শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ১৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এর আরো কিছু ভাস্কর্য শেয়ার করে নেবো। এইসব ভাস্কর্যগুলো বহু প্রাচীন আদিবাসীদের ঐতিহ্য। এখানে যেসব হস্তশিল্প বা কারিগরি জিনিসপত্র দেখতে পাবেন, এইসব জিনিস আদিবাসী গ্রামের দিকে ছাড়াও বর্তমানে গ্রামঞ্চলের অন্যান্য জায়গাতেও ব্যবহারের পদ্ধতি দেখতে পাওয়া যায়। যাইহোক, এখানে প্রথমে কুলা দেখতে পাবেন, যা আগেকার সময়ে চাল বা ধান ঝাড়া বা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও বর্তমানে এটির চল প্রায় বিলুপ্তের পথে। তারপর মাথায় বা কাঁধে করে একধরণের ঝাঁপি বহন করা হয়ে থাকে এমন শিল্প। এরপর যেসব ছিপ দিয়ে মাছ ধরা হয়ে থাকে বা একধরণের পলো টাইপের পাওয়া যায় মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই সমস্ত হস্তশিল্পগুলো বর্তমানে এইসব কৃষিকাজ, মাছ ধরা এবং খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এরপরে আপনারা একধরণের মডেল চিত্র, এটি মূলত গ্রামীণ আদিবাসীদের। এখানে চিত্রে বিষয়টা দেখা যাচ্ছে যে, কিছু আদিবাসী সম্প্রদায় ঢোল বাজিয়ে সংগীতজ্ঞ পরিচালনা করছে। এছাড়া সেই সম্প্রদায়ের সাথে আরো একটি দল আছে, যারাও এই ধর্মীয় মিছিলে অংশগ্রহণ করছে। এখানে আদিবাসী গ্রামের এই দৃশ্যগুলো বেশ ভালোভাবে তুলে ধরেছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে এর দৃশ্যটা একদম অসাধারণ অয়েল পেস্টেলের টানে ফুটে উঠেছে। এরপরে আপনারা দেখতে পাবেন যে, চিত্রে তিনটি মাটির কলসি এবং একটি ঢোলের ভাস্কর্য আছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই যে মাটির কলসিগুলো আছে, সেখানে জলের পাত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া এখানে যে ঢোলের বিষয়টা দেখানো হয়েছে, তাতে সংস্কৃতিক বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরপরে আপনারা দেখতে পাবেন একটা কাঁচের শোকেসের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মাটির পাত্র এবং হস্তশিল্প। এছাড়া এর মধ্যে আপনারা হাঁড়ি, কলসি, থালা, ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। তারপর আরো কিছু পাত্র রয়েছে, তাতে রান্না, পানীয় জল সংরক্ষণ ইত্যাদি আরো আছে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কাজে ব্যবহার হতো। এছাড়া আরো কিছু কুমোর পাড়ার শিল্পীদের দক্ষতার নানা নিদর্শন রয়েছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এছাড়া আরো অনেক কিছু ভাস্কর্য আছে, যেমন-এখানে একটি বৃহৎ পুতুলের প্রদর্শনী দেখতে পাবেন, যেখানে নারী-পুরুষ, শিশুদের বিভিন্ন পোশাকের ধাঁচ দেখানো হয়েছে। এখানে প্রতিটা পোশাকের ধাঁচের মাধ্যমে যেন পুতুলগুলো লোকজ জীবনধারার একটি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কোনোটি গৃহিনী, কোনোটা কৃষিজীবী নারী এবং কোনোটা উৎসবের সাজে সজ্জিত। এই পুতুলগুলো সাধারণত মনিপুরের দিকের শিল্পীরা বেশি তৈরি করে থাকে, তবে পশ্চিমবঙ্গেরও অনেক জায়গায় এইসব তৈরি করতে দেখা যায়। এরপর আরো কিছু ছোট ছোট পুতুল আছে, যেখানে এইগুলো মূলত কোনো লোককথার উৎসবের চরিত্রের ন্যায় বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই যে মূলত বিভিন্ন পোশাক বা অলংকার এর বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক দিকটাকে তুলে ধরা হয়েছে। এরপরে আছে আদিবাসীদের একধরণের পোশাকের প্রদর্শনী, যা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এই ধরণের পোশাক সাধারণত কোনো উৎসব উপলক্ষে পরা হয়ে থাকতো। এখানে এই আদিবাসী পোশাকের বৈশিষ্ট্যও কিছু অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এখানে একটি ঘোড়া নাচ এর বিষয় দেখতে পাবেন, যা সাধারণত কোনো মাটির তৈরি একটা শিল্প। এই ঘোড়া নাচের বিষয়টা মূলত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ড এইসব অঞ্চলের লোকনৃত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এইসব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগুলো দেখলে মনটা আসলে ভরে যায়। দারুন উপলব্ধি বিষয়গুলো থেকে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.