মুভি রিভিউ: স্কাইস্ক্র্যাপার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "স্কাইস্ক্র্যাপার"। এটি একটি অ্যাকশন মুভি সাথে থ্রিলারও আছে। তাহলে দেখা যাক মুভিটির কাহিনী কিভাবে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
কাহিনীটা শুরু হয় মূলত একটা সন্ত্রাসীকে আটক করা নিয়ে। এক্ষেত্রে আমেরিকান মিলিটারি সহযোগিতা করে। আসলে এই সন্ত্রাসী লোকটা একটা মহিলা আর তার সন্তানকে কিডন্যাপ করে রেখেছিলো এবং তার কিছু একটা দাবি ছিল সরকারের কাছে। কিন্তু এক্ষেত্রে মিলিটারির ক্যাপ্টেন 'উইল' বুদ্ধি করে বোমা দিয়ে দরজাটা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ছেলেটিকে ছেড়ে দিতে বললেও আসলে শেষ রক্ষাটা কারো হয় না, কারণ ওই লোকটার কাছে ছিল খুবই শক্তিশালী একটি বোমা যেটা তার শরীরে জ্যাকেট এর সাথে লাগানো ছিল আর বাটন চাপতেই সেখানে সবাই মারা যায়। তবে 'উইল' আর তার বন্ধু 'বেন' ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়, তবে 'উইল' এর একটি পা হাঁটুর থেকে কেটে বাদ দিতে হয়। অনেক বছর পরে সুস্থ হয়ে একটি নকল পায়ের সাহায্যে সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করতে লাগে। আর এমনিতেও তার এই অবস্থার জন্য মিলিটারির চাকরি চলে যায়। তাই তারা সেখান থেকে তার বন্ধুর সহযোগিতায় হংকং এ শিফট হয়ে যায়। সেখানে একটা চাকরির ব্যবস্থাও করে দেয় "স্কাইস্ক্র্যাপার" নামক বিশ্বের সব থেকে বড়ো বিল্ডিংএ, যেখানে তার সিকিউরিটির দায়িত্বটা পালন করতে হবে। তবে এই সিকিউরিটি খুবই কঠিন আর দায়িত্বটাও বড়ো, কারণ এই বিল্ডিং-এ এক কোথায় বলতে গেলে দুনিয়ার সবকিছুই আছে, প্রায় ২৫০ তলারও বেশি।
আর পুরো বিল্ডিংটা একটা ট্যাবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয়, আর এই ট্যাবে 'উইল' এর চেহারা সেভ করে নেয়, ফলে সে ছাড়া আর কেউ এই সিকিউরিটি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এই বিল্ডিং এর যে ওনার তার কাছে একটা সফটওয়ার ছিল, যেটাতে অনেক কিছুর ডাটা সেভ করা ছিল আর সেটি হাসিল করার জন্য 'বোথা' নামক এক সন্ত্রাসী তার উপর টার্গেট করে থাকে। তবে 'উইল' এর বন্ধু 'বেন' তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, কারণ সেই সন্ত্রাসীদের ট্রাপে পড়ে যায় আর সেই সাথে 'উইল' এর কাছ থেকে ওই ট্যাব নেওয়ার জন্য হামলা করে। এই ট্যাব না হলে তারা বিল্ডিং এর ভিতরে কোনোমতে প্রবেশ করতে পারলেও বাকি জায়গাগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে না। এরপর গ্যাং এর একজন সদস্য হান্নাহ নামক একটি মেয়ে 'উইল' এর উপর হামলা করে ছিনিয়ে নেয় এবং তার চেহারা দিয়ে ট্যাব ওপেন করে নেয়। এরপর তারা সেই ট্যাব নিয়ে বিল্ডিং এর কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করে আর সমস্ত সিকিউরিটি যা ছিল তা হ্যাক করে কোড চেঞ্জ করে ফেলে আর বিল্ডিং এর নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যায়। তবে 'বোথা' তার আগে বাকিদের সাথে মিলে বিল্ডিং এর ৯৫ তলায় আগুন লাগিয়ে দেয় আর ৯৬ তলায় ছিল 'উইল' এর পরিবার।
