হাই স্কোরিং থ্রিলারে বেঙ্গালুরুর অসাধারণ জয়!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল বেঙ্গালুরু আর রাজস্থানের মধ্যে বেশ দারুন একটা খেলা হয়েছে। বেঙ্গালুরু তো একপ্রকার এই বছরের আইপিএল ম্যাচে প্রথম থেকেই বেশ ভালো একটা পজিশন ধরে রেখেছে। কিন্তু রাজস্থানের কপালটাই আসলে খারাপ এই বছর। ম্যাচের শুরুটা করে ঠিকঠাক, কিন্তু শেষে গিয়ে শুয়ে পড়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়। এই ম্যাচটা ব্যাঙ্গালুরুর নিজেদের ঘরের মাঠেই খেলা হয়েছে, আর বেঙ্গালুরু তাদের নিজেদের মাঠে একপ্রকার কোনো ম্যাচ তেমন হারে না বললেই চলে। রাজস্থান টসে জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায়। বেঙ্গালুরু মোটামুটি চেজের দিক থেকে একটু ভালো খেলে, কেননা তাদের ম্যাক্সিমাম ব্যাটসম্যান, বিশেষ করে কোহলি চেজ খুব ভালো খেলে।
যদিও মাঝে মধ্যে আগে ব্যাটিং করলেও রান করে। তো সল্ট মোটামুটি শুরু করেছিল ভালোই, কিন্তু ইদানিং সল্ট একটু কম সময়ে খেলছে, রান এক পর্যায়ে তেমন পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কোহলি এই ম্যাচে দারুন ধৌর্য ধরে খেলেছে। মেইনলি সল্ট পড়ে যাওয়ার পরে পাডিকাল এসে কোহলির সাথে বেশ ভালো একটা জোট বাধে। কারণ আগেও বলেছিলাম যে, ক্রিকেটে এমন একটা পর্যায়ে চলে আসে, যে সেখানে চেজ বলুন আর যে ফরম্যাটে বলুন, পার্টনারশীপ যদি স্ট্রং না হয়, তাহলে কিন্তু একজন ব্যাটসম্যান যতই খেলে যাক না কেন, রানটা মূলত তার ব্যাক্তিগতই হবে, কিন্তু দলীয় রান আর বেশি বাড়ে না। এখানে সল্ট পড়ে গেলেও ঘাটতি পড়েনি, পাডিকল একদম বেস্ট ব্যাটিং করেছে এই পজিশনে। আর কোহলি সাথে তো আছেই।
এখানে মোটামুটি তারা দুইজন মিলে ১২০ রানের বড়ো একটা পার্টনারশীপ তৈরি করে দিয়েছিলো গড় হিসেবে। বাকি রান টুকটাক ডেভিড আর জিতেশ লাস্টের দিকে মেরে ২০০ ক্রস করে দিয়েছিলো। বেশ ভালো একটা স্ট্রং রানের টার্গেট দিয়েছিলো। এইবার এই রান চেজে রাজস্থানের যদি বলি, শুরুটা বেশ স্ট্রং ভাবেই করেছিল। যাইস্বল আর সেই ১৪ বছরের ছেলে বৈভব ভালো ৪ আর ৬ এর মাধ্যমে আহব্বান জানিয়েছিল রান এর। রান রেট ১১+ চলছিল। দুইজনেই সমান তালে খেলছিল। ছেলেটার বয়স কম হলেও হাতে ভালো স্ট্রোক আর নির্ভীক ভাবে হাই স্পিডের বল ফেস করে খেলেছে। এই ম্যাচে যদিও বেশিক্ষন টিকতে পারেনি, তবে যেকয়টা বল খেলেছে, মেরে খেলেছে।
যাইস্বলও বেশ মেরে খেলে আউট হয়েছে, তবে ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারলো না। রানের গতি যেমন ছিল,তাতে এই রান খুব সহজে বেরিয়ে যেত। এই দুইজন পড়ে গেলেও নীতিশ আর রিয়ান পরাগও স্টার্টিং শুরু করেছিল ভালোভাবে। এদের পরে আবার জুড়েলও চমৎকার খেলে গিয়েছে যতক্ষণ ক্রিজে ছিল। মোট কথা শেষের দিকে এই একমাত্র শেষ ভরসা ছিল। বাকিগুলো একটাও আর এসে দাঁড়াতে পারেনি। আর একার উপরে নির্ভর করে এই রান চেজ করা যায় না।
তারপরেও শেষ অব্দি খেলে রানটা অনেক কমিয়ে নিয়ে এসেছিলো। বেশি একটা রান বাকি ছিল না। যদি উইকেট না পড়তো, তাহলে ম্যাচটা হয়তো বের করে ফেলতে পারতো। আসলে রাজস্থান প্রত্যেকটা ম্যাচ বেশ ভালো শুরু করে, কিন্তু শেষের দিকে এসে জিততে জিততে হেরে যায় যে কিভাবে সেটা বুঝে পাইনা। রাজস্থান আর উঠতে পারবে না, বাকি ম্যাচগুলো জিতলেও, আর সবকয়টা জেতাও একপ্রকার কঠিন।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং দেখতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। কারণ তাদের দলে সবসময়ই বেশ ভালো মানের কিছু ব্যাটসম্যান থাকে। যাইহোক রাজস্থান এই ম্যাচটি জিততে না পারলেও,বেশ ভালোই চেষ্টা করেছে জেতার জন্য। এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।