খেলার শেষ মুহূর্তটা বেশ রোমাঞ্চকর ছিল!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল মুম্বাই আর ব্যাঙ্গালুরুর মধ্যে একটি বড়ো ম্যাচ ছিল। বড়ো ম্যাচ বললাম এই কারণে, যে এই দুটি টিম আইপিএল এর দিক থেকে বেশ পুরোনো আর শক্তিশালী। আর মুম্বাই তো আইপিএল এর এক প্রকার সেরা, কারণ তারা অনেকগুলো ট্রফিও জিতেছে। তো যাইহোক, এমনিতে এই বছরের আইপিএল ম্যাচের দিক থেকে ব্যাঙ্গালুরু ভালো একটা পজিশনে আছে, তাদের ধারাবাহিকতাটা বেশ ভালো ধরে রেখেছে। তবে মুম্বাই আপাতত যে পজিশনে আছে নেট রানের দিক থেকে, তাতে কয়েকটা ম্যাচ ভালো খেললে প্লে অফে যাওয়ার একটা চান্স আছে।
গতকাল মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠে খেলাটা হয়েছে। মুম্বাই টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে ব্যাঙ্গালুরুর শুরুটা বেশ সুন্দর ভাবে করেছিল। কোহলি সাধারণত একমাত্র চেজ ছাড়া তেমন ভালো ব্যাটিং দেখতে পাওয়া যায় না। তবে গতকালকের ম্যাচে যেন একদম জ্বলে উঠেছে সবাই। সল্ট যদিও প্রথম ওভারেই বোল্ড আউট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পাডিকাল আর কোহলি ম্যাচ শুরু করে। দুইজন অনেক্ষন যাবত বেশ ভালো একটা পার্টনারশীপ তৈরি করেছিল। দুইজনেই সামনে মেরে যাচ্ছিলো, যেন তাদের টার্গেট ছিল পাওয়ার প্লে ওভারে ১০০ এর কাছে নিয়ে যাওয়া। হিসেবে তাদের প্ল্যান অনুযায়ী তাদের রান কিন্তু পাওয়ার প্লে তে ৮০ এর ধারে কাছে চলে যায় ।
রান রেট ১২+ ছিল, এক্ষেত্রে রান যে ২০০ ক্রস করবে তা আগে থেকেই ধারণা করা ছিল। কোহলি খেলতে থাকলেও সেখানে পাডিকল আবার ক্যাচ আউট হয়ে যায়। কিন্তু তার পরেও ম্যাচ থেমে থাকেনি, রান যেন রকেটের গতিতে এগিয়ে চলেছে। রজত পাটিদার এসে সেম কোহলির পজিশনে মার শুরু করে দেয়। আরো একটা সুন্দর পার্টনারশীপ বিল্ড হয়ে যায়। এরপরে কোহলি আর রজত প্রায় পরপর আউট হয়ে যায়। পরে লিভিংস্টোন এসেও জিরো রানে আউট হয়ে যায়। তবে জিতেশ এসে আরো একটা কামাল করে দিলো ব্যাটিংয়ে। রান ২০০ ক্রস করা এক পর্যায়ে একটু কঠিন হয়ে গেছিলো এরা আউট হয়ে যাওয়ায়। কিন্তু জিতেশ এসে ১৯ বলে ৪০ রানের এক ঝড়ো ইনিংসে রান ২২১ এ গিয়ে পৌঁছায়।
বিশাল এক টার্গেট গেইন করে তারা। কিন্তু মুম্বাই এই রান চেজ করতে গিয়ে এক প্রকার রান রেট যা দরকার ছিল, প্রথমের দিকে সেইভাবে তুলে ফেলছিলো, কিন্তু রোহিত বা রিকেলটন যদি একটু ওপেনে ধরে ধরে খেলতো, তাহলে কিন্তু ম্যাচ আরো সুন্দর হতো। কিন্তু তারা প্রথমেই ম্যাচের গোড়া নড়বড়ে করে ফেলে। এক পর্যায়ে বলা যায়, পরপর রান রেট পরে বেড়েই যাচ্ছিলো, কারণ জ্যাক্স আর সূর্যকুমার এসে খেলতে থাকলেও বেশিক্ষন খেলতে পারেনি। এক্ষেত্রে ওই পজিশনে তিলক আর হার্দিক এসে যেভাবে হাল ধরলো, তাতে অনেক প্রশংসনীয় একটি ব্যাপার ছিল।
রান অনেক ডাউন হয়ে গেছিলো, হার্দিক এসে টানা ৬ মেরে ৭ বলে ৩০ করে রান অনেকটা কমিয়ে নিয়ে এসেছিলো। লাস্টে যেন ম্যাচটা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছিল। হার্দিক যেভাবে শর্ট খেলছিলো আর সেই সাথে তিলকও, তাতে করে ম্যাচ বেরিয়ে আসার পর্যায়ে চলে এসেছিলো। কিন্তু ওখানেই দুইজন এক সাথেই পড়ে গেলো। আর সেই সাথে ম্যাচ জেতার আসাও ডুবে গেলো। ওরা দুইজন থাকলে কিছু একটা লাস্ট অব্দি হতো, কিন্তু সেটা আর হলো না। তবে ম্যাচের ফলাফল যাইহোক না কেন, শেষ মুহূর্তে এসে ম্যাচটা বেশ জমেছিলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.