গ্রামের লোকাল বাজারে হাট করার অভিজ্ঞতা

আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন? আমার বাংলা ব্লগ? আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা ভালো থাকি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে চমৎকার একটি লাইফ স্টাইল ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হলাম। বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে, গ্রামের লোকাল বাজারে বাজার করার অভিজ্ঞতা। আমি আশা করছি আজকের এই অভিজ্ঞতা আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। সকলেই উপভোগ করতে থাকুন।

গ্রামে আসার পর থেকেই প্রতিনিয়ত আমাকে গ্রামে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে হয়। বিশেষ করে, গ্রামের বাজারে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় টাটকা সবজি পাওয়া যায়। কৃষকরা তাদের জমি থেকে সবজি সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে এবং অনেক সস্তা দামে সবজি ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।

শহরে যেখানে প্রতিনিয়ত সবজি সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং সেগুলোর দাম অনেক বেশি থাকে। তবে শহরের সবজির দোকানগুলোতে অত্যন্ত দাম বেশি থাকে । সেখানে গ্রামের বাজারগুলোতে সবজির দাম অনেক সস্তা এবং টাটকা সবজি পাওয়া যায়।

শহর থেকে আমার বাবা যখন গ্রামে এসেছিল ঈদ উদযাপন করার জন্য তখন আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। যেহেতু আমার পরিবার শহর থেকে অনেকদিন পর গ্রামে এসেছে তাই আমি নিজের হাতে বাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেজন্য আমি মঙ্গলবার এর সাপ্তাহিক বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং সেখানে কার্যক্রম আমার বেশ কিছু ভালো লেগেছিল। আমি লক্ষ্য করলাম, বাজারে প্রচুর পরিমাণে টাটকা সবজি ও মাছ সরবরাহ করা হয়েছে। বাজারে ঢুকতেই আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম এবং দেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম

গ্রামের সাধারণ কৃষক তাদের কৃষি জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পুঁইশাক, ঢেঁড়স, পটল, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লেবু সহ অন্যান্য প্রায়ই সকল সবজি। গ্রামের সাধারণ কৃষক তাদের নিজস্ব জমিতে এই সকল ফসল গুলো উৎপাদন করেছে।

আমি যখন বাজার করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম তখন আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রতিটি সবজির দাম একদম কম ছিল। বিশেষ করে শাক জাতীয় সবজি সহ ধুন্দল ও প্রায় সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ছিল অনেক কম।

গ্রামের সাধারণ মানুষ তৃপ্তি নিয়ে বাজার করছিল। আমি বাজারে ঢুকেছিলাম এবং এরপর আমি প্রথমেই কিছু পটল ক্রয় করেছিলাম । গাছের টাটকা পটল ক্রয় করতে পেরে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। গ্রামে সবজির দাম এত কম বিষয়টি সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছিল।

এরপর আমি বাজার করা ব্যাগ নিয়ে হাটের ভেতরে এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরছিলাম। কি কিনবো সেই বিষয়ে আমি এখনো মনে স্থির করতে পারিনি। অবশেষে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল এবং আমার বন্ধু ঢেঁড়স ক্রয় করছিল। প্রতি কেজি ঢেঁড়স এর মূল্য মাত্র ১৫ টাকা কেজি। বিষয়টি আমাকে বেশ আশ্চর্য করেছিল এবং আমি বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম

ঢেঁড়স বিক্রেতার কাছে আমার বন্ধু ২ কেজি ঢেঁড়স ক্রয় করল এবং সাথে এক হালি লেবু ক্রয় করেছিল। আমিও আমার বন্ধুক অনুসরণ করি এবং আমি ঢেঁড়স ক্রয় করেছিলাম। এরপর আমিও এক কেজি লেবু ক্রয় করেছিলাম মাত্র দশ টাকা দিয়ে।

পুঁইশাক আমার অনেক বেশি পছন্দ। তাই আমি পুঁইশাকের দোকানে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে এক কেজি পুঁইশাক কিনেছিলাম। একদম গাছের টাটকা পুই শাক দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এবং আমি আনন্দিত হয়েছিলাম।

গ্রামের বাজারগুলোতে আরো প্রচুর পরিমাণে সবজি ছিল। এরপর আমি তরকারি হিসেবে এক ছড়া কলা ক্রয় করেছিলাম। কারণ কলার তরকারি খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।

কাঁচা মরিচ সহ অন্যান্য সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করেছিলাম। সর্বশেষ আমি মাছের বাজারে গেলাম এবং মাছের বাজারে গিয়ে পাঙ্গাস মাছ ক্রয় করেছিলাম। পাঙ্গাস মাছ খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি মাছের বাজারে গিয়ে পাঙ্গাস মাছ ক্রয় করেছিলাম এবং আমি আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।

মাঝে মাঝে এমন অভিজ্ঞতা আমার জীবনে আসুক আমিও এটা প্রত্যাশা করি। কারণ ছোট ছোট এই অভিজ্ঞতাগুলো গ্রামের মানুষের জীবন সম্পর্কে অবগত করতে আমাকে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন পর গ্রামের বাজারে হাট করা ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে আমার বেশ কিছুটা লজ্জা লেগেছিল। তবে তার পরেও সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে আমি আমার গ্রামের বাজারে হাট করতে পেরেছিলাম এবং সেই অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ আনন্দ দিয়েছিল। অবশেষে, আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের মাঝে আমার বাজার করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে।