টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ভারত
নমস্কার বন্ধুরা,
দুর্দান্ত সেমিফাইনলের সাক্ষী হয়ে থাকলাম। যদিও শুরুতে খেলা হবে কিনা তাতেই অনিশ্চয়তার মেঘ ঘিরে ছিল। গুয়ানাতে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে ঘন্টা দুয়েক দেরী হলো। এমনকি খেলার মাঝ পথেই বৃষ্টিপাতে আবার খেলায় বিরতি। এসবের মাঝেও অসাধারণ একটা ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করলাম। খেলাটা অনেকটা এক তরফাই ছিল তবে খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই ছিলো জমজমাট। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল সাত মাসে দু বার আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে পড়লো।
ভারতের ব্যটাররা ম্যাচের শুরুটা নড়বড়ে ভাবেই করেছিল। কোহলি মাত্র ৯ রানের মাথায় উইকেট হারিয়ে বসে তাঁর কিছু পরেই ঋষভ পন্তকেও প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেয় ইংলিশ বোলাররা। কিন্তু রোহিত শর্মা অন্যদিকে নিজের স্বকীয় অধিনায়কচিত খেলায় পুরো খেলার সমীকরণটাই ধরে রাখলেন। ধীর এবং ঘূর্ণি পিচে প্রথম থেকেই রোহিত শর্মা যথেষ্ট জোরে রান করার প্রচেষ্টাতে সঙ্গী হয় সূর্য কুমার যাদব। দুজনেই রানের গতিটা ধরে রেখে ৮ ওভার ৬৫-২ করে ফেলে। তখন আবার বৃষ্টির জন্য খেলা কিছুটা সময়ের জন্য থেমে যায়। বৃষ্টি থামলে ফের যখন খেলা শুরু হলো দুই ব্যাটার তাদের আগুনে ব্যাটিং দেখাতে থাকলো। রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত অর্ধ শত রান পূরণ করে মারতে গিয়ে আউট হয়। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে সূর্য কুমার যাদবের ইনিংস অর্ধ শত রানের মাত্র ৩ রান আগে জর্ডানের বলে থেমে যায়। শেষে হার্দিক পান্ডিয়া এবং জাদেজার ব্যাটের উপর ভর করে ভারত ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়।
দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পূর্বে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের গলা থেকে লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস বেরিয়ে আসে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে তাঁরা ব্যাটিং শুরু করে প্রথম ও দ্বিতীয় ওভারে কিছুটা চুপচাপ থেকে তৃতীয় ওভারে ১৩ রান নিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার ভারতীয় বোলারদের বুঝিয়ে দেন যে তারা জেতার জন্য মাঠে নেমেছে। বাটলারের সেই স্বপ্নে জল ঢেলে পঞ্চম ওভারে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেয় অক্ষর প্যাটেল। তারপর ইংল্যান্ড ব্যাটার দের যাওয়া আসা। অক্ষর-বুমরা-কুলদীপের বলে খুব তাড়াতাড়ি পঞ্চাশ রানের আগেই ইংল্যান্ডের অর্ধেক দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। হ্যারি ব্রুক ও জোফরা আরচার কিছুটা চেষ্টা করলেও ১০৩ রানের মাথায় ইংল্যান্ডের ১০ ম উইকেট প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ভারত ফাইনালে চলে যায়।
ইংল্যান্ড ব্যাটাররা অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা ভেলকিতে টিকতেই পারলো না। রোহিত শর্মা এবং সূর্য কুমার যাদব দুজনের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে মোটেও বোঝা যায়নি পিচ আসলে বোলার দের জন্য সহায়ক।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আমি থেকেই জানতাম এবছর ভারত টিটোয়েন্টি ক্রিকেট ফাইনাল খেলবে। বিশেষ করে ভারতের ব্যাটিং এবং বোলিং দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বলিং এর থেকে ব্যাটিং পারফরম্যান্স বেশি দেখিয়েছিলেন এ বছরের টিটুয়েন্টি ম্যাচ গুলোর মধ্যে। ভারতের জন্য শুভকামনা রইল। আশা করছি তারা ফাইনালে কাপ জিততে পারবে।
ভালো জায়গায় যেতে পারবে সেটাও আমারও আশা ছিলো।
এ সত্যিই ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য আর এক গর্বের মুহূর্ত। বর্তমানে ভারত বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি। এ বছরও কাপ আমাদের কাছে আসবে আশা রাখি। ভারতীয়দের কাছে ক্রিকেট এক ধর্ম। আপনি যেভাবে খেলাটির ব্যাখ্যা ব্লগের পাতায় তুলে আনলেন তা বড় ভালো লাগলো।
অন্যতম শক্তি 😬, বিগত ১০ বছরে ট্রফির খরা চলছে
খেলা দেখিনি। কেন কি জানি এখন এতো খেলা হয় আগের মতো আগ্রহ পাই না৷ তবে খবরগুলো নিই। আপনার ব্লগটি পড়ে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। এখন মনে হচ্ছে কেন দেখিনি।
যাইহোক ভারতীয় ক্রিকেট টিম কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই৷ সাথে শুভকামনাও।
আমি সোজা সেমি ফাইনাল টাই দেখলাম। আগের বার হারার পর সব খেলা দেখা দেখা ছেড়ে দিয়েছি।
ভারত এবারের টুর্নামেন্টে এককথায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। আর এই ম্যাচে তো ইংল্যান্ড টিমকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে। রোহিত শর্মা এবং সূর্য কুমার এই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। তাছাড়া এই ম্যাচে ভারতীয় স্পিনারদের পারফরম্যান্স ছিলো দেখার মতো। তবে ইংল্যান্ডের কোনে ব্যাটসম্যান ই এই ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
পারফরম্যান্স বেশ ভালোই ছিলো। বোলার রা আমাদের মূল শক্তি
এবং অবশেষে ভারত ফাইনাল টা জিতেও নিয়েছে দাদা। ইংল্যান্ড এর বিরুদ্ধে অসাধারণ একটা জয় তুলে নেয় তারা। আর গতকাল সাউথ আফ্রিকার সাথে শেষ মূহূর্তে কী অসাধারণ একটা জয় তুলে নিলো ভারত। এককথায় অসাধারণ ম্যাচ ছিল।
কি শান্তি যে। আহা।