নারী দিবসের শুভেচ্ছা♀️ 💕
নমস্কার বন্ধুরা,
মা-বোন-দিদি-স্ত্রী-কন্যা। নারীর বিভিন্ন রূপ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে নারীরা আমাদের সবার জীবনের অভিন্ন অংশ। আমাদের জীবনের উন্নতি হওয়ার পেছনে তারাই মূল হাতিয়ার। কখনো মায়ের রূপ হয়ে শক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে, কখনো স্ত্রী রূপে কখনো বা দিদি বা বোন রূপে। তাই নারী দিবস কেবল মাত্র একটি দিন নয়, এটি সব নারীদের শক্তির, তাদের সম্ভাবনা এবং নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। যদিও গতকাল নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে, তবে আমার মনে হয় বছরের প্রত্যেকটা দিনই নারী দিবস হওয়া উচিত।
প্রতি বছর ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। আর এটা পালনের মূল লক্ষ্যই হলো, সমাজে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। পৃথিবীর ইতিহাস তথা ভারতের ইতিহাসে নারীরা শুরু থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গার্গী, অপলা, লোপামুদ্রা হোক কিংবা লক্ষ্মী বাই, অহিল্যা বাই, রাণী রাসমণি। আজ আমাদের সমাজ যতটুকু এগিয়েছে সেখানে যতখানি পুরুষের অবদান ঠিক ততখানি অবদান রয়েছে নারীর। তাদের অবদান জীবন উজাড় করে দেওয়া মা হিসেবে, কখনো সংগ্রামী নেত্রী হিসেবে, কখনো বিজ্ঞানী, শিল্পী কিংবা সমাজ সংস্কারক হিসেবে। সমাজ গঠনের প্রত্যেকটা অংশে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে, নারীরা চিরকাল বৈষম্যের শিকার হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে হোক, কিংবা কর্ম ক্ষেত্রে, এমনকি মৌলিক মানবাধিকার থেকেও তাদের বঞ্চনা স্বীকার হতে হয়।
যদিও বর্তমানে নারী অধিকারে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নারীরা আজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে, নিজেদের জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছে। বিজ্ঞান, শিক্ষা, ব্যবসা, প্রযুক্তি, ক্রীড়া কিংবা রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই নিজেদের সক্ষমতা নারীরা প্রমাণ করছে। তবে তার অর্থ এই নয় সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, একজন পুরুষের তুলনায় একজন নারীর জীবনের অনেক বেশি যুদ্ধ করতে হয় এবং হচ্ছে। তাই নারী দিবস কেবল মাত্র উদযাপনের দিন নয়, বরং এটি সমাজে নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের দিন বটে। সমাজের প্রত্যেকটা অংশে নারীদের গুরুত্বকে সম্মান দিয়ে নারী-পুরুষের সমতার জন্য সবাইকে ঝাপিয়ে পড়া উচিৎ। আমাদের দুই লিঙ্গের সম্পূর্ন সমতা হলে তবেই পুরো পুরি ভাবে দেশ ও সমাজের উন্নয়ন সম্ভব হবে। একজন শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী মহিলা যেমন তার পরিবারের জন্য জরুরি তেমনি সমস্ত জাতির অগ্রগতির গুরু দায়িত্বে তাদের সমান অংশীদারিত্ব জরুরি।
আর তার জন্য যেটা দরকার সেটা হলো নারীর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। যাতে নারীরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারেন। তাই আসুন প্রতিজ্ঞা করি, আমরা উভয় লিঙ্গ মিলে এমন একটি সমাজ গড়ি, যেখানে নারী ও পুরুষ সমান সুযোগ পাবে। আর তখনই হবে আমাদের মা-বোন-দিদি-স্ত্রী কিংবা কন্যা সন্তানদের প্রতি সুবিচার।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বছরের এই একটা দিন মানুষ যেন দলে দলে এসে জানান দেয় বা নিজেরাও মনে করে নারী জাতি আসলেই সমাজের জন্য কতখানি প্রয়োজনীয়। তবে এই নারীরাই কিন্তু যুগে যুগে লোভ লালসা শিকার হয়েছে। ধারালো নখের থাবায় আক্রান্ত হয়েছে রক্তাক্ত হয়েছে। তবে কোথাও গিয়ে আমি বলব বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষ যেখানে সমান সমান চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে সেখানে আলাদা করে দিবস মানার কোন প্রয়োজন নেই। সম্মান দেখানো হবে রোজ ভালোবাসাও থাকবে রোজের। নারীরাও এক্সট্রা ফেসিলিটি নিয়ে বা অযথা জায়গা দখল করে নিজেদের দুর্বল প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগবে না এমনটাই প্রত্যাশা করি। খুবই ভালো লিখেছেন আপনি।
আসলে বর্তমানে নারীরা প্রায় প্রতিটি সেক্টরে অবদান রাখছে। নারীরা ঘরে এবং বাহিরে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং নারীদেরকে ছোট করে দেখার কোনো মানেই হয় না। বরং আমাদের উচিত নারীদেরকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।