আমার কিছু ফটোগ্রাফি

সবাইকে প্রথমেই শুভ সকাল। আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ তারিখ: ০৫ জুন,২০২৫ | বার: বৃহস্পতিবার | বাংলা মাস: ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। আমি আজকে আপনাদের সাথে আমার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে এসেছি। ছবি যখন কথা বলে, চোখে না বললেও মনে বলে, তখন আমরা কোনো মূহুর্তকে স্মরণে রাখতে ছবি তুলে রাখি। তবে শুরু করি আজকের আমার ছোট মুহূর্তের ছবি পর্ব।

আকন্দ

আজকে স্টেশনের এদিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম, অনেকদিন বের হই না, বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছে না, তবে আজকে বৃষ্টি একটু কম থাকায় বের হয়েছিলাম।

স্টেশনের বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমি ভাবলাম শুধু শুধু বসে না থেকে একটু হাঁটাচাড়া করে পরিবেশটা দেখি। কোন স্টেশনের এক মাথায় গেলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেকগুলো আকন্দ গাছ। আকন্দ গাছ আমাদের খুবই পরিচিত বাড়ির আশেপাশে সচরাচর দেখা যায়।

আমি ফুল গুলোর ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। আমি ছবি তুলছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম আকন্দের উপকারিতা কি কি!

গাছটা বড় বড় পাতার, একটু ধূসর রঙের সবুজে মোড়া। পাতা ছুঁতে গেলেই বোঝা যায় একটু রুক্ষ, কিন্তু তার উপর ফোঁটা ফোঁটা নরম আর দারুণ দেখতে এই আকন্দ ফুল যেন প্রকৃতির এক রহস্যময় শিল্পকর্ম।

আকন্দ ফুল সাধারণত হালকা বেগুনি আর গোলাপি রঙের মিশেলে তৈরি হয়। পাঁচটি পাপড়ি যেন তারার মতো চারপাশে ছড়িয়ে থাকে, মাঝখানে উঁকি দেয় এক মুকুটের মতো অংশ – একে বলে “ক্রাউন”। এর গঠন সত্যিই অনন্য, একবার দেখলে চোখ ফেরানো যায় না।

এই গাছ তেমন যত্ন ছাড়াও বড় হয়ে ওঠে। রাস্তার ধারে, পতিত জমিতে, এমনকি খালি জমিতেও দেখা মেলে এর। প্রকৃতি যেন এদের নিজের মতো করে বড় করে, ঠিক যেমন মাটির কোলে জন্মানো শিশু।

তবে শুধু সৌন্দর্য নয়, আকন্দের রয়েছে নানা গুণ। বাংলার লোকচিকিৎসায় এর ব্যবহার আছে – পাতা, ফুল, এমনকি লতাও ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ব্যথা, হাঁপানি বা চর্মরোগে।

আমার যখন শ্বাসকষ্ট হতো তখন নাকি আকন্দের চিকিৎসা করা হতো আমার।তবে আমার কিছুই মনে নাই তবে গাছটার উপকারিতার কথা আমার মনে আছে কারণ বাড়িতে শুনছি গাছটা আমার অনেক উপকারে আসছে। আকন্দের পাতার মধ্যে যে ক্রস থাকে এটা খুবই ভয়ঙ্কর চোখে যদি লাগে তাহলে অন্ধ হয়ে যায় মানুষ।

অজানা ফুল

বৃষ্টির পরে গাছের পাতায় জমে থাকা পানির ফোঁটা আর তাজা ফুলের সৌন্দর্য যেন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। সবুজ পাতার মাঝে সাদা (সম্ভবত জুঁই) ফুলগুলো যেন নিরব ভাষায় কথা বলে। কখনও একাকী, কখনও দলবদ্ধ হয়ে এরা জানান দেয় শান্তির বার্তা।

কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে সব কিছুই শুধু সৌন্দর্য নয়। কিছু পাতায় দেখা যায় পোকার খাওয়া দাগ, আবার কোথাও শুঁয়োপোকা বসে আছে পাতার কোণে। এসবই জীবনের অংশ – সুন্দর আর সংগ্রামের সহাবস্থান।

এগুলো দেখে মনে হচ্ছে ভোরেএ আলো সরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে প্রাণে সঞ্চিত হচ্ছে সৌন্দর্যের শক্তি।

এ রাস্তাটা আমার সবচেয়ে প্রিয় রাস্তা। কত হাজার বার যে রাস্তা দিয়ে হেটেছি তার কোন হিসাব নেই । ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাব ভাবতেই এই রাস্তা গুলোর কথা মনে হয়, আর এখানে হাটা হবে না। যাওয়ার আগে সব কিছুই সুন্দর লাগছে। এজন্যই হয়তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, “মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাচিঁবার চাই।” তবে বিদায় আমাদের নিতেই হবে, সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ভাষায়,❝এসেছে নতুন শিশু,তাকে ছেড়ে ফিতে হবে ঠাঁই।❞

আমার পুরোনাম জোনায়েদ আহমদ । স্টিমিট আইডি @junaidahmed।
বাসা নেত্রকোনা সদর নেত্রকোনা । আমি অর্থনীতি বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি, বর্তমানে জবের পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট এ লিখালিখি করি। আমার প্রকৃতির ছবি তুলতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে,বিশেষ করে ফুলের ছবি,সূর্যের অস্ত যাওয়ার ছবি,চাঁদের ছবি আর সাদাকালো বিভিন্ন ছবি।বিভিন্ন বিষয়ে গল্প লিখতেও ভালো লাগে। হলের বারান্দায় আমার কিছু গাছ আছে এগুলোর সাথে মাঝে মাঝে সময় কাটাই। আমি স্টিমিটে জয়েন করি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আমার এই স্বল্প সময়ে আমার বাংলা ব্লগে ক্যারিয়ার শুরু করতে পেরে খুবই আনন্দিত অনুভব করছি। আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

|| আমার বাংলা ব্লগ ||

>>>>>|| ডিসকর্ড চ্যানেলে ||<<<<<

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro}