ব্রডব্যান্ডের আগমন (পর্ব ১)
নমস্কার বন্ধুরা,
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ইন্টারনেট একটা বহুল উপযোগী মাধ্যম। ইন্টারনেট না থাকলে যেন জীবনটাই খুব অধরা হয়ে পড়ে। গ্রামের দিকটায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভীষণ সমস্যা চলতেই থাকে। আর বিশেষ করে যদি কাছে পিঠে কোনো মোবাইলের টাওয়ার না থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই! ২০১৬ সালে 4G রেভোলিউশনের পর থেকে ইন্টারনেট প্রায় সব জায়গাতে মিললেও কিছু জায়গা এখন আছে যেখানে নূন্যতম কথা বলার মতো টাওয়ার পাওয়া যায় না, আর ইন্টারনেট পেতে রীতিমতো দৌড় ঝাঁপ করতে হয়। আমাদের জায়গাটাও ঠিক তেমনিই। সেইসব জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা পাবার একমাত্র পথ ব্রডব্যান্ড।
অনেক সাধনার পর ব্রডব্যান্ডের কানেকশনের খোঁজ পেলাম, একটিই মাত্র অপারেটর সেটিও Alliance ব্রডব্যান্ডের। দুদিন খোঁজ খবর নিয়ে নাম্বার জোগাড় করলাম তারপর যোগাযোগ করলাম অপারেটর ইন্দ্রর সাথে। সকাল সকাল ফোন করলাম। আর ফোনের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্দ্র উপস্থিত। আমি তো অবাক!
ইন্দ্রর যদিও এসে আমার সব আশায় সে জল ঢেলে দিলো। বাড়ির দূরত্ব দেখে বেঁকে বসলো। অনেক ফাইবার অপটিক লাগাতে হবে। অনেক অনুরোধ আবেদনে কাজ না হওয়ায় বাজার মূল্যের দ্বিগুণ অর্থ দিয়ে ব্রডব্যান্ড কানেকশন পাবার প্রতিশ্রুতি আদায় করলাম। ইন্দ্রর মন পাল্টে যায় সেই ভয়ে ৬০% টাকা আগাম দিয়ে দিলাম।
বেশ আনন্দে ছিলাম! খুশি খুশি দুপুরবেলায় স্নান করতে যাচ্ছি, আবার ইন্দ্রর ফোন। ফাইবার অপটিক নিয়ে সে হাজির। মাথা বনবন করে ঘুরছে। যেন ঝড়ের গতিতে কাজ। ইন্দ্রর ফোন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে দেখি বাঁশের মই বেঁয়ে ইন্দ্র ইলেট্রিসিটি পোলের উপরে উঠে ফাইবার লাগাচ্ছে।
আহা! অবশেষে নেটের সমস্যা সমধান হবে। পরপর দুটো পোলে উঠে ফাইবার লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ হলো, ওদিকে দুপুর ১ টা থেকে গড়িয়ে ৪ টা বাজলো। সময় কোথায় বেরিয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। ফাইবার লাগানোর কাজ শেষ করে ইন্দ্র চলে গেলো। যাওয়ার আগে, আগামীকাল বাকি কাজটুকু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেলাম।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এবার তাহলে মশার দোষ হবে না বলছেন শেষ মেষ এ!😀🤪
এবার কাজ করতে ভালো লাগবে।
মশার কামড় খাবার দিন শেষ 😁
হ্যাঁ ভাই বর্তমান সমাজে ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্তও চলা যায় না। কিন্তু মোবাইলে যে ডাটা স্পিড দেয়া হয় একেবারে নিম্নমানের। একটা ভালো লক্ষণীয় বিষয় যে গ্রামাঞ্চলে ও ব্রডব্যান্ড এসেছে। দুঃখের বিষয় হলো ব্রডব্যান্ড দেওয়া হয় তার ইন্টারনেট স্পিড ভালো নয়। আপনার আগামীকাল কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক এই কামনা করি।
ইন্টারনেট দুরস্ত নেটওয়ার্কই তো আসে না। 😆
বর্তমান সময়ে যেন ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত চলা যায় না। প্রতিটা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দরকার হয়। আর যখন নেট সমস্যা করে তখন খুবই খারাপ লাগে। যাক আপনার আজকের থেকে এই সমস্যাটা সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। খুবই ভালো লাগলো বাকি পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
সত্যিই তাই! অন্ধ হয়ে যেতে হয়।
বাজার মূল্যের দ্বিগুণ মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ কী আর করবেন। আমাদের দিকেও মোবাইল নেটওয়ার্কের একই অবস্থা। তবে আমাদের দিকে কিন্তু ব্রডব্যান্ডের সংযোগ বেশ সহজলভ্য।
তাছাড়া আর উপায় ছিলো না!
কি বলবো দুঃখের কথা দাদা, আমাদের গ্রামে অনেক আগ থেকে ওয়াইফাই লাইন রয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত ভালো সার্ভিস দিতে পারল না। কারণে অকারণে লাইন হারিয়ে যায়। বাইরে যেতে হয়। মোবাইলে অবশ্যই নেট কিনে রাখা লাগে। নেট ভালো সার্ভিস দেয় না, যার জন্য বাইরে চলে যাওয়া লাগে। আর মশার কামড় খাওয়া লাগে মশার। কামড় খাওয়া কখনো বন্ধ হবে না। যে লাইন লাগান না কেন ভাই মশার কামড়ের বিকল্প নেই।
আমারও সেই ভয় আছে। কখন যে চলে যায়।
আপনি ঠিকই বলেছেন, যারা গ্রামে থাকে তারাই বোঝে নেটওয়ার্কের সমস্যা কাকে বলে।
খুবই সুভিদা পেলেন, শুভকামনা।
ঝড়বৃষ্টির জন্য একটু সমস্যা হয়, ফাইবার কেবল গুলো নিরাপদ জায়গা দিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা কইরেন। আমিও গ্রামে থাকি, আপনার আনন্দটা বুঝার অভিজ্ঞতা আছে।
Wifi পেলে কথা বলতেও সমস্যা হবেনা।
আমি সদরেই থাকি তবে এই ইন্টারনেট যদি ২০০৭ এ পেতাম তবে হয়তো বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকতাম। আর এখন তো চারিদিকে হুরমুরিয়ে পরছে। এগিয়ে যান দাদা।
সত্যিই শুভ দা। আমরা যদি আগে ইন্টারনেট পেতাম তাহলে খুব সুবিধা হতো।