বর্ধমান রাজবাড়ি বিজয় মঞ্জিলে বৌভাত: পর্ব ২
নমস্কার বন্ধুরা,
বর্ধমান রাজবাড়ি বিজয় মঞ্জিল যতটা সুন্দর ততটাই নান্দনিক। মূলত এত পুরনো অভিজাত এক স্থাপত্য দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হতে বাধ্য তবে আমি যে শুধু স্থাপত্য দেখেই মুগ্ধ হয়েছি তা নয়। আসলে এটি তো এক বিয়ে বাড়ি সেই জন্য কিছু সময় রাজবাড়ির স্থাপত্য কলা দেখে খাবারের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ঝাঁপিয়ে পড়াই বলা চলে। আসলে এই শীতে বিয়ের তেমন নেমন্তন্ন না পাওয়ার জন্য কিছুটা অপেক্ষাতে ছিলাম কোন নেমতন্ন পেলে সেখানে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করবো। আর সে সুযোগ যখন পেয়েছি তখন ঝাঁপিয়ে পড়তেই হলো।
নতুন বর কনে দেখতে দেখতেই খাবার-দাবারের শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেখানে স্টার্টার খেয়ে চলে গেলাম যেখানে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেটা মূলত ছিলো রাজবাড়ির আঙ্গিনা। যার মাথায় খুব সুন্দর আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং পুরো জায়গাটাই ঘিরে রয়েছে নানান ধরনের খাবারের স্টল। এক কোনায় ফুচকা, দই বড়া সেসবে না তাকিয়ে সোজা নন ভেজ স্টলের দিকে চাহনি বাড়ালাম। হামলে পড়লাম বাকি স্টার্টার গুলোর দিকে। সেখানে যেমন বিভিন্ন কাবাব ছিল, তেমনি ফ্রাইস। শুরুটা করলাম পেয়ারে কাবাব দিয়ে। সেটি পাঁচ পিস সাঁটিয়ে তারপর হাতে নিয়ে নিলাম দুটো ফ্রাইস। যেহেতু মেনকোর্স বাকি সেজন্য ফের পেয়ারে কাবাবেই ফিরে গেলাম। হাহাহা।
স্টার্টার খাওয়া দাওয়া করে ছুটে গেলাম মেইন কোর্সে। সেখানে মাটন বিরিয়ানি, চিকেন কষা, পনিরের মশলা। কলকাতা স্টাইল বিরিয়ানিতে একটু আতরের গন্ধ বেশি সেজন্য চলে গেলাম মটর রাইস, সাথে নিয়ে নিলাম চিকেন কষা আর বিরিয়ানির আলু আর মাটনের পিস। চিকেন কষা দিয়ে সাদা ভাত, আহা।
মেইন কোর্স শেষ করে চলে গেলাম মিষ্টির খোঁজে। কুলফি একখানি খেয়ে, দুটো গোলাপ জামুন আর একটা পাপড় নিয়েই ক্ষান্ত দিলাম।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ফুড ব্লগার হলে সবথেকে ভালো হতো। এত রসিয়ে খাওয়ার গল্প গুলো লেখেন বড় ভালো লাগে। তাছাড়া আপনার লেখনশৈলীও বেশ ভালো৷ বাঙালি বলেই বোধহয় কোন কই যিনি না গিয়ে সোজাসুজি ননভেজের দিকে চলে গিয়েছিলেন। খাবারগুলো দেখতে বেশ লোভনীয়। আমি অনেকদিন বিয়েবাড়ি খাইনি জানেন৷ মাঝে মাঝে খুব মিস করি৷
এই কথাটি দাদাকে আমি বছর খানেক আগে একবার বলেছিলাম হা হা হা। দাদা যদি ফুড ব্লগার হতো,তাহলে সত্যিই খুব ভালো হতো।
দাদা শীতকালে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি তো দেখছি একেবারে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো লোভ সামলাতে পারছি না। বিশেষ করে কাবাব গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে ইয়াম্মি লেগেছিল। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।