ইকো পার্কে কাটানো কিছু সময়
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
অনেকদিন বাদে ইকো পার্ক গিয়েছিলাম, তবে বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম পার্কটিতে দাদাদের সাথে । অনেকদিন কোনো পার্কের দিকে যাওয়া হয় না, আসলে যাবো যাবো করে আর যাওয়া হয় না। কলকাতার দিকে একমাত্র এই একটা পার্ক যেখানে বিকালে বা সন্ধ্যাবেলায় গিয়ে কিছু সময় নিজের মতো করে অতিবাহিত করা যায়। সন্ধ্যার সময় আরো ভালো লাগে, একটু নিরিবিলি মতো পরিবেশ থাকে তখন। আমি গিয়েছিলাম বিকাল বেলার দিকে। এই পার্কটিই আমার কাছে একমাত্র ভালো লাগে কলকাতার দিকে। অন্যান্য পার্কে তেমন একটা ভালো লাগে না, কারণ এই পার্কে এসে যতটা স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়, অন্যান্য পার্কে সেইটা আমার কাছে অনুভব হয় না। আর এটা শুধু আমার একার না, অনেকেরই ভালো লাগার একটা স্থান।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই পার্ক নিয়ে অনেক আগে কিছু পোস্ট করেছিলাম। এই পার্কটিই আসলে বহু বড়ো, তাই হেঁটে দেখার ক্ষেত্রে দমে পারে না। এইজন্য যারা পুরোটা ঘুরে দেখতে চায় একদিনে তারা হয় টয় ট্রেন ব্যবহার করে আর নয়তো ডাবল প্যাডেল এর সাইকেল ব্যবহার করে। আমিও একদিন চালিয়েছি এই ডাবল সাইকেলগুলো, বেশ আরাম আছে পার্কের মধ্যে দিয়ে চালিয়ে যাওয়া। তবে একটা সমস্যা আছে চলাচলের জায়গায় বেশি ভিড় হলে কারো গায় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আমার একদিন লেগেছিলো ভুল করে একটা হিন্দুস্থানি মহিলার গায়ে, তারপরেও বেশি একটা কিছু বলেনি।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
যাইহোক, এ পার্কটি একটা বিশাল জায়গা নিয়ে করা, ফলে যদি কয়েকজন গিয়ে নিজেদের মতো একটা ফুটবল খেলার মাঠের মতোও তৈরি করে খেলা যায় সেটাও হয়। আর অনেকে ক্ৰিকেট, ফুটবল নিয়ে আসে খেলার জন্য যেটা বিকালে খেলে সবাই সেখানে । এই পার্কে যে বড়ো বড়ো জর্বিং বল থাকে অর্থাৎ যেগুলো হাওয়া দিয়ে ফুলায়, অনেক বড়ো বড়ো। এই জর্বিং বলগুলো সাধারণত জলে গড়িয়ে গড়িয়ে খেলার জন্য আর এটা ওই বলের ভিতরে বসেই করতে হয়। আর এইগুলো সাধারণত বাচ্চারা খেলে থাকে, তবে বড়োরাও পারবে, কিন্তু হালকা ওজনের লোক না হলে হবে না, ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ভারী ওজনের কয়েকজন যদি ওঠে। এইগুলোতে বাচ্চারা খুব আনন্দ পায়।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানে একধরণের ফুল চোখের সামনে পড়েছিল, যা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিলো। এই ফুলগুলো সালভিয়া প্রজাতির একধরণের উদ্ভিদের ফুল। এই ফুলগুলোর আরো কয়েকটি প্রজাতি আছে , তবে প্রায় একই গঠনের দেখতে হয়ে থাকে। এইগুলো গঠনভেদে এক ক্যাটাগরির হলেও কালার বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। এই লাল কালারের ফুলগুলো খুবই উজ্জ্বল হয়ে থাকে, আর একসাথে দেখতেও খুব ভালো লাগে। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো যখন বেড়ে ওঠে তখন ঝোপের মতো হয়ে যায় দেখতে। এই ফুলের বাগানও অনেকে করে আর এইগুলো বাড়িতেও বিভিন্ন ভাবে লাগানো যায় যা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে। এই ফুলের উদ্ভিদের পাতাগুলো আবার উপরে এবং নিচের দিকে ভিন্ন টাইপ এর দেখতে হয়, যেমন উপরের দিকে দেখলে দেখতে পাবেন কিছুটা লোমশ টাইপ এর আবার পাতার নিচের দিকটা একদম সমান। ফুলগুলো উজ্জ্বল প্রকৃতির হওয়ায় দেখতে খুবই ভালো লাগে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আরো একধরণের প্রজাতির ফুল আছে যেটা ডেইজি প্রজাতির। এই ফুলগুলো ছোট আকৃতির হলেও এর সৌন্দর্য খুবই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। এই ডেইজি প্রজাতির ফুলগুলো কিছুটা মুকুট সদৃশ হয়ে থাকে এবং এর কালার সাদা-হলুদ ছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রজাতি অনুযায়ী মাল্টিপল কালার এর দেখতে হয়। এই ফুলের শাখাপ্রশাখা কিছুটা শাকসবজির মতো দেখতে হয়ে থাকে। আর এই ফুলের উদ্ভিদগুলো ভেষজ জাতীয় উদ্ভিদ। এইসব ফুলের উদ্ভিদ অনেক ভেষজ গুণাবলীর দিক থেকে উপকারে আসে, তবে সব প্রজাতির না, কারণ কিছু কিছু প্রজাতি থাকে যেগুলো বিষাক্ত ধরণের হয়ে থাকে । এই ফুলের যেমন পাপড়িগুলো সাদা এবং হলুদের মিশ্রনে আছে আবার একদম এক কালারেরও আছে। এক কালারের মধ্যে হলুদ কালারটা খুবই আকর্ষণীয় লাগে দেখতে। এইসব ফুলের আসলে আরো অনেক বিস্তারিত আলোচনা আছে, কারণ এইসব ফুলের উদ্ভিদের সাথে পরিচিত আর রিসার্সের ক্ষেত্রেও এইগুলো প্রাকটিক্যাল এ ব্যবহার করেছি। এর বিভিন্ন পার্ট সূক্ষভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে অনেক তথ্যও পাওয়া যায়।
All photos location: https://w3w.co/rise.rigs.slurping
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | ইকো পার্ক, কলকাতা |
তারিখ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




অনেকদিন পর ইকো পার্কে এসে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন দাদা। আসলেই ইকো পার্কের দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিরিবিলি পার্ক যার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ। এত সুন্দর একটি জায়গা দেখে যেন ভ্রমণ করতে ইচ্ছা করছে।বিশেষ করে এই পার্কের ভিতরে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যা দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।পার্কের ভিতর দারুণ সময় কাটিয়েছেন, সেই মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই পার্কটি অনেক সুন্দর চারিপাশে খোলামেলা জায়গা এবং তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী সারি সারি নারকেল গাছ মুগ্ধকর পরিবেশ। বিকেল মুহূর্তে এরকম সুন্দর জায়গা উপভোগ করতে কেনা পছন্দ করে। আমরাও সময় পেলে এরকম খোলা জায়গায় গিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করি। পার্কটি অনেক বড় সেহেতু সাইকেল নিয়ে নিজের একান্তভাবে ঘুরাঘুরি করার দারুণ মাধ্যম একটু হাসি পেল এর আগে আপনি সাইকেল চালাতে গিয়ে এক ভদ্র মহিলার সাথে ধাক্কা খেয়েছিলেন। আসলে সাইকেল এমন একটা বাহন যেটা দ্বারা অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন হয় ব্যায়াম অল্প খরচে ঘোরাঘুরি অনেক মজা। তাছাড়া এখানে অনেকে ফুটবল ক্রিকেট খেলে থাকে অনেক সুন্দর জায়গা এখানে খেলার মত পরিবেশ রয়েছে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে দাদা ।
এর আগে দাদা, বৌদি এবং আপনার পোস্টে এই ইকো পার্কের সম্পর্কে পড়েছি এবং ছবি দেখেছি। হ্যা জায়গাটা একেবারে প্রাকৃতিক এবং সময় কাটানোর জন্য একেবারে উপযুক্ত বলা যায়। আর কলকাতার মতো শহরে এইরকম ব ড় জায়গা বিশিষ্ট প্রাকৃতিক পার্ক থাকা মানেই বিশেষ কিছু। ফুল গুলো বেশ সুন্দর ছিল দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ইকোপার্কটি সত্যি অনেক সুন্দর। আসলে এরকম জায়গাগুলোতে বারবার যেতে ইচ্ছে করে। এখন পার্কে যাওয়ার সময় পারছেন না কিন্তু যেদিন বৌদি জীবনে আসবে সেদিন থেকে