আর এই বিল্ডিং -এ আগুন নেভানোর জন্য আন্টি ফায়ারের ব্যবস্থাও ছিল, কিন্তু আসলে কিছুই করার ছিল না, পুরো কন্ট্রোল সন্ত্রাসীরা নিয়ে ফেলে। তবে বিল্ডিং এর ওনার আর তার গার্ড ছিল একদম টপ ফ্লোরে, ফলে সেখানে কিছুটা নিরাপদ ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে পুরো আগুন ছড়িয়ে যায় এবং ১০০ তলা ক্রস করে ফেলে। এদিকে 'উইল' এর পরিবার উপরে আটকে যায়, আর সে তাদের বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কঠিন বাধা অতিক্রম করে বিল্ডিং এর ভিতরে প্রবেশ করে, এদিকে পুলিশও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। বোথা ওনারের কাছ থেকে সেই সফটওয়ার নেওয়ার জন্য তাকে ধরতে যায় কিন্তু সে এমন একটি রুমে প্রবেশ করে যেটা তাদের পক্ষে খোলা সম্ভব ছিল না একমাত্র অনার আর 'উইল' ছাড়া। পরে 'উইল' এর মেয়েকে আটকে রেখে তাকে বাধ্য করে ভিতরে প্রবেশ করে সেটি এনে দেওয়ার জন্য। এরপর 'উইল' অনেক চেষ্টার পরে সেটির ভিতরে প্রবেশ করে। তবে তার কাছেও সেটি দিতে চায় না, আর তার কারণ হিসেবে তাকে সব খুলে বলে। কিন্তু উপায় তো নেই, তাকে সেটি নিয়ে যেতেই হবে, নাহলে তার মেয়েকে মেরে ফেলবে।
এরপর তারা বুদ্ধি করে ছাদে যায় এবং সেই সফ্টওয়ারটা দিতে গেলে বুদ্ধি করে 'উইল' তার মেয়েকে তার কাছে নিয়ে নেয় আর সেই অনার অন্য পাশ দিয়ে তাদের উপর গুলি চালায়। আর তার কাছে এমন একটা টেকনোলজি ছিল জেতার সাহায্যে যে কাউকে ধোকা দেওয়া যেত অর্থাৎ একটা সিস্টেম এর মাধ্যমে ছাদে কিছু কাঁচের দেওয়ালের মতো তুলে দেয় আর সেটি দেখতে অনেকটা বুলবুলিয়ার মতো। এখানে এমন সিস্টেম যে সামনে যাকে দেখতে পাবো আসলে বাস্তবে সেখানে না, অন্য জায়গায়। এইভাবে অনেক ধস্তাধস্তির পরে 'উইল' সবাইকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে কিন্তু এতো বড়ো বিল্ডিং নিমিষে ধংস হয়ে যায়। যদিও 'উইল' এর ওয়াইফ নিচে এসে সেই ট্যাবটাকে রিবুট করে আবার অন করলে ট্যাব কাজ করতে শুরু করে আর আগুন নেভানোর সিস্টেমটা অন করে দিলে আগুন নিভে যায় কিছুক্ষনের মধ্যে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই মুভি পুরোটাই অ্যাকশন এর উপর ছিল আর এই 'স্কাইস্ক্র্যাপার' বিল্ডিং-কে ঘিরেই ছিল। তবে 'উইল' তার এক পায়ে সমস্যা থাকা সত্বেও একজন দায়িত্ববান মানুষের ভূমিকা নিভিয়েছে। সে নিজের পরিবার সহ অন্যান্যদেরও বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আর এটা একদমই সহজসাধ্য ছিল না তার জন্য। আর সাধারণত এই বিল্ডিং এর ভিতরে প্রবেশ করার পথ ছিল বন্ধ, আর সে কন্টেইনার এর মেশিনের সাহায্যে তাও বহু তলা সে রড বেয়ে বেয়ে উপরে উঠেছে। এরপর সেই মেশিনের সাহায্যে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু পরে সেটি দিয়ে ব্যর্থ হলে আর কোনো উপায় না পেয়ে লাফ দিয়ে দেয় এবং এটা একপ্রকার বলা যায় মারাত্মক রিস্ক এর একটা সম্মুখীন হওয়া। যাইহোক এরপরে ভিতরে তো প্রবেশ করে, কিন্তু তার সচল একটা পায়ের সাহায্যে তাদের সাথে ফাইট করা আর সেই সাথে পরিবারের রক্ষা করা অনেকটা কঠিন ছিল তার জন্য। যাইহোক, তবুও অনেক সংগ্রাম করে শেষপর্যন্ত সবাইকে বাঁচাতে পেরেছে এটাই তার সার্থকতা।