভিন্ন রকমের নাটক দেখেছি। তবে আজ পর্যন্ত তার ওয়েব সিরিজ দেখা হয়নি। আজকেও আপনি অনেক সুন্দর একটা ওয়েব সিরিজ নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দাদা। চঞ্চল চৌধুরীর এই ওয়েব সিরিজের বেশ কয়েকটা এড আমি আরো অনেক আগে দেখেছিলাম। আর তখন থেকে ভাবছিলাম এই ওয়েব সিরিজটা দেখব, কিন্তু দেখবো দেখবো করে আর দেখাই হয়ে উঠছিল না। তবে আজকে এই ওয়েব সিরিজটির প্রথম পর্ব আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে পড়ে খুব ভালো লেগেছে দাদা। ওই মেয়েটার লাশ চঞ্চল চৌধুরীর গাড়ির মধ্যে কিভাবে এসেছিল তা তো সে নিজেই জানেনা। এটা নিশ্চয়ই কারো কারসাজি হবে। হয়তো তাকে ফাঁসানোর জন্য, না হলে তাকে দিয়ে অন্য কাউকে ফাঁসানোর জন্য এই কাজটা করা হয়েছে মনে হয়। সর্বশেষে কি হবে তা জানার অপেক্ষায় থাকলাম। দাদা আশা করছি পরবর্তী পর্বটা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর আমি এমনিতেই সময় পেলে এই ওয়েব সিরিজটি দেখার চেষ্টা করব।

 2 years ago 

দাদা আমি আজকে সকাল বেলা তাকদীর ছবির ট্রেইলার দেখেছি। আর আপনি আজকে তার রিভিউ প্রকাশ করে ফেললেন। কয়েক বছর যাবৎ চঞ্চল দারুন দারুন মুভি উপহার দিচ্ছে। তার মধ্যে আলোচিত হয়েছে মন পুরা, আইনা বাজি,হাওয়া,তাকদীর ইত্যাদি। আজকে আপনার মাধ্যমে প্রথম তাকদীর মুভির রিভউ পড়া শুরু করলাম। এখন আমারও প্রশ্ন চঞ্চলের গাড়িতে লাশ কোথায় থেকে আসলো। দেখা যাক এই লাশ নিয়ে চঞ্চল কোন দিকে যায়,কি করে। মুভিটা কি রহস্য দিয়ে শুরু করলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই। ধন্যবাদ দাদা।