আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে মজাদার প্রকটা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আর এই রেসিপি আমি নতুনভাবে তৈরি করেছি। আসলে দুনিয়া পাতার দিয়ে কখনো পকোড়া রেসিপি তৈরি করা হয়নি। এটা আমি আমার আপুর বাসায় প্রথম খেয়েছিলা।ম তখন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তাই আমি মসুরের ডাল আর এই ধনিয়া পাতা দিয়ে পকোড়া রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি আমার আজকের রেসিপি দেখতে পেয়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন মজাদার এই রেসিপি দেখা শুরু করা যাক।

🍛প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপাদান | পরিমাণ |
১) মুসুরের ডাল | ২০০ গ্রাম । |
২) মরিচের গুঁড়া | পরিমানমতো। |
৩) হলুদের গুঁড়া | পরিমানমতো। |
৪) মসলা বাটা | পরিমানমতো। |
৫) লবণ | পরিমানমতো। |
৬)সয়াবিন তেল | ৪০০ গ্রাম। |
৭)ধনিয়াপাতা | পরিমানমতো। |
৯)আটা | ১/২কাপ। |
মজাদার মুচমুচে ধনিয়াপাতার পাকোড়া রেসিপি রান্না করা শুরু করে দিলাম,যেভাবে রান্না করেছি আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করছি। |
- মসুরের ডাল আর ধনিয়াপাতা দিয়ে মুচমুচে এই পকোড়া রেসিপি তৈরি করার জন্য, প্রথমে আমি ধনিয়া পাতা গুলো কুচি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিলাম এবং তার মধ্যে সকল ধরনের মসলা দিয়ে দিলাম।
- অনন্য মসলার সাথে এই মসুরের ডালগুলো আমি ভালোভাবে মাখিয়ে, পকোড়া রেসিপির গোলা তৈরি করে নিলাম।
- তারপরে কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়ে আমি এই তেল গরম করে নিলাম। তার মধ্যে পকোড়া রেসিপি গোলাগুলো আমি পাকোড়ার সাইজ এ আস্তে আস্তে দিয়ে দিলাম।
- এভাবে আস্তে আস্তে গরম তেলে মুচমুচে এই পকোড়া গুলো ভাজতে লাগলাম। এভাবেই আমি শেষের ধাপে এসে পৌঁছালাম।

ধনিয়াপাতা ও মসুরের ডালের মুচমুচে এই পাকোড়া রেসিপি খেতেও অনেক মজাদার হয়েছিল। এই রেসিপিটি আমি প্রথম তৈরি করেছি। তবে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তাই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এই রেসিপিটা তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমার তৈরি করে রেসিপিটা শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি দেখে আপনাদের ও ভালো লাগবে। 🍲🙏🍲।

ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
ধরণ | রেসিপি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |

আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
রমজান আসার আগে বেশ দারুন একটি পাকোড়া দেখে নিলাম। দেখেই তো মনে হয়েছে বেশ স্বাদে ভরপুর ছিল। আপনি বেশ সুন্দর করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
https://x.com/rayhan111s/status/1889731965240377534?t=D2pc17WYOUf4EIFFGw6q-w&s=19
এইটা একটু দেখে নিবেন ভাই। বিকেলের জন্য একেবারে মুখরোচক একটি নাস্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। আটা,ধনিয়া পাতা এবং মসুরের ডাল দিয়ে চমৎকার একটি নাস্তা রেসিপি বানিয়েছেন। পুরো রেসিপিটি তৈরি করার প্রত্যেকটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি।
মসুর ডাল দিয়ে ধনিয়াপাতার পাকোড়ার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখছি। আমিও মাঝে মাঝে এই পাকোড়া বানাই বাসায়। তবে আমি মসুর ডাল বেশ কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখি এবং হালকা বেটে নেই। আপনি তো মনে হচ্ছে সরাসরি মসুর ডাল ব্যবহার করেছেন। দেখতে অবশ্য ভালোই লাগছে।
শীতকাল মানেই ধনেপাতার রমরমা বাজার। এখন বাজারে টাটকা ধনেপাতা এত বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় দেখলেই মনে হয় সব কিছুতে ধনেপাতা দেই। বইমেলায় দেখেছিলাম গোটা গোটা ধনিয়া পাতার একেকটা পকোড়া করে বিক্রি করেছিল। আর আপনি মসুর ডাল দিয়ে করলেন। এই পকোড়াটাও খেতে ভালো হয় আমার মা করেন। আপনার ভাজার পর পকোড়া যে টেক্সচারটা দেখছি মনে তো হচ্ছে দারুন হয়েছিল খেতে।
মজাদার মুচমুচে ধনিয়াপাতার পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন। পেঁয়াজু, সিঙ্গাড়া ও পাকোড়া গরম গরম খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
মসুর ডাল দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে ধনিয়া পাতার রেসিপি করেছেন। চমৎকার লোভনীয় হয়েছে আপনার পাকোড়া গুলো।এরকম মুচমুচে পাকোড়া খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।ধাপে ধাপে মসুর ডাল ও ধননিয়া পাতার মুচমুচে পাকোড়া রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.