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৪/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একশন মুভি দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও অনেকদিন থেকে সেভাবে মুভি দেখা হয় না। তবে এই মুভির রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। একেবারে ভিন্ন ধরনের মুভি রিভিউ ছিল। অ্যাকশন মুভি আর সাথে থ্রিলারও ছিল। দুটো মিলেমিশে বেশ ভালো লেগেছে। উইল নিজের পরিবারের মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য অনেক বড় রিক্স নিয়েছে। আসলে নিজের দায়িত্বে সে সব সময় অটল ছিল। নিজের দায়িত্ব থেকে সে কখনো পেছায়নি। তাইতো সে অনেক বড় রিক্স নিয়েছে। কন্টেইনার এর মেশিনের সাহায্যে বহু তলা ভবনে উঠতে ব্যর্থ হয়ে যায়। এরপর রিস্ক নিয়ে লাফ দেয়। আসলে এটা সত্যিই অনেক ভয়ঙ্কর ব্যাপার ছিল। আমার তো ভাবতেই ভয় লাগছে। যদি কখনো সেভাবে সময় পাই তাহলে অবশ্যই এই মুভিটি দেখার চেষ্টা করব দাদা। দারুন একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দাদা এই মুভিতে উইলের অভিনয় দেখে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। কি রিস্কটা নিলো। এই রিস্ক নেওয়াটা ছাড়া তার আর কোন পথ খোলা ছিল না। পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন সাহস বহু গুনে বেড়ে যায়। পরিবারের জন্য নিজের জীবনের চিন্তা করে নাই। এই মুভি গুলো এমন ভাবে সাজিয়ে তুলে যে দর্শকদের শরীরের পশম দাড়িয়ে যায়। যায়হোক অবশেষে উইল সফল হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আমি তো এমন মনোযোগ দিয়ে মুভিটার রিভিউ পড়ছিলাম যেন মুভির ভিতরেই আমি ঢুকে গিয়েছি। উইল এর এরকম সাহস দেখে আমি তো একেবারে অবাক। আমি নিজেই অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছি এই বিষয়টা পড়ে। কন্টেইনারের মেশিনে উপরে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে সে লাফ দিয়েছিল। আসলে তখন তার মাথায় ছিল তার পরিবারকে এবং অন্য সব মানুষদেরকে বাঁচানো। সবাইকে বাঁচানোর চিন্তা করে সে নিজের জীবনকে বাজি রেখেছিল এখানে। কিন্তু অবশেষে উইল সফল হয়েছিল, এই বিষয়টা জেনে আমার অনেক বেশি আনন্দ হচ্ছে। আসলে আমি মুভি তেমন একটা দেখি না। যদিও আগে মুভি দেখা হতো প্রচুর পরিমাণে। এখন মুভি দেখার মত সময় হয়ে উঠে না কারণ মুভি গুলো দেখতে অনেক সময় লাগে। তবে আপনার রিভিউ পোষ্টের মাধ্যমে স্কাইস্ক্র্যাপার মুভিটার রিভিউ বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। এই মুভিটার মধ্যে অ্যাকশন এবং থ্রিলার দুটোই ছিল। যার কারনে আরো বেশি ভালো লেগেছে মুভির রিভিউটা পড়তে। আমি তো সময় পাওয়ার সাথে সাথেই চেষ্টা