নেট রান রেটে গুজরাট অনেক উপরে চলে আসলো!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলাধুলা বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল মুম্বাই আর গুজরাট এর মধ্যে একটি আইপিএল ম্যাচ ছিল। বলা যায় এটা দুটি টিমেরই দ্বিতীয় ম্যাচ। তবে গুজরাট আগে একটা যেমন হেরে আছে, তেমন মুম্বাইও একটা হেরে আছে। ফলে দুইজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেট রান রেটের দিক থেকে। কিন্তু মুম্বাই প্রথম ম্যাচটি হেরে একটা সমস্যায় আছে, অর্থাৎ মাইনাস পয়েন্টে অবস্থান করছে নেট রান রেট হিসেবে। একটা ম্যাচে বা সম্পূর্ণ ম্যাচ এর দিক থেকে নেট রান রেটটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। কারণ যদি কোনো ক্ষেত্রে একসাথে ৩ টি টিম একই পসিশনে অবস্থান করে, তাহলে সেখানে নেট রান রেটটা হিসেবে করা হয় প্রথমে। তো এক্ষেত্রে এইবারের আসরে মুম্বাই এর অবস্থান খুবই নাজুক।
আসলে এর জন্য বেশ কিছু কারণ আছে, প্রথমত অধিনায়ক নির্বাচন একদম ভুল সত্যি বলতে। আর পরেরটা ব্যাটিং লাইনে একটু গড়বড় আছে। এর আগে একবার বলেছিলাম যে, এইবারের প্রতিটা টিমে একটু রদবদল হওয়ায় সমস্যাটা বেশি তৈরি হয়েছে পুরোনো টিম সদস্যদের মধ্যে। যাইহোক, গতকালকের ম্যাচে এক পর্যায় বলতে গেলে ব্যাটিং পিচে খেলা হয়েছে। সেই হিসেবে মুম্বাই টসে জিতে পরে চেজ করার সিদ্ধান্তটা একেবারেই ভুল নেয়নি। তবে গুজরাট টিমটাও অনেক ব্যাটার পসিশনে আছে বিগত ২-৩ বছর। এই টিমটা যখন নতুন শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই কিন্তু শক্তিশালী হয়ে আছে। আর প্রথম নতুন টিম হিসেবে এই গিলের নেতৃত্বেই আইপিএল কাপ জিতেছিল। সেই জায়গা থেকে তাদের অবস্থান অনেকটাই ভালো এখনো।
গিলের নেতৃত্বে মোটামুটি গুজরাট এই ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে ভালোই অবস্থান ধরে রেখেছিলো। এই আইপিএল বা যেকোনো ২০ ওভারের ম্যাচে সবসময় প্রথম টার্গেট থাকে ৬ ওভার। এই প্রথম ৬ ওভারে যদি ৬০-৮০/৯০ তোলা যায়, তাহলে নিশ্চিন্তে এই রান পরের ব্যাটসম্যানগুলো ধরে ধরে ২০০ ক্রস করে ফেলতে পারে। আর এইরকম আমরা বেশ কিছু ম্যাচেও দেখেছি। আপনারা দেখেছেন কিনা জানিনা, আগের হায়দ্রাবাদের একটা ম্যাচে তারা ২৮৬ রান টার্গেট দিয়েছিলো, যেটা একটা ওয়ানডে ম্যাচের সমান রান। এতো হিউজ রান ২০ ওভারে খুব কম দেখা যায়। তাছাড়া আরো একটা টিম ২৫০ রান করেছিল।
এইরকম আসলে এখন নিত্যনতুন টার্গেট গড়ছে আবার অন্য কোনো টিম সেটা ভেঙেও দিচ্ছে। এই ম্যাচে গিল আর সুদর্শন ভালোই শুরুটা করেছিল। গিল এক দিকে সমান তালে মেরে যাচ্ছিলো এবং রান রেটটা ১০ এর উপরে রেখেছিলো। এরপর সেখানে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। তবে পরে আবার বাটলারের সাথে সুদর্শনের ভালো পার্টনারশীপ তৈরি হতে চলে। এর মধ্যে তাকেও আউট হতে হয়। রান অনেকটা চেপেও গিয়েছিলো ১১ ওভারের পরের থেকে। কারণ এরপরে কয়েকজন আসলেও তারা টিকতে পারেনি। কিন্তু সেটাকে নিয়েই সুদর্শন যেন চক্র চালাতে লাগলো, একাই রানের গড় শেষের দিকে মেরে রান ২০০ এর গায়ে নিয়ে চলে গেলো।
১৯৬ রানের যে টার্গেট দিয়েছিলো, তা হিসেবে করলে এই পিচে একটা গড় অনুযায়ী খেললে ম্যাচ বের করা সম্ভব। তবে প্রব্লেম হলো রোহিত এবং তার সতীর্থ যে ওপেনার দুইজনেই আউট হয়ে যায়। যেখানে প্রথম ৬ ওভার তাদের জন্য ভাইটাল ওভার, সেখানে এই ধরণের আউট মেনে নেওয়া যায় না। সিরাজের বলেই বোল্ড আউট হতে হলো, যদিও বলটা ওইভাবে ঢুকে যাবে বুঝতেও পারেনি। তো এরপর মোটামুটি তিলক আর সূর্যকুমার খেলছিল ভালোই। দুইজন ভালোই পার্টনারশিপের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছিলো সামনের দিকে।
এতে করে প্রথম ১০ ওভারে মোটামুটি ভালোই রান ছিল। আর এইভাবে খেলে গেলে ম্যাচ সম্ভবত বের করতে পারতো। কিন্তু তার পরেই রান এমনভাবে চেপে গেলো, যে সেটা আর রিকোভারি করার মতো কেউই টিকে ছিল না। এক পর্যায়ে এই দুইজনের পড়ে যাওয়ার পরেই ম্যাচের অবস্থা বেহাল হয়ে যায়। গুজরাট আরো ভালো বেটার জায়গায় চলে গেলো এই সাথে নেট রান রেটে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.