গল্প: নীলাভ প্রেম। || Story: Blue Love. 💙 ( Part-7)
যথারীতি সোনম চলে যায় তার কলেজে, কিন্তু প্রতিবার বেশ আনন্দ আর উচ্ছাস কাজ করলেও এবার ব্যাপারটা ভিন্ন। কেমন যেন হঠাৎ মনমরা হয়ে যায় সোনম, যেন মনে হচ্ছে কোথাও সে কোন কিছু ফেলে এসেছে। এর আগে কখনো সে এরকম ফিল করেনি, তাহলে এটাই কি ভালোবাসা। অপ্সরা মেয়েটাকে কি সে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছে? এরকম সব চিন্তা নিয়ে সে মনমরা হয়ে বসে আছে বারান্দায়। এদিকে বন্ধু উৎপল ব্যাপারটা স্পষ্ট বুঝতে পারে সোনমের কিছু একটা হয়েছে কারন বাড়ি থেকে আসার পর থেকে সে মনমরা।
উৎপল সরাসরি জিজ্ঞেস করে কিরে কি হয়েছে তোর? বাড়ি থেকে আসার পর থেকেই তুই বেশ মনমরা। সোনম জানায় কিছু না দোস্ত, এমনিতেই ভালো লাগছেনা। উৎপল নাছোড়বান্দা সে কিছুতেই সবটা না জেনে যাবেনা এখান থেকে সোনম নিজেও জানে। সোনম ধীরে ধীরে বলতে শুরু করে সবটা। উৎপল আনন্দে নাচতে থাকে, দোস্ত তুই প্রেমে পরেছিস। তোকে প্রেমের রোগে ধরেছে। তাড়াতাড়ি মেয়েটাকে বলে দে তুই তাকে ভালোবাসিস। সোনম বলে দূর বোকা এটাকে কি প্রেম বলে? উৎপল জবাব দেয় যদি তার কথা ভেবে তোর মন খারাপ হয় আর বুকের মাঝে হাহাকার তৈরি হয়, তাহলেই ধরে নিবি তুই আর তোর নেই, তার হয়ে গেছিস। এবার সোনম হেসে দেয়, ব্যাপারটা ঠিক এরকমই, দোস্ত তাহলে তো আমি মেয়েটাকে ভালোবাসি 😃
উৎপল বলে তাড়াতাড়ি তুই মেয়েটাকে বলে দে তাকে ভালোবাসিস, তাহলে তুই নিজেও কষ্ট পাবি না আর মেয়েটার অশ্রুজল বন্ধ হবে। সোনম জানায় তার ফোন নাম্বার তার কাছে নেই, তবে নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে এসেছে। উৎপল বলে দোস্ত দেখিস বিকেলের মধ্যে ফোন আসবে কারন সে তোর সাথে কথা না বলে থাকতে পারবে না। ঠিক তাই হলো বিকেলের দিকে হঠাৎ অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন। ফোন ধরার পর অপর পাশে কোন সারা শব্দ নেই। একটু পর খুব চিকনসুরে একটা চাপা কান্নার আওয়াজ পেল সোনম। এবার সে ডাক দিয়ে উঠলো অপ্সরা। এবার অপর পাশ থেকে সম্মতি সূচক শব্দ বেরিয়ে এলো।
সোনম বলে আর কেঁদো না, আমি নিজেও বুঝতে পেরেছি আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি। প্লিজ তুমি কেঁদো না, আমি তোমাকে ভালোবাসি। অপরপাশে তখনো কান্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, হয়তো এটা আনন্দ অশ্রু। এবার সোনম চুপ থাকতে পারলো না, একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো চোখের কোনে। কিভাবে কেউ কাউকে এতটা ভালোবাসতে পারে?
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
এটা বেশ ইমোশনাল ছিল। ভালোবাসার ব্যাপার টাই সম্ভবত এমন হয় বেশ আলাদা। চমৎকার লাগল আপনার এই পর্ব টা। তবে অপেক্ষায় আছি শেষ পযর্ন্ত এই ভালোবাসার পরিণতি কী হয় সেটা জানার জন্য।।