করব এই মুভিটা দেখার। ধন্যবাদ দাদা। এত সুন্দর একটা মুভির রিভিউ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দাদা আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ করেছেন যা পড়ে ভালো লেগেছে। আমি তো সময় পেলে চেষ্টা করি বিভিন্ন রকমের মুভি দেখার। বিশেষ করে যে মুভি গুলোর ভেতর অ্যাকশন এবং থ্রিলার থাকে সেগুলো একটু বেশি দেখি। এখানে উইল তার এক পায়ে সমস্যা থাকার পরেও নিজের দায়িত্ব দেখিয়েছে এই বিষয়টা সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। উইলের এরকম সাহসিকতা দেখে প্রশংসা তো অবশ্যই করতে হচ্ছে। সে তার ফ্যামিলির সবাইকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনটা বাজি রেখেছিল এবং লাফ দিয়েছিল। ভাগ্যিস তার কিছু হয়নি বরং সে সফল হয়েছিল। সে এক পায়ের সাহায্যে ফাইট করেছিল নিজের ফ্যামিলির লোকজনকে বাঁচাতে, এটা তার জন্য অনেক বেশি কঠিন বিষয় বটে। তবুও সে থেমে থাকে না নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। এবং সে তার ফ্যামিলিকে বাঁচাতে পেরেছে এত বড় সংগ্রাম করে। এরকম সফলতা দেখে ভালো লেগেছে দাদা। চেষ্টা করব যদি সময় পাই এই মুভিটা দেখার জন্য, কারণ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে মুভিটার রিভিউ।
দাদা আজকে তো দেখছি অনেক সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন। আমার কাছে কিন্তু অ্যাকশন মুভি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে দেখা হয় না। তবে রড বেয়ে এত উঁচু একটা বিল্ডিং এর ভেতরে প্রবেশ করাটা সত্যিই কঠিন কাজ ছিল। তবে 'উইল' নিজের রিস্ক নিয়ে নিজের পরিবার এমনকি অন্যান্য পরিবারকে বাঁচাতে চাইলো এই বিষয়টা ভীষণ ভালো লেগেছে। এটা এত বেশি কঠিন একটা কাজ ছিল যা একদমই অসম্ভব ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাইকে বাঁচাতে পেরেছে এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। আসলে যে কোন মুভির ক্ষেত্রে শেষ মিল টাই সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটা মুভি রিভিউ পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
দাদা আপনার কাছ থেকে আজকে "স্কাইস্ক্র্যাপার" মুভি রিভিঊ দেখতে পেয়ে ভালো লেগেছে। আসলে এই মুভিটার ট্রেলার ভিডিও আমি দেখেছিলাম। কিন্তু সময় সুযোগের জন্য মুভিটা দেখা হয়নি। তবে এই মুভিটার কাহিনী আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আসলে এত উঁচু একটা বিল্ডিং এর উপরে উঠে সবাইকে বাঁচানোটা অনেক কঠিন একটা কাজ ছিল। কিন্তু এখানে দেখছি উইল নিজের পায়ের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, নিজের পরিবার এবং অন্য অন্য পরিবার থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সবাইকে বাঁচাতে পেরেছে এটাই দেখেই ভালো লাগলো। এই ধরনের অ্যাকশন মুভি গুলো দেখতে আমার কাছে ভালোই লাগে। আজকের রিভিউ টা খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তীতে সময় পেলে অবশ্যই দেখে নিব।