চাটুকারিতা এবং স্বজনপ্রীতি।|| Flattery and nepotism.
আপনারা যারা চাকরি করেন তারা হয়তো জানেন কর্মস্থলে দুটো জিনিস খুব খারাপ লাগে। একটি হলো চাটুকারিতা এবং অপরটি হচ্ছে স্বজনপ্রীতি। প্রায় অধিকাংশ জায়গায় এই দুইয়ের উপস্থিতি বিদ্যমান এবং কাজের পরিবেশ নষ্ট করে। সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী তারাই হয় যারা একটু সৎ ভাবে চলতে চায়। মাঝে মাঝেই এগুলোর কারনে অনেকের চাকরি চলে যায়। আজ চিন্তা করলাম ব্যাপারটা নিয়ে একটু লিখা দরকার।
চাটুকারিতা হলো নিজের ঘৃন্য স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে কোন মানুষকে তেল মেরে এবং ভুলভাল বুঝিয়ে খারাপ কাজ করতে প্রলুব্ধ করা। চাটুকর প্রকৃতির মানুষ উপরে দেখতে হাসিখুশি এবং আন্তরিক কিন্তু ভেতরে ভেতরে এরা মানুষের সর্বনাশ করে ছেড়ে দেয়। এদের আপনি সহজে বুঝতে পারবেন না, এই লোকটি এধরনের কাজ করতে পারে। লোকগুলোর বাইরের হাসিখুশি চেহারার ভেতর চরম স্বার্থলোভী পশু লুকিয়ে রয়েছে। এরা যেকোন সময় যে কাউকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে চরম ক্ষতি করে রেখে দেবে কিন্তু আপনি বুঝতেই পারবেন না। তাই আমি এই প্রকৃতির মানুষকে ভয়ংকর ক্রিমিনাল বলি।
আরেক শ্রেনীর মানুষ রয়েছে যারা স্বজনপ্রীতি করতে ভালোবাসে। দেখবেন কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে কিছু অযোগ্য এবং ফাঁকিবাজ লোক বড় পদে বসে রয়েছে। এগুলো মূলত বড় বড় অফিসারদের আত্মীয় স্বজন, এদের তেমন যোগ্যতা না থাকলেও বড় দায়িত্ব পেয়ে যায়। কারন স্বরুপ স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, তার হয়তো মামা চাচা কেউ অফিসে বড় কোন পদে চাকরি করছেন। মূলত এরা ক্ষমতা এবং মামার জোর দেখিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে তো সেই বিকারগ্রস্ত মামাকে অফিসের সৎ লোকটির দিকে লেলিয়ে দিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করার উৎসবে মেতে উঠতে দেখা যায়।
আমি আবুল খায়ের সহ বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি এবং বিষয়গুলো খুব কাছ থেকে খেয়াল করেছি। প্রতিটি অফিস এধরনের চাটুকর এবং কিছু অযোগ্য লোক রয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই আমি অনেক সময় চাকরির প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করতাম। তবে জেনে খুশি হবেন একটা ব্যাপার যে, এই চাটুকর লোকগুলো শেষ পর্যন্ত কোন না কোন বিপদে এমনভাবে পরে যায় তাদের মানসম্মান আর থাকে না।
আর স্বজনপ্রীতির ব্যাপারে বলবো এই অযোগ্য লোকগুলোকে বড় পদে বসিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত যখন কোম্পানির বারোটা বাজিয়ে হাতে হাড়িকেন ধরিয়ে দেয় ঠিক তখনই টনক নড়ে মালিকের।
যাইহোক এই অসুস্থ মানসিকতার লোকগুলো হয়তো সাময়িক আনন্দে নেচে বেড়াতে পারে কিন্তু একদিন না একদিন চরম বিপদের মুখে পরে যায়।
এধরনের অস্থিকর পরিস্থিতিতে থাকলে কর্মস্থল পরিবর্তন করুন এবং সুস্থ পরিবেশে জীবিকা উপার্জনের চেষ্টা করুন।
নিশ্চয়ই খারাপ মানুষ তাদের কর্মফল ভোগ করবে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

https://twitter.com/emranhasan1989/status/1703820441071305106?t=r7av8YWkwkRB7TjsYRfdlg&s=19
ভাই আপনি আজকে যা লিখেছেন আপনার প্রত্যেকটা লেখা দিনের আলোর মতোই সত্য। চাটুকারিতা এবং স্বজনপ্রীতি, আমি স্বজন প্রীতি ভালবাসি কিন্তু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু চাটুকারিতা এটাকে আমি মন থেকে ঘৃণা করি। যেসব ব্যক্তিরা চাটুকারিতা করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে এদের মত জঘন্য ব্যক্তি পৃথিবীতে খুব কম আছে। আর এদের জন্য ভালো ভাবে যারা কাজ করে বা ভালোভাবে চলতে চাই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অসাধারণ লিখেছেন ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যেখানে চাটুকারিতা এবং স্বজনপ্রীতি লোকের সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে সৎবান ব্যক্তির টিকে থাকা খুবই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তেলো মাথায় তেল দেওয়ার লোকই থাকে আলাদা যাদের যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ যেটা সবার কাছে ঘৃণিত একটা কাজ। দারুন আলোচনা করেছেন ভালো লাগলো।
দারুন লিখেছেন ভাইয়া। এত সুন্দর করে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছেন দেখে কিন্তু বেশ ভালোই লাগলো। এখন তো স্বজন প্রিতী আর চাটুকারিতার প্রভাবে সমাজে চলাটাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। অফিস আদালতে তো টিকাই যায় না। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি ভাইয়া।
চাটুকারিতা এবং স্বজনপ্রীতি নিয়ে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। চাকরি ক্ষেত্রে এদেরকে বেশি দেখা যায়। এই দুই দলের কারনে তো মনে হয় মাঝে মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেই। তবে এরা চাটুকারিতা এবং স্বজনপ্রীতি যতই করুক না কেনো শেষমেশ কিন্তু তারা অনেক বিপদে পরে যায়। এবং তাদের চাকরি ও চলে যায়। আপনার জেনারেল রাইটিং পোস্ট আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
অনেক সুন্দর একটি টপিক আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তবে আমার মনে হয় এই বিষয়টি আমাদের দেশেই বেশি লক্ষ্য করা যায় কারণ আমাদের দেশে এত পরিমাণে দুর্নীতি হয় আর স্বজনপ্রীতি হয়ে যেটা অন্যান্য দেশে অনেকটাই কম।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.