গল্প: ধুসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড (শেষ পর্ব)|| Story: Gray Earth and the Life Code.
সপ্তম পর্ব | - |
সাল: ৮৮৬৬ ইং
সময়: রাত ৮ টা
রবিনসনের নেতৃত্বে চৌকস দলটি তৈরি হচ্ছে, সাইন্টিস্ট মিসানোর এদের উপর অগাধ বিশ্বাস। এদিকে মিসানোর বিশেষ পোশাক এবং লেজার বোমা তৈরি হয়েছে। মিসানো নিজের মতো করে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন কারন তিনি বাঁচতে চান এবং শত শত মানুষকে বাঁচাতে চান। অবশেষে তিনদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবাণুর প্রতিসেধক তৈরি করে তিনি শরীরে গ্রহন করেছেন। এই খবর পুরো দলটার মাঝে নতুন উদ্মীপনা তৈরি করেছে। অবশেষে সাইন্টিস্ট মিসানো তার ল্যাব থেকে বেরিয়ে সবাইকে জানান তিনি এখন সুস্থ এবং লড়াই করার মতো শক্তি তার রয়েছে।
মিসানো রবিনসনকে ডেকে তৈরি হতে বলেন, আজ রাতেই হবে চূড়ান্ত আক্রমন। রবিনসন বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে জানায় তারা যুদ্ধ করার জন্য তৈরি। মূলত তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে পৃথিবীর যে অংশে এলিয়েন লর্ড অফ কমান্ড টেলিডাগা রয়েছে এবং এলিয়েনরা কব্জা করে রেখেছে, সেখানেই আক্রমন করে তাদের ধ্বংস করে দেয়া।
সাইন্টিস্ট মিসানো তাদের সেই জায়গাটা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ রাতে রবিনসনের দল সেখানে আক্রমণ করবে, তবে ছোট্ট একটি দল আগে বিশেষ পোশাক পরে সেখানে জীবাণু ছড়িয়ে আসবে এবং অপর দলটি তার ছয় ঘন্টা পর সেখানে চূড়ান্ত আক্রমণ চালাবে।
পরিকল্পনা মোতাবেক একটি দ্রুতগামী ফ্লাইং সসারে দুজন মিলে খুব সতর্কতার সাথে এলিয়েন আস্তানায় জীবাণু অস্ত্র চালিয়ে আসে এবং মূহুর্তের মাঝেই সেখানে ছড়িয়ে পরে এই মারাত্মক জীবাণু।
টেলিডাগা কিছু বোঝার আগেই তার সেনাপতি এবং সৈন্যদের মাঝে তীব্র অসুস্থতা দেখা দেয় এবং তারা ছন্নছাড়া হতে থাকে। টেলিডাগা তার সাইন্টিস্ট গোবলীনকে ডেকে বলে কি হচ্ছে তার আস্তানায়। কিছু বোঝার আগেই গোবলীন এবং টেলিডাগা দুজনেই অসুস্থ হয়ে পরে। ধীরে ধীরে এলিয়েন সৈন্যদের কাশি এবং ফুসকুড়ি বাড়তে থাকে।
এদিকে ছয় ঘন্টা পর রবিনসন দশটি ফ্লাইং সসার নিয়ে এলিয়েন আস্তানায় হানা দিয়েছে। সে লেজার বোমা এবং বিশেষ অস্ত্র ব্যাবহার করতে করতে এগিয়ে যায় এবং এলিয়েন সৈন্যদের হত্যা করতে থাকে। অবশেষে অসুস্থ এলিয়েন লর্ড অফ কমান্ডের সামনে আসে এবং তার নিজের ভাষায় বেশ কিছু অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে টেলিডাগাকে হত্যা করে। সবশেষে পুরো জায়গায় লেজার বোমা মেরে সবাইকে নিশ্চিন্ন করে দেয়।
এরপর সাইন্টিস্ট মিসানোর কথা মতো জীবাণুর প্রতিষেধক ছড়িয়ে দেয় পুরো এলাকাতে যাতে কোন মানুষ আক্রান্ত না হয়। অবশেষে পৃথিবী থেকে এই অত্যাচারী এলিয়েনদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেলো। সাইন্টিস্ট মিসানো পৃথিবীকে শত্রু মুক্ত ঘোষণা করলেন এবং রবিনসনকে জাতীয় বীর উপাধি প্রদান করলেন। অবশেষে পৃথিবীতে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করলেন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Heres a free vote on behalf of @se-witness.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1701050680398819578?t=lvMK_I1xTJQOlyVVG03VWw&s=19
ধূসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড এর শেষ পর্বটি পরিবেশ ভালো লাগলো ভাই। যদিও এর আগের পর্বগুলো আমাকে মনে নেই তারপরেও গল্পটি অনেক ভালো লাগলো। এরকম একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।