শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ২০ )

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। প্রথমত এখানে একটি শাড়ি পরিধিত মহিলার প্রতিরূপ দেখা যাচ্ছে। যেখানে মাটিতে বসে আল্পনা আঁকার একটা দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এখানে তার ব্যাকগ্রাউন্ডে আবার গ্রামীণ জীবনের পটভূমি ফুটে উঠেছে। এখানে এই দৃশ্যের মাধ্যমে, বিশেষ করে আদিবাসী গ্রামীণ নারীর জীবনধারার নিদর্শন ফুটে উঠেছে। এছাড়া এখানে একটি কাঁচের বাক্সের মতো জায়গায় বিভিন্ন প্রাচীন অলঙ্কার, গয়না, ঝিনুক ইত্যাদি সহ নানা রকমের মৃৎশিল্প রয়েছে। আর প্রত্যেকটি বিভিন্ন ক্যাটাগরির রয়েছে। এই ধরণের প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাধারণত বিভিন্ন লোকজ অলঙ্কার ও নানা রকমের উপকরণ তুলে ধরে। আর এইসব মৃৎশিল্প বা যে উপকরণই হোক না কেন, এখানে সবকিছুই গ্রামীণ শিল্পীদের হাতে গড়া।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আর এর মধ্যে আবার অনেক রকম শিল্পই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময়ে ব্যবহার করে থাকে। এরপরে দৃশ্যগুলোতে সাধারণত বিভিন্ন চিত্রকলার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যেমন-এখানে দেয়ালে বিশেষ করে মধুবনী চিত্রকর্ম বেশি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এইধরণের চিত্রকর্ম অনেক প্রাচীন, যেটা আদিবাসী বা তারও আগের থেকে প্রচলিত। এছাড়া এখানে এই দৃশ্যের পটভূমিতে আরো নানা রকমের শিল্পকর্ম রয়েছে। এখানে কাঠের খোদাইয়ের মাধ্যমে তৈরি পাখি, পুতুল ও নানারকমের ডিজাইনের মাধ্যমে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এইসব শিল্পকর্ম সাধারণত বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার চিত্রশিল্প ও হস্তশিল্পকে নির্দেশনা করে। এছাড়া এখানে যেসব মধুবনী পেইন্টিং এর দৃশ্য রয়েছে, তা রামায়ন এর দৃশ্যগুলো ফুটে ওঠে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপরে যে দৃশ্যগুলো রয়েছে, তা সবই বাঁশ ও পাটের তৈরি এবং এইগুলো সব হাত দিয়ে তৈরি করা। এখানে এইসব উপকরণ দিয়ে একটি হাতি আকৃতির ঝাঁপি এবং বেশ কিছু বাস্কেট জাতীয় জিনিস তৈরি করা আছে। এইসব মূলত বিভিন্ন আনাজ এবং অন্যান্য বস্তু সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত করা হতো। এরপরে রয়েছে বিভিন্ন মডেল অর্থাৎ এখানে হাতি, উট এইসবের মডেল তৈরি করা আছে। এইগুলো সবই হাতের তৈরি করা আর এইগুলো হয় মাটি দিয়ে করে থাকে অনেকে মৃৎশিল্প আকারে আবার অনেকে কাঠের গায়ে খোদাই করে তৈরি করে থাকে। এছাড়া এখানে দেয়ালেও বিভিন্ন আল্পনা আকৃতির দৃশ্য তুলে ধরা রয়েছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এছাড়াও অন্যান্য উপকরণও রয়েছে, যেগুলো এখানে বাঁশের মাধ্যমে বাস্কেট বা পাখির খাঁচা ইত্যাদি এইসব তৈরি করা আছে। এরপরে একটি সিকিম রাজ্যের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে অর্থাৎ সেখানকার সংস্কৃতির বিষয়ে। এছাড়া এই স্থাপত্যের গায়ে বিভিন্ন চিত্রশৈলীর ব্যবহার রয়েছে। যাইহোক, এরপরের আলোকচিত্রে একটি প্রাণীর দৃশ্য দেখতে পাবেন। এখানে এটি হিমালয় অঞ্চলের একটি বিখ্যাত প্রাণী হিসেবে পরিচিত। এই প্রাণীটি আবার সিকিম, লাদাখ, তিব্বতীয় অঞ্চলের দিকে একটি গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এইসব প্রাণীর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এদের দুধ আর পশমের জন্য এইসব অঞ্চল অনেক প্রসিদ্ধ।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

শান্তিনিকেতন ভ্রমনে গ্রামীণ জীবনের পটভূমিগুলি দেখতে আসলেই বেশ ভালো লাগে।বিশেষ করে হাতির কারুকাজ ও গন্ডারের দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লেগেছে।আশা করি দারুণ সময় পার করেছেন, ধন্যবাদ দাদা।