মানব জীবনের রহস্যময় দিক

in আমার বাংলা ব্লগ15 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

मानव जीनोम की संरचना.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে আমাদের মানব জীবনের রহস্যময় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের মানব জীবনটা আসলে একটা রহস্যময় বেড়াজাল। জেনেটিক কোড-এই দুটি কিন্তু আলাদা আলাদা শব্দ এবং এর পেছনে লুকিয়ে আছে আমাদের শরীরের বৈশিষ্ট্য সহ নানা রহস্যময় গল্প। আর এই জেনেটিক কোডের বিশাল সংগঠনই হলো এই মানব জীবন। মানব জীবনটা আসলে প্রকৃতপক্ষে কি! এটাকে এক কথায় এক ধরণের বায়োলজিক্যাল ম্যানুয়াল বলে থাকে অর্থাৎ আমাদের মানব শরীরে যত জীন আছে তার সমষ্টি। এখানে এই বায়োলজিক্যাল ম্যানুয়াল এর মাধ্যমে এটা জানতে পারি যে, কিভাবে আমাদের শরীর গঠিত হবে, কিভাবে অঙ্গপ্রতঙ্গগুলো কাজ করবে এবং কিভাবে মানব শরীরের বিকাশ ঘটবে। এইসব যাবতীয় বিষয়সমূহ।

আসলে আমরা অনেক সময় বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের ভিত্তিতে ক্লোনিং সিস্টেম দেখে থাকি, যার মাধ্যমে একজনের সাথে আরেকজনের চেহারার হুবহু মিল রাখা হয়ে থাকে এবং এইসব পদ্ধতি জীন, ডিএনএ সবকিছুর মাধ্যমে হয়ে থাকে। যাইহোক, এই জিনোমের ভেতরে প্রায় তিন বিলিয়নের মতো ডিএনএ এর বেস পেয়ার থাকে এবং এই বেস পেয়ারে প্রায় ২০০০০+ প্রোটিন-কোডিং জীন রয়েছে। জিনের সাথে ডিএনএ এর একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তো শুধু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিএনএ বা আরএনএ এর বিষয় দেখে থাকি, কিন্তু আসলে এই ডিএনএ বা আরএনএ কি! এইগুলো আসলে প্রকৃতপক্ষে দেখতে গেলে সব এক ধরণের অনু, যা সমস্ত জীবের মধ্যে আছে এবং এইগুলো জীবের জিনগত নির্দেশাবলী বহন করে থাকে।

একটি জীন মানে একএকটি নির্দিষ্ট প্রোটিন তৈরির নির্দেশ। ডিএনএ সাধারণত চারটি বেস দিয়ে গঠিত হয় এবং এইগুলো থেকে একধরণের ক্রম তৈরি হয়, আর এই ক্রমই মূলত জীন। এইসব কিছু আসলে একটার সাথে আরেকটার গভীর সম্পর্ক এবং একটা ছাড়া অন্যটি অচল, কারণ এই বায়োলজিক্যাল সিস্টেমে একটি অনুপস্থিত রেখে অন্যটি গঠন সম্ভব নয়। তবে নব্বই দশকের আগে এই মানব জীবনের বিষয়ে কোনো গবেষণা ছিল, এই প্রজেক্টটা বিগত নব্বই দশক থেকে শুরু করে ২০০৩ সালের দিকে শেষ হয়। আর এই যাবত বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটাই ছিল সব থেকে বড়ো গবেষণা। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমাদের মানব জিনোমকে সিকোয়েন্স করা হয়ে থাকে।

হয়তো এই বিষয় গবেষণার মাধ্যমে সামনে আরো নতুন কিছু আবিষ্কার হবে। এইটার মাধ্যমে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছে, যেমন-এর মাধ্যমে আমাদের বংশগত রোগের যে একটা জটিল বিষয় থাকে, সেটা নির্ণয় করা এখন সহজ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া আমাদের শরীরে যে নানা ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়, তার জেনেটিক কারণ চিহ্নিত করা যায়। এইরকম আরো নানা বিষয় আছে, যা নির্ণয় করা এখন অনেক সহজ হয়েছে আর প্রাণের ঝুঁকিও কমেছে। তারপর যেমন-আমরা সব ধরণের ঔষধ ব্যবহার করি রোগ নিরাময়ের জন্য, কিন্তু আমাদের শরীরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়।

আসলে এই সাইড ইফেক্ট সবার ক্ষেত্রে সব ঔষধে হয় না, কারণ আমাদের প্রত্যেকের শরীরে শরীরে আলাদা আলাদা ভাবে ইফেক্ট পড়ে। আমার হলে সেটা আরেকজনের নাও হতে পারে। কিন্তু এই সাইড ইফেক্ট এর বিষয়টা জানার জন্য এই জিনোম বিশ্লেষণ কাজে আসে এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া এই জিনোমের মাধ্যমে আমাদের পূর্বোজ অর্থাৎ আমাদের বিবর্তন কিভাবে ঘটেছে সেটাও জানা যায়। ভবিষ্যতে AI এর মাধ্যমে এই বিষয়কে আরো অত্যাধুনিক করে তুলবে বলে ধারণা।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.