শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ১৫ )

আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এতেও বিভিন্ন ধরণের ভাস্কর্য থাকছে। প্রথমত এখানে আগের মতোই একটি রাজ্যের কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এখানে এই শিল্পকর্মটির মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী এবং বিখ্যাত ফলসমূহের বিষয়ও এই চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ত্রিপুরার এই চিত্রের মাধ্যমে প্রকৃতি, কৃষি এবং শিল্প সংস্কৃতির বিষয়ের উপরে একটা দৃষ্টান্ত প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। এরপরের একটি ভাস্কর্যে দেখতে পাবেন একটি আদিবাসী মহিলাকে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে দৃশ্যটা একটা ধান কোটা বা চাল ভাঙা অবস্থায় দেখাচ্ছে। এই দৃশ্যটা মূলত পূর্ব ভারতের আদিবাসী সমাজে প্রচলিত কৃষিজীবন ও খাদ্য প্রস্তুতির একটি প্রধান পদ্ধতি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখানে গ্রামীণ সমাজে নারীদের পরিশ্রমের একটা সুন্দর পটভূমি তুলে ধরেছে। এরপরে আরো একটা বিষয় দেখতে পাবেন, যেখানে আগের ত্রিপুরার রাজ্যের মতো এখানে মনিপুর রাজ্যের একটি থিম শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এখানেও বিভিন্ন প্রতীক তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে একটি স্পষ্ট মনিপুর রাজ্যের গ্রামের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। সবমিলিয়ে এই থিমের মাধ্যমে দারুন একটি শিল্পকর্ম তুলে ধরা হয়েছে । এরপরে আপনারা একটা তবলার ভাস্কর্য দেখতে পাবেন। এটি মূলত একটি মৃদঙ্গ আকৃতির ভাস্কর্য। এই তবলার ভাস্কর্যটি একটি খোলের আদলে তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া এই বাদ্যযন্ত্রের একটি বিশেষত্ব আছে, যেমন-মনিপুরে খ্রিস্টীয় বা প্রাচীন হিন্দু সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক ছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

ওখানকার ঐতিহ্যের একটি প্রধান অংশ বলা যায় এটা। এরপর আপনারা মাটির তৈরি একটা স্থাপনা দেখতে পাবেন। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী কাঠামো আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য। এছাড়া এই কাঠামোর উপরে একটি মাটির কলস রাখা হয়েছে। এইরকম কাঠামো শুধু আদিবাসী সম্প্রদায়ে ছিল না, গ্রামবাংলার বিভিন্ন স্থানেও দেখা যেত। এইগুলো দেখতেও অনেক চমৎকার। এরপরে আপনারা আরো হস্তশিল্প সামগ্রী দেখতে পাবেন। এখানে ডালা ও ঝুড়ির একধরণের হস্তশিল্প দেখতে পাবেন, যেটা দিয়ে শস্য বহন ও সংগ্রহের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এরপরে একধরণের ফাঁদের মতো বস্তু দেখতে পাবেন, যেটি দিয়ে মূলত মাছ ধরার কাজে ব্যবহার হয়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইগুলো শুধু মাছ ধরার জন্য একধরনের বিশেষ ফাঁদ। এই ফাঁদ জলের নিচে রেখে মাছ ধরা হয়ে থাকে। এরপর বাঁশের তৈরি একধরণের পাত্র ও বাক্স দেখতে পাবেন, এটির মধ্যে খাবার রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এরপরে আরেকটা দৃশ্য দেখতে পাবেন, যেটি দেয়ালের গায়ে আঁকা হয়েছে। এটি মূলত লোকজ শিল্পের একটি প্রতিফলন। এই দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে যে, এখানে একটি পুরুষ মাটিতে বসে একজন নারীর হাত ধরে আছে। এখানে একধরণের নাট্যরূপী চরিত্রের বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। বেশ সুন্দর একটা ভাস্কর্য এর প্রতিফলন।