গল্প: ধুসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড (সপ্তম পর্ব)|| Story: Gray Earth and the Life Code.
সাল: ৮৮৬৬ ইং
সময়: রাত ১০ টা
বন্ধু মিসলেনিয়াসের লাশ সামনে নিয়ে রবিনসন নিরবে অশ্রু বিসর্জন করে চলেছে। সত্যি বলতে ছোট বেলার এই একজন বন্ধুই তার ছিল, আজ সে মৃত। কিছুতেই সে মেনে নিতে পারছেনা তার বন্ধু বেঁচে নেই। পেছন থেকে পিঠে কার যেন হাতের স্পর্শ পেয়ে সে ঘুরে দাড়ালো। সাইন্টিস্ট মিসানো তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে, তার চোখ দুটো ছলছল করছে। তিনি রবিনসনের ঘাড়ে একটা ঝাকুনি দিয়ে বললেন শক্ত হও, তোমার বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ আমরা নেবো। তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়ার সময় এসে গেছে। রবিনসন চোখ মুছে এই বৃদ্ধ মানুষটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে, কত দৃঢ় মনোবল। রবিনসন বললো আমরা পরবর্তী আক্রমণ কখন করবো। একটু চুপ থেকে মিসানো বলতে থাকে, আমি দুটো অস্ত্র তৈরি করবো একটি হচ্ছে জৈব অস্ত্র এবং অন্যটি লেজার বোমা। জৈব অস্ত্রটি তাদের উপর গোপনে প্রয়োগ করবো যার ফলে ওরা অসুস্থ এবং দিশেহারা হয়ে পরবে। সবশেষে তাদের উপর লেজার বোমা হামলা করে নিশ্চন্ন করে দেবো।
মিসলেনিয়াস বলতে থাকে, তোমরা যে মিশন চালিয়েছো একটু আগে সেখান থেকে একটা এলিয়েনের লাশ আমি আনিয়েছি। এখন এটার উপর গবেষণা চালিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আমি জৈব অস্ত্র তৈরি করবো, কারন শুধুমাত্র লেজার বোমা দিয়ে ওদের সাথে পেরে উঠবো না আমরা। সাইন্টিস্ট মিসানো কথাগুলো তাড়াতাড়ি বলে তার ল্যাবের দিকে চলে গেলেন। তার গবেষণার কাজ চলছে আর রবিনসনরা নিজেদের তৈরি করে চলেছে।
এদিকে ছয়জন এলিয়েনের মৃত্যু এবং তিনটি ফ্লায়িং সসার বিধ্বস্ত হবার ঘটনায় এলিয়েন লর্ড অফ কমান্ড টেলিডাগা ভীষণ ক্ষীপ্ত হয়ে যায়। সে আক্রোশে ফেটে পরলো এবং আবারো তিনটি ফ্লাইং সসার পাঠিয়ে তাড়াতাড়ি মানুষ উঠিয়ে আনতে বলে, তবে তিনটির সাথে আরো তিনটি সসার গোপনে পাঠায় তাদের রক্ষা করার জন্য। না এবার রবিনসনরা চুপচাপ রয়েছে কারন তারা মরন কামড় বসাতে চায়। তাই নির্বিঘ্নে এলিয়েনরা লাইফ কোড ধরে মানুষ উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে প্রায় পনেরো দিন সাইন্টিস্ট মিসানো তার ল্যাব থেকে বের হচ্ছেই না, সবাই তার চরম ব্যাস্ততা দেখেছে। কিন্তু তার ল্যাবে প্রবেশ করার অনুমতি কারোর নেই। হঠাৎ সাইন্টিস্ট মিসানো ইউরেকা বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। সবাই বুঝতে পারলো কাজ হয়ে গেছে। সাইন্টিস্ট মিসানো মাইকে ঘোষণা দিয়ে হল রুমে আসতে বললো। সবাই যে যার অবস্থান ছেড়ে দ্রুত হল রুমের দিকে ছুটতে থাকে। মিসানো বলতে শুরু করে আমি আন্জার বইসাস নামক একটি জীবাণু আবিষ্কার করেছি যার মাধ্যমে এলিয়েনের শরীরে প্রবেশ করে তাদের প্রোটিন ধ্বংস করতে থাকবে এবং তাদের তীব্র কাশি দেখা দেবে। এর ফলে তারা দিশেহারা হয়ে যাবে, তাছাড়াও যেসব এলিয়েনর একটু কম প্রোটিন রয়েছে তারা খুব তাড়াতাড়ি মারা পরবে। এই জীবাণুটা ভীষণ ছোঁয়াচে এবং অতি সংবেদনশীল। মানুষের শরীরে তেমন ক্ষতি না করলেও আমাদের সতর্কতার সাথে এটা ব্যাবহার করতে হবে। ভালো মানের মাস্ক এবং হ্যান্ডগ্লোবস পরে একে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মিসানো তার পুরো টীমকে বুঝিয়ে দিয়েছে এই জৈব অস্ত্র কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে, তাছাড়াও তার লেজার বোমাও প্রায় তৈরি। হঠাৎ সাইন্টিস্ট মিসানো বেশ জোরে জোরে কাশতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তার মুখ থেকে রক্ত বের হতে থাকে। সবাই তাকে ধরার জন্য এগিয়ে এলেও তিনি সবাইকে সরিয়ে দিয়ে তার ল্যাবে তাকে আবদ্ধ করে ফেলেন। সবার উদ্দেশ্যে তিনি মাইকে বলেন আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে, এই ক্ষতিকর জীবাণু আমার ভেতরে বাসা বেঁধেছে। তাই আজ থেকে আমি সবার কাছ থেকে আলাদা থাকবো, আর তোমরা এই অস্ত্র ব্যাবহারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। আমি তোমাদের জন্য একটি বিশেষ পোশাক তৈরি করছি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই এলিয়েনদের উপর আক্রমণ করবো, এই বলে তিনি অনবরত কাশতে থাকেন। পুরো পরিবেশটা অনেকটাই থমথমে হয়ে যায়।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

https://twitter.com/emranhasan1989/status/1698367501879656857?t=9_UTl3oDhKeHA6svM659NQ&s=19
Heres a free vote on behalf of @se-witness.