বিশাল রানের ধাক্কা!

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

ChatGPT Image May 26, 2025, 02_51_33 AM.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল দুটি খেলা হয়েছে, কিন্তু যেন খেলাগুলো এক ধাঁচে খেলা হয়েছে। গুজরাট আর চেন্নাই এর খেলা ধামাকাদার হয়েছে। আসলে এতদিন পর্যন্ত চেন্নাইয়ের যে ধাঁচে খেলা করার কথা ছিল, সেই ধাঁচে এই ম্যাচটাতে খেলেছে। ২০০+ রানের এক জটিল রানের টার্গেট নিক্ষেপ করে দেয় গুজরাটের দিকে। এতো বড়ো রানের টার্গেট আসলে হিমশিম তো খাবেই। এমনিতেই টার্গেট বিশাল হলে সেটা এচিভ করতে গেলে অনেক টেনশন থাকে, আর এতে বেশিরভাগ সময়ে মিস হয়ে যায়। তো যাইহোক, আসলে আমি দেখেছিলাম মূল খেলাটা কলকাতা আর হায়দ্রাবাদ এর।

আসলে এই খেলাটাও হয়েছে আরো বেশি ইন্টারেষ্টিং। সবাই যেন শেষ ম্যাচে এসে একটা ধামাকা করে দিয়ে গেলো। ঠিক যে দুটো টিম বেশি নড়বড়ে ছিল, তারাই যেন শেষ খেলাটা খেলে গেলো মনের মতো। হায়দ্রাবাদ পুরো ম্যাচটা অর্থাৎ টি২০ যেন সেই ২০ ওভার খেলেছে ১০ ওভারের সমান করে। সহজ ভাষায় গণ পিটুনি যাকে বলে হা হা। হায়দ্রাবাদ টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এসেই ধামাকা। যদিও এই মিশনে অভিষেক বেশি একটা কিছু না করতে পারলেও, যে কয়টা বল খেলেছে, তাতে ভালো মতো রান কর দিয়ে গিয়েছে। ম্যাচতো খেলেছে দুই অস্ট্রেলিয়ান। হেড আর ক্লাসেন যেন ঝড়-তুফান সব একসাথে নিয়ে আছড়ে পড়েছে কলকাতার বোলারদের উপরে।

ক্লাসেন এই ম্যাচে খেপেছিলো খুব, যে বলে আসে,তাকেই মেরেধরে ছেড়ে দেয়। স্ট্রাইকে আসলে সেই ওভারে ১০ এর উপরে ছাড়া রান নেই। ৪ আর ৬ এর বাউন্ডারি লাগাতার লেগেই আছে। হেড তো হেডের মতো ঝাড়া মেরে ৭৬ রান করে আউট হয়ে যায়। কিন্তু ক্লাসেন ৩৯ বলে সেঞ্চুরি, মানে ভাবা যায়, কি পরিমানে মেরেছে প্রতি ওভারে। তার উপরে আবার নট আউট পজিশনে আছে। একাই যেন রানের পাহাড় তুলে দিয়েছে। একটা ওয়ানডে সিরিজের মতো রান করেছিল, যেটা একদম হায়দ্রাবাদ তুলেছিল। একবার আর এই শেষ ম্যাচেও অর্থাৎ বিদায় ম্যাচেও যেন সুপার ডুপার রান করে গিয়েছে।

২৭৮ রান অর্থাৎ এক বিশাল পর্বতের সমান রান এই ২০ ওভারের ম্যাচে, তাও মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। কলকাতার আসলে এই রান দেখে এমনিতেই হারের মনোভাব চলে এসেছিলো। কারণ এই রান তোলা মুশকিল, আর তারপর ব্যাটিং পজিশনের এই অবস্থা বর্তমানে। অনেকদিন পরে ডি কক ম্যাচে ফিরে শেষমেশ কোনো লাভ হলো না। এদের মধ্যে ওই এক সুনীল নারিন ঝপাঝপ পিটিয়ে কয়েকটা রান করেছিল, তাছাড়া বাকিদের অবস্থা ঝিমানোর মতো। টেনেটুনে ১৫০ ক্রস করেছিল, কিন্তু ২০০ এর কাছে অব্দি যেতে পারলো না।

অনেক রানে হারিয়েছে তাদের বলতে গেলে। এইরকম খেলা যদি শুরুতে দেখা যেত তবে আরো বেশি রোমাঞ্চকর মুহূর্ত হতো। তবে যাইহোক, এদের দুই টিম কেউই প্লে অফে না যেতে পারলেও খেলাটা বেশ ভালো উপভোগ যোগ্য হয়েছে। বিশেষ করে হায়দ্রাবাদের এই ঝড়ের মতো ব্যাটিং দেখে অনেক মজা এসেছে খেলার মধ্যে। হেড-ক্লাসেনের ব্যাটিং তান্ডবে বোলাররা সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.