বারবিকিউ চিকেন পিৎজা খাওয়ার মূহুর্ত। || Just yummy 🤤 🍕

in আমার বাংলা ব্লগlast year
বারবিকিউ চিকেন পিৎজা খাওয়ার মূহুর্ত

ছবিটি কেনভা দিয়ে তৈরি

শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রী হুট করেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরে। সেই সময়টাতে আমার মন হুট করেই ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। আমি শারীরিক এবং মানসিকভাবে বেশ চাপের মধ্যে পড়ে যাই। যদি ঘরের গৃহিণী অসুস্থ থাকে তাহলে সেই ঘরের অবস্থা কি হয় নিশ্চয়ই আপনারা সবাই সেটা জানেন।
তাই হোক তার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেলো যে তাকে নিয়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হলো।

আমাদের ভালুকায় বেশ কিছু ভালো হাসপাতাল রয়েছে, ডক্টরস ক্লিনিক নামেই বেশ ভালো একটি হাসপাতালে তাকে সেখানে নিয়ে গেলাম। প্রথমেই চিকিৎসক তাকে দেখে এবং কথা বলে বেশ কিছু টেস্ট করতে দিলেন। আমি বিল মিটিয়ে তাড়াতাড়ি তার পরিক্ষা নীরিক্ষার ব্যাবস্থা করে দিলাম। ল্যাব থেকে জানানো হলো অন্তত আমাদের ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করতে হবে রিপোর্ট হাতে পেতে হলে। এদিকে প্রায় দুপুর বারোটা বেজে গেছে, বাচ্চাদের খিদে পেয়েছে।
হঠাৎ করেই সামনে দেখতে পেলাম ডক্টরস ক্যাফে নামক সুন্দর একটি রেস্তোরাঁ।

আমি ইলমাদের নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে পুরো পরিবেশটা একবার দেখে নিলাম। সত্যিই পুরো রেস্তোরাঁ বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছে ওরা।

ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

একপাশে বেশ বড় দেয়াল ঘড়ি দেখতে পেলাম। এটা দেখতে ভীষণ সুন্দর, তাছাড়াও পুরো জায়গাটাতে লাইটিং চোখ ধাঁধানো সুন্দর ছিল। ইলমা তার মায়ের মোবাইল নিয়ে বেশ কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলো।

যাইহোক আমি খাবারের অর্ডার দেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। আমার ইচ্ছে ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই এধরনের খাবার খাওয়ার। কিন্তু ইলমা পিৎজা খেতে বায়না ধরেছে। কি আর করা অবশেষে পিৎজা অর্ডার করলাম। এখানে বেশ কয়েক রকমের পিৎজা পাওয়া যায় আমি বারবিকিউ চিকেন পিৎজা অর্ডার করলাম দুটো। তারা জানালো তাদের একটু সময় দিতে হবে খাবার তৈরি করার জন্য। আমরা হাসি মুখে মেনে নিলাম, কারন আমাদের বেশ কিছুটা সময় সেখানে অপেক্ষা করতে হবে রিপোর্ট পেতে হলে।


ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

যতক্ষনে খাবার আসছে ততক্ষণ তো আর বসে থাকা যায়না। আমরা ফটোসেশন শুরু করে দিলাম 😄
একদিকে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম ওর রিপোর্ট কেমন আসে।

ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

আমরা ছবি তুলে সময় কাটাতে লাগলাম। ও আরো একটা মজার ব্যাপার হলো ইয়ানের আবার হঠাৎ করেই ফিডারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়েছে, তাই তাকে আবারো চমৎকার একটা ফিডার কিনে দেয়া হয়েছে।😄


ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

অবশেষে আমাদের পিৎজা হাতে পেলাম। ততক্ষণে পেটে ইদুর ছুটোছুটি করছে 😋 তাড়াতাড়ি আমার স্ত্রী এবং আমি দুজনে মিলে পিৎজা প্লেটে উঠিয়ে দিতে শুরু করলাম।

ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

এরপর শুধু পেট পুরে লোভনীয় স্বাদের পিৎজা খাওয়া 😋
আহা পয়সা উসুল, জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে পিৎজা গুলো। আমার ছেলে মেয়ে বেশ উপভোগ করেছে খাবারটি।
এরপর খাবারের বিল মিটিয়ে রিপোর্ট নিতে চলে এলাম আবার হাসপাতালে। আলহামদুলিল্লাহ রিপোর্ট ভালো এসেছে 🤗 আর এখন সে আগের থেকে বেশ সুস্থ রয়েছে।



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

banner-abbVD.png

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আসলেই পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। যাই হোক হসপিটালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে। একটু সময় পেলেন তার পর সবাই মিলে বারবিকিউ চিকেন পিৎজা খেয়ে বেশ চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে আপু এখন আগের থেকে সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।

 last year 

ভাবি আগের চাইতে অনেকটা সুস্থ আছে জেনে খুশি হলাম। হসপিটালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন এবং পরিবারের সঙ্গে বারবিকিউ চিকেন পিৎজা খেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিপোর্ট কেমন আসে, অবশেষে রিপোর্ট ভালো হয়। ভাবির জন্য শুভকামনা রইল। পিৎজা খাওয়ার মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 last year 

হ্যা ও এখন আগের থেকে একটু ভালো।
সেদিন ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বেশ চমৎকার পিৎজা উপভোগ করলাম।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘরের গৃহিণী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সংসারের বেহাল অবস্থা হয়ে যায়। তারপরও তো সেই গৃহিণীর দিকে নজর দেন না, সারাক্ষণ তাদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে খাটিয়ে মান😔। যাই হোক ভাবি অসুস্থ জেনে খারাপ লাগছিলো। কিন্তু অবশেষে যখন সব রিপোর্টে পজেটিভ এসেছে তখন খুব ভালো লাগলো। রিপোর্ট পজেটিভ আসলে এই কথা শুনে যেনো সব রোগী সুস্থ হয়ে যায়। যাই হোক রিপোর্ট আসার মাঝখানের সময়টা তো দেখছি ছেলেমেয়ের সাথে খুব ভালো কাটিয়েছেন। আপনার ছেলে ও মেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছে তাদের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি। পিৎজা সত্যি খুবই লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপু।
গৃহিণী অসুস্থ হলে সত্যিই ঘরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক এখন ও আগের থেকে একটু ভালো রয়েছে। আর আপু আমি বাসায় সময় একদমই দিতে পারিনা, যাইহোক দোয়া করবেন ওদের জন্য।

 last year 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘরে গৃহিণী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে ঘরের অবস্থা সত্যি খুবই খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক ভাবীর শরীর খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করছি। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সেখানে গিয়ে খুব মজার খাবার খেয়েছেন। এবং সেই মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। পিৎজার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে পিৎজাটা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। এবং আপনার অনুভুতি করে বুঝতে পারলাম খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাদের পিৎজা খাওয়ার সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year (edited)

বাড়ির হোম ম্যানেজার অসুস্থ থাকলে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। আগের থেকে এখন সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। বারবিকিউ চিকেন পিৎজা খাওয়ার মূহুর্ত গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। ইলমা এবং ইয়ান বাবু সময়টাকে অনেক সুন্দর উপভোগ করেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। বারবিকিউ চিকেন পিৎজা খেয়ে পয়সা উসুল করে নিয়ে ভালো কাজ করেছেন। আপনাদের জন্য শুভ দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।

 last year 

ভাবী অসুস্থ শুনে খারাপ লাগলো। কারন মা অসুস্থ হলে বাচ্চাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। কোন কিছুই ঠিক মতো হয় না।ভাবির সুস্থতা কামনা করছি।রিপোর্ট ভালো এসেছে জেনে ভালো লাগলো। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্ষুধা পেয়ে গেলো তাই সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলেন পিৎজা খেতে গিয়ে ভালো ই করেছেন।সবাই বেশ মজা করে পিৎজা খেয়েছেন আর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সবাইকে দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

ব্লগটি পড়ে প্রথমে টেনশনে ছিলাম। রিপোর্ট ভালো এসেছে,জেনে ভালো লাগলো। তবে ইয়ানের আবার হঠাৎ করেই ফিডারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হলো কেন সেটা তো বুঝলাম না। হয়তো কারো কাছে দেখেছে, বাবা আবার ছোট হতে চাই,হে হে হে। ধন্যবাদ।