বাসায় থাকার সময় পাবেন না 😅। দেখবেন ঘুরে ফিরে দুই এক দিন পরপর ঘুরতে যাবেন। হিন্দুস্থানি মহিলাটি ভালো ছিল বলেই সাইকেল লাগিয়ে দেওয়ার পরেও কিছু বলেনি। যেসব জায়গায় ভিড়ের পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব জায়গায় সাইকেল চালানো সত্যি অনেক ঝামেলার ব্যাপার। তবে এত বড় পার্ক হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখা সত্যি অসম্ভব। এর আগেও আপনার কোন একটি পোস্টে ইকোপার্ক সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। এছাড়া আমাদের সকলের প্রিয় দাদা এবং বৌদির পোস্টেও এই পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম। বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ এবং চারপাশের প্রকৃতি সবকিছু মিলেমিশে জায়গাটি সত্যি ভীষণ সুন্দর। আর যেই জায়গাগুলো এরকম খোলামেলা এবং সুন্দর হয় সেই জায়গাগুলোতে সময় কাটাতে ভালো লাগে।
দাদা এই ইকো পার্ক নিয়ে আগেও মনে হয় পোস্ট দেখেছিলাম। তবে পার্কটি বেশ সুন্দর বলতেই হবে। আর বিশাল জায়গা জুড়ে বিস্তৃত পার্কটি। ডবল প্যাডেলের সাইকেল আমি কখনো চালাইনি, ভাবছি একবার চড়তে হবে। আবার সাইকেল কারো গায়ে লেগে যায় কিনা ভাবছি 😂
ফুলগুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন পোস্টটি।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।
অনেকদিন আগে দাদা বা বৌদির পোস্টে ইকোপার্ক সম্পর্কে পড়েছিলাম। সেখানে ইকো পার্কের এবং অনেক ফুলের ছবি দেখেছিলাম। আর আপনি আবার সেখানে গিয়েছেন জেনে বেশ ভালই লাগছে দাদা। সেখানে সাইকেল গুলো চালিয়ে পুরো পার্ক ঘুরে দেখা যায় সেটাই বেশ ভালো লাগছে। আর ছবিগুলোর মধ্যে বোঝা যাচ্ছে পার্কটি বিশাল আকারের। সেখানে খেলাধুলার জন্য ভালো একটা জায়গা। যাইহোক আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে পার্ক টি আবার দেখার সুযোগ হলো। আর সালভিয়া ফুল গুলো বেশ সুন্দর লাগছে।
একটু জাদরেল মহিলা হলে তো ঠিক বলতো যে ইচ্ছে করে লাগিয়েছেন।এরপর তো আপনার খবর ই ছিলো।😎
ভালোলাগার জায়গা গুলোতে বারবার যেতে মন চায়। জীবনের ব্যস্ততম মুহূর্তকে কাটিয়ে ওঠার জন্য এবং নিজেকে ভালো রাখার জন্য মাঝেমধ্যে এমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া সকলের জন্যই জরুরী। যাইহোক খুবই ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটা ও ভালো লাগার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই পড়ে। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা কেমন আছেন? আপনাদের ওখানকার ইকো পার্কের কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি বেশ কয়েকটি পোস্টে দেখেছিলাম। তবে আপনার আজকের পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো তো দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ পরিচ্ছন্ন জায়গা এটা । এখানে চাইলে বেশ কিছুটা সময় একা একা নিজের মনের সাথে কথা বলা যায়। এত বড় পার্কে যাবো যাবো করে অনেক দিনে পড়ে গেলেও কি পুরোটা ঘুরতে পেরেছেন, দাদা?
দাদা আপনি ইকো পার্কে গেলেন আর কিছু ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন। দেখে জায়গাটি শান্তি শান্তি ভাব লক্ষ্য করলাম। আপনি বেশকিছু দিন বাদে গেলেন।বিবরন পড়ে আমার খুব ভাল লাগলো। জবিং বল আমি টিভিতে দেখেছি, বলের ভেতর পানির মধ্যে খেলা।আমার বেশ ভালোই লাগে। পার্কটি বললেন অনেক বড়।বেশকিছু ফুলেরও ফটোগ্রাফি দিলেন।দারুন সুন্দর ফুলগুলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।ভাল থাকবেন।