ব্রডব্যান্ডের আগমন (পর্ব ২)
নমস্কার বন্ধুরা,
মানুষের কাছে আশা করাটা যে একদমই ঠিক না সেটার প্রমাণ আবার হাতেনাতে পেলাম। সেদিন বেশি পরিমানে টাকা আগাম দেওয়ার পর Alliance ব্রডব্যান্ডের ইন্দ্র বাবু ঝটপট করে অপটিক ফাইবার তারটা বাড়ির পোল পর্যন্ত লাগিয়ে গেলেন কিন্তু তারপরেই বিপত্তির শুরু হলো। অপটিক লাগিয়ে যাওয়ার দুদিন পর্যন্ত তার আর দেখা পেলাম না, বার দুই ফোন করার পরেও তিনি ফোন রিসিভ তো করলেনই না উল্টে কল ব্যাক করার প্রয়োজন টুকুও বোধ করলেন না। আমি বাধ্য হয়ে হোয়াটসএপে মেসেজ পাঠালাম, সেখানেও উত্তর নেই।
যাক কি আর করার! খুব আশা করেছিলাম কানেকশন লাগানোর পরের দিনই বাড়িতে ইন্টারনেট পেয়ে যাবো কিন্তু সেটা আর হলো না। হাল ছেড়ে দিলাম।
বুঝতে পেরেছিলাম ইন্দ্র বাবুর যখন টাকার প্রয়োজন হবে তখন আমাকে ফোন করে বাকি কাজটুকু শেষ করবেন। তাছাড়া অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও নেই। ঠিক দুদিন পর সন্ধ্যায় ইন্দ্র বাবুর ফোন পেযে চমকে গেলাম। অবশেষে টাকার প্রয়োজন হয়েছে। ফোনে ইন্দ্র জানালো কিছু পার্টস কিনতে গিয়ে তাঁর টাকার ফুরিয়ে গেছে। আমি বাক্যব্যায় না করে ইন্দ্রকে টাকা পাঠিয়ে দিলাম।
নাহ! আর দেরী হয়নি। পরদিন খুব সকালেই ইন্দ্র বাবু হাজির হলেন তারপরে বাকি কাজ শুরু হলো। আগে বাড়ি পর্যন্ত অপটিক ফাইবার টানা হয়েছিল, এইবার বাড়ির আরো ভেতরে তার টেনে একটা বাঁশের খুটিতে শক্ত করে বেধে দেওয়া হলো।
প্রাথমিক কাজ শেষ করে ঠিক তার পাশে আরেকটা বাঁশের খুঁটিতে ওয়াইফাই রাউটার বসিয়ে ফাইবার জুড়ে দেওয়া হলো।
সমস্ত কাজ শেষ করে ইন্দ্রকে বাকি টাকাটা দিয়ে দিলাম, টাকা পাওয়া মাত্র সেও প্রথম মাসের ইন্টারনেট প্যাকেজ ভরে দিলো। কিছুক্ষণ পরে দপদপ করে ল্যানের বাতি জ্বলে উঠলো। শান্তি! দৌড়াদৌড়ি করে ইন্টারনেট খোঁজার দিন শেষ। আর আমাকে বাইরে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খেতে হবে না।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমার ব্রডব্যান্ড ছাড়া ভালোই লাগে না। বিশেষ করে চড়া দামে এম বি কিনে কিছুই মন মতো করা যায় না। ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে কিছুটা বিপাকে আছি এখানে ডাটা কিনে কিনে জীবন শেষ। হাহাহা কবে যে আবার ঢাকা যাবো, এই ডাটা কিনার ঝামেলা সেদিন শেষ হবে।
দাদা ঝড়ের সময় রাউটারের,অনুর লাইন খুলে রাখিয়েন।নইলে বজ্রপাতে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও আপটিকে বিষয় টা কমই হয়।
জিও ফাইবার নিতে পারতে। জিওতে ইন্টারনেট স্পিড টা খুব ভালো পাওয়া যায় দেখলাম। কিছুদিন আগে অন্য একটা কোম্পানির ব্রডব্যান্ড ক্যানসেল করে দিয়ে, জিও ফাইবার ঘরে লাগিয়েছি। আমার যতদূর মনে হয় জিও তে ঝামেলা কম তবে তোমাদের ওখানে অন্যরকম হতেও পারে।
দাদা মিষ্টি খাওয়াতে হবে।তা না হলে কিন্তু আবার মশার কামড় খেতে হবে😜😜।যাই হোক অবশেষে পাওয়া গেলো ইন্দ্রবাবুর কল্যানে ব্রডব্যান্ডের লাইন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
গ্রামে থাকার পরেও এই সুবিধা কয়েক বছর আগে থেকেই পেয়ে গেছি। তারপরেও কারেন্ট অফ হয়ে গেলে বুঝতে পারি মোবাইলের ইন্টারনেটের কি জালা। রাস্তায় ৪জি, উঠানে ৩জি, বারান্দায় ২জি, রুমের ভেতরে ইমারজেন্সি।
আর যায় হোক গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করার সময় এমন নেটওয়ার্ক নিয়ে খুবই ঝামেলা।
এখন ব্রডব্যান্ডের আওতায় এসে আমাদের সাথে আরো সুন্দর ভাবে সময় গুলো কাটাতে পারবেন এই আশা করছি।
কথায় আছে টাকা অর্ধেক কাজ করে দেয়। ইন্দ্র বাবু টাকা নিয়ে কাজটি করে দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। কিছু কিছু মানুষ আছে টাকা ছাড়া কিছু বোঝেনা। তবে যাই হোক শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মত হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
সেদিন ঐ পযর্ন্ত দেখে আমি ভাবছিলাম এতদিন হয়তো আপনার বাড়িতে লাইন চলে গেছে। আশ্চর্য আজকে দেখি এই অবস্থা। এটা তো খুবই বিরক্তির। আপনি নিজে সেজন্য এইরকম শান্ত থাকতে পেরেছেন আমি হলে তো ক্ষেইপা যাইতাম। যাইহোক শেষমেশ আসলো ব্রডব্যন্ড লাইনটা এটাই অনেক।।
আপনার এই কাহিনী দেখে আমার কিন্তু একটু কষ্ট লাগছে। কারণ এখন আপনার নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে আপনাকেই দোষ দিতে হবে। আর মশার দোষ দেওয়া যাবে না।😜
যাক অবশেষে সমস্যার সমাধান হয়ে গেল ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড লাইন পাওয়া গেল এখন আর সমস্যা থাকবে না। আসলে এখন শুরু হবে নতুন সমস্যা । নেটওয়ার্ক নেই ইন্টারনেট স্পিড নেই বারবার অপারেটরের সাথে যোগাযোগ আর একটা বিদগতি পরিস্থিতির সূচনা শুরু হয়ে গেল। হতাশ হবেন না ভাই এটাই আমাদের বাংলাদেশ।