বৈভবের দ্রুততম শতরানে রাজস্থানের মহা প্রত্যাবর্তন!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল একটা অসাধারণ ম্যাচ হয়েছে গুজরাট আর রাজস্থানের মধ্যে। গত এক তারিখ বলেছিলাম যে, রাজস্থানের অবস্থা এমনিতেও খুবই খারাপ, কোনো ম্যাচেই ঠিকঠাক লাস্ট এর দিকে গিয়ে রান হয় না। কিন্তু আজকের খেলাটা একদম অন্যরকম ধাঁচের হয়েছে। টোটাল ৩৫ ওভারের খেলা হয়েছে, কিন্তু রান টোটাল এই ৩৫ ওভারে ৪০০+ হয়েছে। ৩৫ ওভারে টোটাল এই রান মানে একটা অন্যরকম ইতিহাস ক্রিকেট ইতিহাসে অর্থাৎ আইপিএল ইতিহাসে। যদিও এইরকম রান আগেও অসংখ্য হয়েছে, কিন্তু একদম ১৫ ওভারে যে ২০০+ রান ছেড়ে চেজ হবে, এটা একটা অকল্পনীয় বিষয়। মেইনলি এই রান হয়েছে একটা কারণে, রাজস্থানের এই পিচ সম্পূর্ণ ব্যাটিং পিচ ছিল। গুজরাট আগে ব্যাটিং করে অসাধারণ খেলেছিলো ।
উইকেট একপ্রকার পড়ছিল না বলতে গেলে। গিল একাই পিটিয়ে যাচ্ছিলো। পাওয়ার প্লে ওভারে এভারেজ রান হয়েছিল, কিন্তু পরে আবার সেটা ধাপে ধাপে কভারেজ করে ফেলে। তবে একটা বিষয় যে, গিল শুধু যে গুজরাটের হয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব বা দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিডার এর দায়িত্ব করুক না কেন, সব জায়গায় এখন একটা সেরা প্লেয়ারের তালিকায় উঠে এসেছে। সেই প্রথম থেকেই প্রতিটা ম্যাচে বেশ ভালো একটা আকর্ষণীয় পারফরম্যান্স রয়েছে। এই ম্যাচটাতেও সাই সুদর্শন পড়ে যাওয়ার পরেও একাই ম্যাচটাকে জীবিত রেখেছিলো। যেহেতু সাথে বাটলার এসে ভালো একটা পার্টনারশিপ তৈরি করতে সহযোগিতা করেছিল। তবে গিল যেভাবে খেলছিল, তাতে তার সেঞ্চুরি করা দরকার ছিল হিসেবে।
আসলে এর আগেও কয়েকটা ম্যাচে দেখেছি যে, গিল সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও আউট হয়ে গিয়েছে। তবে সে কিন্তু নিজের রানের থেকে টিমকে আগে গুরুত্ব দিয়েছে, ফলে সেঞ্চুরির আশা করিনি। তবে ধরে খেললে করতে পারতো সহজেই, কারণ সামনে আরো অনেকগুলো বল বা ওভার পড়ে ছিল। তবে গিল আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাটলার ম্যাচটাকে আরো সুন্দর পজিশনে টেনে নিয়ে গেছিলো। যদিও পরে তার সাথে তেমন কেউ ভালো একটা পার্টনারশীপ তৈরি করতে পারেনি। তারপরেও বাটলারের সুন্দর একটা ব্যাটিং এর কারণে রান ২০০ পার করে। রানটা একপ্রকার কম ছিল রাজস্থানের কাছে। কারণ তারা এর আগেও এইরকম অনেক রান তাড়া করতে নেমে লাস্টে গিয়ে হিমশিম খেয়ে গিয়েছে। তবে এই ম্যাচটা ছিল অন্যরকম রোমাঞ্চকর।
১৪ বছরের ছেলে যে এমন অদ্ভুত একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে, এটা কেউ আশাই করিনি। সবাই এখন আসলে এটাই ভাবছে, এই হীরা এতদিন লুকিয়ে কেন রেখেছিলাম! আসলেই অসাধারণ ব্যাটিং ছিল এই ম্যাচে। রাজস্থান ব্যাটিং করতে নেমে তো যাইস্বল আর বৈভব দুইজনেই সমান তালে মারপিটো ব্যাটসম্যানের কাজ করে যাচ্ছে। রান রেট হিড়হিড় করে তুলে দিচ্ছে, বৈভব তো যেন এই ম্যাচে রুদ্র রূপ নিয়ে নেমেছিল, যে বল পাচ্ছে, তাতেই ছয় মেরে যাচ্ছে। ৪ আর কয়টা মেরেছে, ৬ দিয়েই রান যেন অর্ধেক বের করে ফেলেছে। মাত্র ৯ ওভারেই ১০০ রান পার করে ফেলে বিনা উইকেটে।
দুইজনের দারুন পার্টনারশীপ ছিল, আর দুইজনেই কম বয়েসে। তবে বৈভব এর একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে, তাকে যদি ব্যাটিং করাটা অর্থাৎ কোন ফরম্যাটে কখন কিভাবে খেলতে হবে,সেই ট্রেইনিং পেলে ভালো একটা ব্যাটসম্যান অপেক্ষা করছে জাতীয় টিমের জন্য। এমনিতেই ভালো ব্যাটিং করে, তবে সব বলে টানাটা একটা ভুল, কারণ সব সময় এক ফরম্যাটে ব্যাট করলে আউট হওয়ার চান্স থাকে বেশি। তবে এদের খেলে দেখে আজকে শেষমেশ ধরে নিয়েছিলাম ১৬ ওভারের মধ্যেই এই রান চেজ হয়ে যাবে, বরং তার আগেই হয়ে গেলো। বেশ দারুন এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী হলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.