দন্তধাবন পীড়া
নমস্কার বন্ধুরা,
হাতের সামনে অনেক কিছু একসাথে পেয়ে গেলে যে জিনিসটা আমাদের সাথে হয় সেটা হলো, আমরা আমাদের চাহিদার জিনিসটা পছন্দ করে উঠতে পারিনা। আমার সাথেও ঠিক তাই হয়েছিল, টুথব্রাশ কিনতে গিয়ে। সামান্য কয়েকটা টুথব্রাশ। শুদ্ধ বাংলায় যাকে দন্তধাবন বলা হয়। দন্তের পরিবর্তে দন্তধাবন যে এত পীড়া দিতে পারবে সেটা আমি কল্পনাও করিনি। দন্তধাবন পীড়া কেন বলছি, তাহলে চলুন ঘটনা শুরু থেকে বলি।
সাধারণত আমি বছরের শুরুতে একটা করে ব্রাশের প্যাকেট কিনি যেখানে ৫ টা কিংবা ৬ টা ব্রাশ থাকে। যা আমার সারাবছর ব্যবহারে চলে যায়। এইবার হয়েছে কি, আমার ব্যাগে আরও তিনখানা ব্রাশ ছিল কিন্তু ঘর ওলট পালটের সময় ব্রাশের প্যাকেটটা কোন কারণে হারিয়ে যায়। নতুন ব্রাশ খুঁজতে গিয়ে আমি ফ্যাসাদে পড়লাম কারণ হাতে আমার একখানা সেটাই অনেকদিন ব্যবহার করছি ওদিকে প্যাকেটের পাত্তা নেই। তখন স্থির করলাম, কলকাতা আসতেই ব্রাশ কিনবো।
ব্রাশ কিনব সেজন্য সন্ধ্যাবেলায় বেরিয়ে পড়লাম এক মলের উদ্দেশ্যে। শুধু যে ব্রাশ তা নয় আরো কিছু জিনিসপত্র কেনার ছিল সে জন্যই আমার যাওয়া টা। মলে ঢুকতেই একটা মাইকে কোনো এক অফারের অ্যানাউন্স হচ্ছে সেদিকে খুব একটা কর্ণপাত না করে আমি সোজা চলে গেলাম ওরাল হাইজিনের সেকশনে। সেখানে গিয়ে আমি পড়লাম বেজায় ফ্যাসাদে। কেন ফ্যাসাদে পড়লাম বলছি। ওরাল হাইজিন সেকশনে গিয়ে বেশ কিছু সময় ঘাটাঘাটির পরে আমি আমার পছন্দের ব্রাশ গুলো খুঁজে পেলাম না। সাধারণত ওগুলো সবার আগে রাখা থাকে। এবার এসে দেখছি তার পরিবর্তে অন্য ব্রাশ রয়েছে যেগুলো ব্যাবহার করতে আমি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।
অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরেও আমার পছন্দের জিনিস খুঁজে পাচ্ছি না দেখে হাতের কাছের একটা প্যাকেট তুলে আমি হাটা দিয়েছি বাদবাকি জিনিসপত্র কেনার জন্য। ঠিক সেই সময় দেখতে পেলাম বড় এক কার্টনের মধ্যে অনেক গুলো ব্রাশ। গুচ্ছ দেখে চলে যেতে গিয়েও হুড়মুড়িয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লাম। ও মা! সেই জায়গাতেই দেখি আমার পছন্দের ব্রাশগুলো রয়েছে। এলোমেলো করে। আমি তো দেখেই হাসতে শুরু করলাম। যেখানে আমি মিনিট পনেরো ধরে বিভিন্ন ধরনের ব্রাশ দেখছিলাম সেখানেই আমার পছন্দের ব্রাশটা ঠিক পাশেই আছে অথচ সেদিকে চোখ করিনি।
পছন্দের জিনিস দেখামাত্র ঝপাং করে তুলে নিয়ে চললাম অন্যান্য বাজার করতে। বাকি কেনা কাটা শেষ করে বিল মেটাতে গিয়ে শুরু হলো আসল পীড়া। সব মিলিয়ে আমার বাজার শদুয়েক টাকার হবে। আর পাশাপশি চার খানা বিল মেটানোর লাইনের প্রত্যেক লাইনে প্রায় পনেরো কুড়িজন লোক।
উপায় আর নেই। সপ্তাহন্তের সমস্যা। মিনিট ত্রিশেক লাগলো বিল মেটাতে। ২০০ টাকার জিনিস কিনে ৩০ মিনিট দাড়িয়ে বিল মেটালাম। দন্তের পরিবর্তে দন্তধাবন বেশি পীড়া দিলো।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
টুথব্রাশ এর আর এক নাম দন্তধাবন এটা জানা ছিলনা,আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।এটা কিন্তু ভাইয়া ভালো করেন একবারে একবছরের ব্রাশ কিনে নেন,কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত খুঁজে পাচ্ছিলেন না।মলে এতো ভিড় ছিল যে ২০০ টাকার জিনিস কিনে ৩০ মিনিট দাড়িয়ে থেকে বিল পরিশোধ করতে হলো।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
আসল অর্থ হলো, দাঁতন। তবে দাঁতনের কৃত্রিম রূপ টুথব্রাশ, তাই নয় কি?
