পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে ভারত
নমস্কার বন্ধুরা,
মধুরেণ সমাপয়েৎ! পরপর দুটো ম্যাচের সমাপ্তি মিষ্টি ফলাফলের মাধ্যম দিয়ে হলো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। দুই যুযুধান দেশের ব্যাট বলের লড়াই বহুদিন ধরে চলে আসছে তবে সম্প্রতি কালে ভারত সবসময় পাকিস্তানের তুলনায় ভালো খেলে ম্যাচগুলো জিতছে। কিন্তু কোনো প্রতিপক্ষ ছোটো নয়। বিগত ম্যাচে বাংলাদেশের সাথে জিতে ভারতের আত্মবিশ্বাস যেখানে তুঙ্গে, সেখানে ঘরের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে পাকিস্তানের ফিরে আসার লড়াই। টসে জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পাকিস্তান শুরুটা বেশ ভালোই করে। আট ওভার পর্যন্ত বিনা উইকেটে ৪০ রানে পৌঁছে যায়। ৪১ রানের মাথায় হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বলে কে এল রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে প্রথম উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবার আজম। কিছু পরেই ৪৭ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যায় আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক। অল্প ব্যবধানে উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে পাকিস্তানের ২ ব্যাটসম্যান রিজওয়ান এবং সাউদ শাকিল পাকিস্তানের ব্যাটের হাল ধরে। পরবর্তী কুড়ি ওভার দুজনে শক্ত হাতে ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া এবং অক্ষর প্যাটেলের জুটির দুর্দান্ত বলের সামনে দুজন উইকেট হারালে পাকিস্তান ফের কোন ঠাসা হয়ে পড়ে। খুশদিল পাকিস্তানের অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন করলেও উল্টোদিকে উইকেট হারানোর গতি থামাতে পারেনি। কুলদীপ যাদবের ভেলকিতে পাকিস্তান তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে। ২৪১ রানের মাথায় পাকিস্তানের সব ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়ন ফিরে যায়।
২৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজস্ব কুড়ি রানের মাথায় আউট হয়ে যাওয়ার পরে গিল খেলার রাশ ধরে। কোহলিকে জুটি করে ধীরে ধীরে খেলার তালে ভারতকে ফেরাতে শুরু করে। দুই ব্যাটসম্যান সুন্দর ভাবে রানের গতি এগোতে থাকে। ১০০ রানের মাথায় ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের ঝটকা আসে শুভমন গিল রূপে। পাকিস্তানি স্পিনার আবরার আহমেদের কব্জির ভেল্কিতে শুভমন গিল কুপোকাত। গিলের উইকেটের পর বিরাট কোহলি ব্যাটের রাশ ধরে শ্রেয়াস আইয়ারের সাথে দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। দুজনে ১১৪ রানের পার্টনারশিপে ভর করে ভারতের স্কোর বোর্ড সহজেই ২০০ রান পেরিয়ে যায়। কোহলি নতুন রেকর্ডের পালক নিজের মুকুটে জোরে, এক দিবসীয় ক্রিকেটে সবচাইতে দ্রুত ১৪,০০০ পূরণ করার রেকর্ড। ২১৪ রানে শ্রেয়াস আউট হয়, তারপর পান্ডিয়া নেমে সজোরে ব্যাট চালাতে গিয়ে ভারতকে চতুর্থ ঝটকা দেয়। ২২৩ রান ৪ উইকেট হারিয়ে। অক্ষর প্যাটেল বল ও ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে বিরাটের সাথে পার্টনারশিপ করে ধীরে ধীরে ভারতের স্কোর লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করে।
৪১ তম ওভার শেষ হলে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান এবং তখন বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি পূরণে দরকার ১৩ রান। কিন্তু পাকিস্তানি কিপার রিজওয়ান এবং পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদি কোহলির সেঞ্চুরি আটকানোর চেষ্টায় ওয়াইড বল করে ভারতের স্কোর বোর্ডে অতিরিক্ত ৫ রান দেয়। ফলে ভারতের জিত পুরোপুরি নিশ্চিত হলেও বিরাটের সেঞ্চুরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ৪২ তম ওভার শেষে কোহলি ব্যক্তিগত ৯৫ রানে ও ভারতের জেতার জন্য দরকার মাত্র ৪ রান। ৪৩ তম ওভার কোহলি সিঙ্গেল নিয়ে শুরু করে। পরের বলে অক্ষর এক রান নিয়ে কোহলিকে ব্যাট দেয়। ভারত তখন জেতার থেকে মাত্র ২ রান দূরে অপরদিকে কোহলির সেঞ্চুরির জন্য দরকার ৪ রান। শকুনের অভিশাপে যেমন গরু মরে না যেমন, তেমনি পাকিস্তানিদের মুখে জল ঢেলে ৪৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে কোহলির ব্যাট থেকে দারুণ একটি বাউন্ডারির সাহায্যে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। বিরাট মুকুটে আরো একটি সেঞ্চুরির পালক জুড়ে যায়।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ম্যাচটা দারুণ লেগেছে দাদা। তাছাড়া ভারত পাকিস্তানের ম্যাচগুলো দেখতে বরাবরই খুব ভালো লাগে। কোহলি এবং গিল দারুণ ব্যাট করেছে এই ম্যাচে। যাইহোক ইন্ডিয়া এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে। আশা করি এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ভারত জিতবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সত্যি বলতে আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখছিলাম। পাকিস্তানি বোলারদের একেবারে নাজেহাল করে ছাড়ে বিরাট। পাকিস্তানের ইনিংসের হাল সেরকম কেউ ধরতে পারেনি বললেই চলে। মোটামুটি একটা সংগ্রহ দাঁড় করায়।