রেসিপি : রুই মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সপ্তাহে অন্তত তিনদিন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে শাকের অন্তর্ভুক্তিকরন খুবই জরুরি। শাক মানেই অফুরান ভিটামিন সি আর নানান ধরনের খনিজ পদার্থের সমহার, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্তই প্রয়োজনীয়। তাই যখনই সুযোগ পাই আমি এখন শাক রান্না করে ফেলি। আজ যেমন কচুর শাক রান্না করেছিলাম।
পিসেমশাইয়ের গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরার সময় আমার সাথে করে আমি কিছু শাক নিয়েও এসেছিলাম। বাড়িতে বেশিদিন শাক ফেলে রাখলে শুকিয়ে যায় তাই কচুর শাক রান্না করেই সব শাক গুলোর সতগতি শুরু করলাম।
কচুর শাক খুবই উপকারী। কচুতে ভিটামিন সি'র পাশাপাশি নানা খনিজ আছে। কচু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের জন্য উপকারী বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরে। তাছাড়া কচুতে প্রচুর আয়রন উপস্থিত। কচু শাকের উপকারিতা লিখে শেষ করা যায় না তাই রান্নায় চলে যাওয়াই শ্রেয়।
- কচু পাতা
- মাছের মাথা
- পাঁচ ফোড়ন
- ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১/২ টেবিল চামচ জিরে গুঁড়ো
- ১/২ টেবিল চামচ লঙ্কার গুঁড়ো
- নুন
- চিনি (এক চিমটি)
- কাঁচা লঙ্কা
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- গ্যাসের ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে তাঁতে পরিমাণ মতো তেল গরম হতে দেবো।
ধাপ ২
- তেল গরম হওয়ার গেলে আঁচটা কমিয়ে দিয়ে আগে নুন আর হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা মাছের মাথা গুলো গরম তেলে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।


ধাপ ৩
- মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে তুলে রাখবো।
ধাপ ৪
- ভাজা মাছের বাকি তেলেই পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দেবো তারপর কেটে রাখা কচুর পাতা গুলো কড়াইতে চড়িয়ে দেবো।


ধাপ ৫
- স্বাদমতো নুন, হলুদ এবং হাফ কাপ জল দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দেবো।


ধাপ ৬
- কয়েক মিনিট কচুর পাতা গুলো সেদ্ধ হলে ঢাকনা তুলে দেবো। কচুর পাতা অনেকটাই কমে গেছে, এইবার খুন্তি দিয়ে বেশ কয়েকবার নাড়াচাড়া করে দেবো।
ধাপ ৭
- কিছু সময় ধরে কচুর পাতা গুলো আরো সেদ্ধ হলে ভাজা মাছের মাথা গুলো ভেঙে কচুর মধ্যে দিয়ে দেবো। তারপর ভালভাবে নেড়ে দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেবো।


ধাপ ৮
- মিনিট চারেক নিম্ন আঁচে ফোটার পর ঢাকনা খুলে দিয়ে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো আর এক চিমটি চিনি দিয়ে দেবো।


ধাপ ৯
- মশলাগুলোকে ভালো করে ভেজে নিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে কচু গুলোকে আবার সুসিদ্ধ হতে দেবো।


ধাপ ১০
- মিনিট চারেক সিদ্ধ হতেই ঢাকনা খুলে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ১১
- কয়েক মিনিট ধরে ওলট পালট করে ভাজলে কচু পরিমানে কমবে আর রং সবুজ থেকে কালচে হতে হতে থাকবে।
ধাপ ১২
- আঁচ কমিয়ে আরো মিনিট কয়েক ভেজে নিতেই ** মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক** তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

