শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ১১ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই ছবিগুলোও আগের মতো গ্রামীণ ঐতিহ্য আর আদিবাসী সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ। প্রথমত এই চিত্রে আপনারা একটি কুটির ঘর দেখতে পাবেন, যেটা একদম গোলাকৃতি ভাবে তৈরি করা। আর এইসব ঘর বেশিরভাগ খড় দিয়ে ছাউনি দেওয়া দেখা যায়। তবে এই কুটির ঘরটি টিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া। এই ধরণের ঘরের আলাদা ঐতিহ্য আর সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। এই ধরণের ঘর সাধারণত আদিবাসী যেসব সম্প্রদায় বসবাস করে, তাদের জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এইধরণের ঘরগুলো খুবই সাধারণ হয়ে থাকে, যা সরল আর ব্যবহারিক নকশা আর পারিপার্শিক পরিবেশের সাথে মিল রেখেই তৈরি করা হয়ে থাকে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে আপনারা একটা আর্ট এর মতো ছবি দেখতে পাবেন, যেটি মূলত ফেটিশ নামের একটি অসাধারণ ভাস্কর্য। এই চিত্রটিতে আপনারা দেখলে দেখবেন যে, একটি মানব দেহের আকৃতির মতো ঠিকই, কিন্তু এর আবার ডানা আছে বড়ো, যাতে পাখির মতো বিসাহাল পালক আছে। এই ধরণের চিত্র বা ভাস্কর্য আদিবাসীদের আধ্যাত্বিক শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়ে থাকতো। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই ধরণের ভাস্কর্য বিশ্বাস, আত্মরক্ষা এর প্রতীক রূপে পূজিত করে থাকতো। এইগুলো তাদের সম্প্রদায়ের একটা ভগবানের মতো বিশ্বাসের রূপ ছিল। এরপরে আরো একটা চিত্রকর্মের দৃশ্য দেখতে পাবেন, যেটি একটি ঝুড়ির মতো দেখতে এবং এই ঝুড়ির নাম আছে "toka-e-po".
![]() |
---|
Photo by @winkles
এর উপরের বাঁশের তৈরি যে হাতল রয়েছে, তার জন্য অনেকটা ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এই ধরণের ঝুড়ি মূলত বিভিন্ন ধরণের জিনিস বহন করার কাজে ব্যবহার হয়। অনেক আদিবাসীদের পিঠে এই ধরণের ঝুড়ি ঝুলিয়ে রাখতেও দেখা যায়। এইগুলো যেমন কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার হয়, আবার ফলমূল ইত্যাদি বহনে অনেক সহায়ক। এরপর কাঠের তৈরি আরো একটা ভাস্কর্য দেখতে পাবেন, যেখানে এটি মানুষের মতো দেখতে, তবে মাথা ও মুখাবয়বটি শিল্পসম্মতভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তবে এই কাঠের মাধ্যমে যে কৌশলে ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে, তা মূলত একটি যোদ্ধার প্রতিরূপ দেখতে লাগছে, মূলত সেইরকমই উদ্দেশ্যে এই ভাস্কর্য তৈরি করা।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই সমস্ত ভাস্কর্য দেখলে একটা বিষয় বোঝা যায় যে, আসলে আমাদের ভারতের আদিবাসীদের সংস্কৃতি কতটা বৈচিত্রপূর্ণ আর ঐতিহ্যবাহী। প্রত্যেক ভাস্কর্যের পিছনে যেন একটা একটা ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু ভাস্কর্য দেখাই, এইগুলো আদিবাসী উপজাতিদের সংস্কৃতির একটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে ছবিতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ভাস্কর্য রয়েছে। মেমোরিয়াল টোস্ট হলো এখানে একধরণের স্মৃতিস্তম্ভের মতো, যা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মরণে স্থাপন করা হয়ে থাকে। এইগুলো সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে এবং এর গায়ে প্যাঁচানো একধরণের অলংকৃত থাকে, যা কাপড় দিয়ে বা অন্য কোনো কিছু প্যাঁচিয়েও করা হয়ে থাকে। এরপর আরো একটা ভাস্কর্য, যার নাম-ল্যাণম। এটি সাধারণত তাদের একধরণের গৃহসামগ্রীর মতো কিছু একটা। আর এরপর আরেকটা ঝুড়ির মতো দেখতে ভাস্কর্য আছে, যেটি বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষিন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.