বর্ধমান রাজবাড়ি বিজয় মঞ্জিলে বৌভাত: পর্ব ১
নমস্কার বন্ধুরা,
চলতি শীতে আমার কাছে বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন যেন ডুমুরের ফুল। মাঝে ২০২১-২২-২৩ এই তিনটি বছরেই প্রচুর পরিমাণে বিয়ের নেমন্তন্ন পেয়েছি কিন্তু ২০২৪ সালের শেষে বা ২০২৫ সালে এসেও তেমন বিয়ের নেমন্তন্ন পাচ্ছি না। সে নিয়ে মনটা একটু খারাপ লাগা কাজ করে। বছরে আট দশটা বিয়ের নেমন্তন্ন পেলে তবেই একটু জমে, তবে বিয়েটা হওয়া জরুরী শীতে। কারণ বাকি বছরের যে কোনো সময়ে বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন থাকলেও সেখান থেকে আমি শত হস্ত দূরে। গরম বা বর্ষা, দুটোতেই বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন খাওয়ার মজা কিছুতেই পাওয়া যায় না। শীতের মরসুম যেন খুব একলাই যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই একটা নেমন্তন্ন পেলাম। আমার খুব কাছের এক কলিগের।
বিয়েটা ছিল বিগত শনিবারের। যাবো সেটা আগে থেকে ঠিক করাই ছিলো, আর কয়েকজন মিলেই যাবো এটাই ঠিক ছিল। তবে বিয়ের দিন সন্ধ্যাবেলা একটু সমস্যা দেখা দিলো যখন আমাদের সাথে যাদের যাওয়ার কথা তাদের মধ্যে একজনের হঠাৎ করে শরীর খারাপ। স্বভাবতই সময়ের কিছুটা রদবদল হয়ে গেল। যেখানে বিয়ে বাড়িতেই সন্ধ্যা ছটার সময় বেরিয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবার কথা, সেখানে ঘর থেকে বেরোতেই রাত্রি সাতটা বেজে গেলো। গন্তব্যটাও ছিল বেশ খানিকটা দূরে সেই মোমিনপুরে।
পৌঁছতে পৌঁছতে রাত্রি সাড়ে আটটা বেজে গেলো। বিয়ে বাড়ি সামনে থেকে সাদামাটা যেমন। ভেতরে গিয়ে একদম অবাক হয়ে গেলাম, বৌভাত একটা পুরনো রাজবাড়ীর আদলে এক রিসেপশন হলে বুক করা হয়েছিল। তারপর গুগলে খুঁজে দেখলাম, আসলে এটি ছিল বর্ধমান রাজবাড়ি। যেটি বিজয় মঞ্জিল নামে পরিচিত। ভেতরে যত ঢুকতে থাকলাম শুধু অবাক হলাম। এত সুন্দরভাবে প্রত্যেকটা জিনিস এখনো সাজানো রয়েছে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো। আসলে পুরনো জিনিসে নান্দনিক সৌন্দর্যতা রয়েছে বর্তমানে খুব কম দেখতে পাওয়া যায়।
রাজবাড়ীর ভেতর দিকটায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল এবং মুখেই ছিল নতুন বর এবং কনে। তাদের উপরের রাজবাড়ির ঝাড়বাতি। পুরোনো বাড়ির বড় বড়ো খিলান, এক ভিন্নরকমের অনুভূতি। বর কনে শেষ খুশির দিনে আমি বাড়ির সৌন্দর্যতা উপভোগ করে খাবারে মন দিলাম। শুরুটা ছিল হালকা, ফিস ফিঙ্গার আর পনির পকোড়া দিয়ে।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা খাওয়া দাওয়া মাত্র শুরু করলেন, আর প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেলো হা হা হা। যাইহোক শীতকালে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার মজাই আলাদা। এই শীতে ৬/৭টা বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেলেছি ইতিমধ্যেই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে কলিগের বিয়েতে গিয়ে সবমিলিয়ে বেশ ভালোই মজা করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।