রুই মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক খাওয়া যায় এটা তো একেবারেই প্রথম আমার জন্য।এর আগে কখনোই দেখিনি।তবে রুই মাছ এবং কচু শাক দুটোই আমার অনেক বেশি প্রিয়। রান্নাটি জাস্ট লোভনীয় হয়েছে।
মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাকের রেসিপি অনেক খেয়েছি। আসলেই এটি অনেক মজাদার একটি রেসিপি। আমাদের দেশে রমজান মাসে ইফতারের পর কচুর শাক ঘন্ট বেশি খেয়ে থাকে। মজাদার ও পুষ্টিকর কচুর শাক এর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া অনেক মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে এসেছেন। এই কচুশাক দেখলে আমার জিভে পানি চলে আসে, আমার অনেক পছন্দের একটি শাক, কবে যে লাস্ট খেয়েছি তাও মনে নেই। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দিদি, আপনাদের ওখানে তো কচু পাওয়া খুবই মুশকিল। পাওয়া গেলেও মূল্য দেখে মূর্ছা যাবার অবস্থা হবে। আপনার কিছু পুরোনো স্মৃতি উসকে দিতে পেরে আমি খুবই খুশি। 🤗
কচু শাক সস্তা হলেও অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। বিশেষ করে যাদের চোখের সমস্যা আছে তাদের জন্য এই খাবারটি বেশ কার্যকর। মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক কখনো না খেলেও, কচুর ডাল অনেকবার খেয়েছি। কচুর তরকারি গুলো বেশ সুস্বাদু হয়। খুব সুন্দর ভাবে তরকারি রান্না করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গ্রামের দিকে কিনতেও হয় না। আমি তো পিসের গ্রামের বাড়ির পুকুর থেকে তুলে নিয়ে এলাম। খেতে তো ভালোই হয় সাথে খুবই উপকারি।
যেকোনো শাক মানেই পুষ্টিগুণে ভরপুর ও দারুন স্বাদের।কচুশাক আমার কাছে ও খুব ভালো লাগে।তবে বেশির সময় এটি আমরা হয় চিংড়ি মাছ নয়তো কাঁকড়া দিয়ে খাই।মাঝে মাঝে ইলিশ মাছের ফুলকি দিয়ে বেশ মজার খেতে হয়।তবে এই মাছের মাথা দিয়ে কখনো খাওয়া হয় নি।দেখে মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের হয়েছে রেসিপিটা।👌আমিও একদিন ট্রাই করবো,ধন্যবাদ দাদা।
চিংড়ি দিয়ে আমি খেয়েছি তবে কাঁকড়া দিয়ে কখন খাইনি তবে ইচ্ছে আছে। ইলিশ মাছ দিয়ে কচু শাক করলে তো কোনো কথাই নেই। আমি রুই মাছের মাথা দিয়ে করেছি। অবশ্যই ট্রাই করে দেখো ভালোই লাগবে।
কচু শাক স্পেশিয়ালি আমার নিজেরই অনেক পছন্দের। কচু আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- এ রয়েছে তাতে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমাদের মাঝে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিক, কচুর শাকে অগণিত গুণ বর্তমান। ধন্যবাদ দিদি 🤗
কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। আর ভিটামিন-এ মানুষের চোখের জ্যোতি শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এবং প্রচুর প্রচুর পরিমাণে আয়রন সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমাহার। আমাদের মানব দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য শাকসবজি নিত্যদিনই খাওয়া জরুরি। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের সাথে কচুর শাকের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এবং অনেক সুন্দর পরিবেশ ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
কচু শাক অনেকেই খেতে চায় না তবে কচু শাকের গুণের শেষ নেই। ধন্যবাদ এতো তথ্যেপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য।
কচু শাক আমার খুবই প্রিয়। আপনি মাছের মাথা দিয়ে দারুণভাবে কচু শাক রেসিপি তৈরি করেছেন। কচু শাক রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মাঝে মাঝে আমার বাসায় কচু শাক রেসিপি তৈরি করা হয়। তবে মাছের মাথা দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
প্রথম বার করেছি তাই হয়তো অতোটা ভালো হয়নি। আমার মা করেন পুরো কচুর শাকের পেস্ট মতো করে ফেলেন। ধন্যবাদ 🤗
জী দাদা ঠিকই বলেছেন কচুর শাক খুবই উপকারী। এবং এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাক তো খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। আমার বেশ পছন্দের একটি খাবার।
মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাকটা দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। দিনে দিনে রান্নায় আপনি খুবই পটু হয়ে উঠছেন দেখছি। ভালো একটা রেসিপি ছিল।
ধন্যবাদ ভাই। আরো ভালো হতে পারতো। কয়েকদিন প্র্যাক্টিস করতে হবে তাহলে আরেকটু ভালো হবে।
এই কচু শাক দিয়ে মাছের মাথা খেতে কি যে স্বাদ লাগে তা আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না। আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার এটি। এই খাবার পেলে অন্য কিছু খাওয়ার কথা মনে থাকেনা। আমারা সাধারণত এটি তৈরিতে ইলিশের মাথা এবংবলেজ ব্যবহার করে থাকি। এতে অন্যরকম একটি ঘ্রাণ হয়। কচুশাকের গন্ধটা আর থাকেনা। আপনার আজকের রেসিপি দেখে মুখে পানি চলে আসলো। মনে হল যে এখনই খেতে বসে যাই।
দিদি আমার ক্ষেত্রেও তাই। কচু শাক পেলে আর কিছুর দরকার হয় না। ইলিশ মাছ দিলে তো আর কথাই নেই। 🤗