📱কচু, সহজ প্রাপ্যতা যার পরিচয়।

আচ্ছালামুয়ালাইকুম।

সবাইকে বৈকালি শুভেচ্ছা জানিয়ে, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আজ আরেকটি পর্ব উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

আমার আজকের উপস্থাপনায় থাকছে, 'কচু, সহজ প্রাপ্যতা যার পরিচয়'

IMG_20210808_142256~2.jpg

'কচু' বাংলা নামে, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে এক নামে, অতি সুপরিচিত। ভারত উপমহাদেশ তথা এশিয়া সহ বিশ্বের সকল মহাদেশে কমবেশি এর দেখা পাওয়া যায়।

কন্দ জাতের এই বুনো উদ্ভিদটি Aracceae গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি জন্মে থাকে।

অনকুল পরিবেশে, বাড়ির আশপাশ, খোলা মাঠ, পতিত জমি, ছোট-বড় রাস্তার ধার এবং ডোবা-নালার ধারে এমনিতেই বুনো হিসেবে জন্মে থাকে।

কচুর রয়েছে, অসংখ্য জাত। কোন কোন জাতকে পরিচর্যা সহ চাষ করতে হয়।

IMG_20210808_142256.jpg

গরিবের আয়রন ভান্ডার হিসেবে খ্যাত, কচুকে আমরা শহুরে বাবুরা, সবসময় তাচ্ছিল্যের সাথে উপস্থাপন করে থাকি।

কিছু হলেই, 'কচু হয়েছে, কচু দেখো, কচু খাও, কচু করছ এভাবেই উপস্থাপন করে থাকি

কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন - এ, বি,ডি ও কে,মিনারেল, আয়রন এবং অ্যান্টি- এক্সিডেন্ট।

রাতকানা রোগ সারাতে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে নিয়মিত কচু খাওয়া সকলের প্রয়োজন।

কঠিন রোগ উপশম পরবর্তি সময়ে,গর্ভাবস্থায় এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে, রক্তের ঘাটতি পুরনে কচু শাক খাওয়ার কোন বিকল্প নাই।

প্রাকৃতিক ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর এবং মানব দেহকে অক্সাইড মুক্ত করতে কচুর কোন বিকল্প, আজও কিছু ভাল পাওয়া যায় নাই।

সকল কচুতে কমবেশি অক্সালেট দানা থাকে। এজন্য কচু খেলে সামান্য গলা জ্বালা ও চুলকানি হতে পারে।

বন্ধুগন।

আজ এই ছিল আমার কচু নিয়ে লেখা। আবার দেখা হবে আগামী পর্বে নতুন কিছু নিয়ে।

সাথে থেকে, উপভোগ করতেই থাকুন।

IMG_20210808_142252.jpg

IMG_20210808_142249.jpg

IMG_20210808_142247.jpg

১০০% আসল ছবি /লেখা

ছবি ও লেখা, @mrnazrul বাংলাদেশ।

ছবি তুলেছি, মোবাইল দিয়ে

ধন্যবাদান্তে, @mrnazrul

Sort:  
 4 years ago 

আপনার পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শাকসবজি অনেক পুষ্টিকর খাবার। কচুর শাকে ভিটামিন-এ থাকে। যারা চোখে কম দেখে তাদের জন্য খুবই উপকারী।