হ্যা 🙃।
দাঁতন! শব্দটি অনেক বছর পর শুনলাম দাদা। গ্রামে থাকতে ঠাকুমা সব সময় বলতো পাশের নিমগাছ থেকে দাঁতন ভেঙে নিয়ে আয় দাঁত মাজার জন্য। নিম গাছের দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে নাকি দাঁত সব সময় ভালো থাকে।
দন্তধাবন ! নতুন শব্দ শিখলাম দাদা। সত্যিই এ শব্দটা জানা ছিলনা। তবে ২০০ টাকার বিল দেয়ার জন্য ৩০ মিনিটি লাইনে দাড়ানো আসলেই অনেক বিড়ম্বনা। যাই হোক শেষ পর্যন্ত যে আপনার পছন্দের ব্রাশ কিনতে পেরেছেন এটাই সান্তনা।
মল তাহলে অনেক বড় এবং জনপ্রিয়! না হয় পেমেন্ট দিতেও মানুষের এতো বড় সিরিয়াল থাকতো কেন! তবে ভালো লাগার বিষয় হলো আপনার ওরাল -বি ব্রাশ পেয়েছেন। দেরি হলেও পছন্দের জিনিস তো পেয়েছি, কি বলেন দাদা 😁
টুথব্রাশ এর বাংলা যে দন্তধাবন আমি কিন্তু জানতাম না শুদ্ধ বাংলাটা।যাক নতুন কিছু শিখতে পারলাম।ব্রাশ হারিয়ে ভালোই হয়েছে নতুন ব্রাশ কেনা হলো।😜।যাক খোজাখুজির পর যে পছন্দ মত ব্রাশ পেয়েছেন তাই অনেক।আসলে এমন হয় মাঝে মাঝে কম টাকার বিল মেটাতে অনেক সময় অব্দি দাড়িয়ে থাকা লাগে।😄😄
আমি যখন ৫ থেকে ৬ টি ব্রাশ একসাথে কিনি আমার দাদা 2 মাস যায় ! এর পিছনে বিশেষ কারণ হল আমার ব্রাশগুলো বাড়ির লোকজন নিজেদের মনে করে ভাগাভাগি করে নিয়ে নেয় 🤣🤣। যাক দাদা অবশেষে তুমি তাহলে পছন্দের ব্রাশ পেয়েছো এটাই খুশির ব্যাপার। আমি গতকালকে শপিংমলে গেছিলাম শুধুমাত্র ব্রাশ কেনার জন্য। আমার পছন্দের ব্রাশ পেয়েছিলাম কিন্তু কোন অফারে ছিল না বলে কিনিনি🤭🤭। তারপর যেগুলো অফারে ছিল তার মধ্যে থেকেই কিনে নিয়ে আসলাম দুটি ব্রাশ। বিল কাউন্টারে গিয়ে আমাদের অনেকটা সময় দাঁড়াতে হয়েছিল কারণ সন্ধ্যার দিকে গেছিলাম ওই সময়টাতে একটু ভিড় বেশি থাকে।
এটা তো মনে হচ্ছে বারাসাতের vishal শপিং মল। পুজোর সময় আমিও এখানে গেছিলাম মনে হচ্ছে ওটাই।