গুজরাটের দুর্দান্ত প্রদর্শনে হায়দ্রাবাদের স্বপ্ন ভঙ্গ!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল ম্যাচে গুজরাট আর হায়দ্রাবাদ এর মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইপিএল এর খেলাগুলো প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আসলে চেন্নাই আর হায়দ্রাবাদ টিমের কপালটা পুড়লো। আসলে এদের দুই টিমই একপ্রকার যেন নিলামেই হেরে বসে গেছে, বিশেষ করে চেন্নাই। তবে হায়দ্রাবাদ এর আবার টিমে ভালো ভালো প্লেয়ার আছে, কিন্তু মেইন কথা হলো তাদের ম্যানেজমেন্ট একদম ঠিক নেই। তবে যাইহোক, গতকাল ম্যাচটা বেশ ভালো হয়েছে একপ্রকার। হায়দ্রাবাদ টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাটিং করতে পাঠায়। গুজরাট টিমটা বর্তমানে আসলে যে পর্যায়ে খেলুক না কেন বা খেলছে, সবগুলোতে প্রায় ভালো রেজাল্ট।
বিশেষ করে অধিনায়কের আসনে বসে ভালো লিডার করছে গিল। এখানে প্রতি ম্যাচে ভালো রেজাল্ট এর পিছনে অধিনায়কের দায়িত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ন থাকে, কারণ পুরো মাঠের ভিতরে ম্যানেজমেন্ট ঠিক রেখে ম্যাচ বের করা সহজ কাজ না। গিলের যদি আবার বর্তমানে এই পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচের পারফরমাঞ্চ দেখেন, তাহলে মাত্র ৩ টি ম্যাচ বাদে সবগুলোতে এক্সসেলেন্ট রেজাল্ট। মূলত তার এই ভালো খেলার কারণেই আর অধিনায়কের পজিশনে ভালো নেতৃত্ব দেওয়ার কারণেই আজকে এই পজিশনে প্রথম থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। গুজরাট এর ওপেনের থেকে শুরু করে সামনের পজিশনে কয়েকজন ভালো ব্যাটিং করে দিয়ে যাচ্ছে, ফলে রান বা চেজ সবকিছুতেই একটা ভালো ফল বেরিয়ে আসছে।
বাটলার একদিক থেকে এই আইপিএল মরশুমে দারুন ফর্মে আছে, বেশ ভালো ধরে খেলে দিয়ে যাচ্ছে। এই ম্যাচটিতে সাই সুদর্শন আর গিল শুরুটা বেশ দারুন ভাবে করেছিল। রানের গতি ছিল ওভার ছাড়া অর্থাৎ প্রতি ওভারে ১৩+ রান রেট করে এগিয়ে গিয়েছে পাওয়ার প্লে থেকে শুরু করে ১৩ ওভার পর্যন্ত টানা। এই রানের গতিতে কমপক্ষে রান ২৫০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল, আর যেহেতু উইকেট পড়ছিলো না, সেহেতু এইরকমই ভেবেছিলাম। সাই সুদর্শন যেটুকু খেলে গিয়েছিলো, তাতে ভালো ছিল রানটা। তবে গিল ধরে ধরে বেশ ভালো রানের স্কোর তুলে দিয়েছিলো। তবে গিল যদি শেষ পর্যন্ত খেলতে পারতো তাহলে বাটলার আর গিল দুইজনেই ২৫০ নিশ্চিন্তে পার করতে পারতো। তবে গিল ৭৬ রানের মাথায় গিয়ে রান আউট হয়ে যায়। তবে এই আউটটা একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল।
গিল মাঝপথে ঝুঁকে থেমে গিয়েছিলো হালকা, যার কারণে অল্পের জন্য রান আউট হতে হয়। তারপরেও রানের তেজ থেমে থাকেনি, বাটলার একাই ভালো খেলে যাচ্ছিলো। যদিও ওয়াশিংটন সুন্দর বাটলারের সাথে ভালো খেলছিল, তবে ওয়াশিংটন অতটা ভালো ব্যাটার না, বোলিং এর দিক থেকে হলেও। তবে যাইহোক, মোটামুটি সবমিলিয়ে তাও ২২৪ এর মতো রান করেছিল, যেটা এককথায় বলা যায়, অনেক হাই। এই রানের জবাবে হায়দ্রাবাদ আবার শুরুটা ভালো করেছিল, বিশেষ করে অভিষেক এর ব্যাট থেকে ৬ দিয়ে শুরু হয়।
তারপর একপ্রকার লাগাতার ভালো বাউন্ডারি বের হচ্ছিলো। তবে মাঝপথে পার্টনারশীপ ভেঙে যায়, না হেড টিকে থাকতে পারলো আর না ক্লাসেন টিকে থাকতে পারলো। একমাত্র এই অভিষেক আগাগোড়া ভালো খেলে গিয়েছে, কিন্তু বাকিরা একদম বলতে গেলে ভীষণ খারাপ খেলেছে। তাও অনেক কষ্টে টেনেটুনে ১৮৬ রানের দার গোড়ায় পৌঁছেছিল। মোটামুটি এই খেলার রেজাল্ট এর সাথে গুজরাট তাদের প্লেঅফের স্থান একপ্রকার করে নিয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গিল ব্যাটসম্যান হিসেবে যেমন ভালো, তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও সে নিঃসন্দেহে বেশ ভালো নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। গুজরাট এই টুর্নামেন্টে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। যাইহোক এতো বড় স্কোর চেজ করে জেতাটা খুবই কষ্টকর। তবে হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানরা আরও ভালো ব্যাট করলে,হয়তোবা জয়ের কাছাকাছি যেতে পারতো। এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।