হঠাৎ চট্টগ্রাম ভ্রমণ।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি সবাই ভালো আছেন, আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি মোটামুটি ভালো থাকার।
আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল সকাল সাতটায় একজন ড্রাইভারের ফোন কলের মাধ্যমে। আমার স্ত্রীর বড় বোন এতো দিন আমাদের সাথে ভালুকা বসবাস করে আসছিলেন, উনার ছেলের চট্টগ্রাম একটি চাকরি হয়েছে তাই তিনি চট্টগ্রাম শিফট হবেন। যাইহোক গতকাল রাতেই গাড়ি ঠিক করে রেখেছিলাম, সেই ড্রাইভার সকালে ফোন করে জানালেন তিনি আসতেছেন। যথারীতি আমি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে বোনের বাসার দিকে রওনা হলাম। ততক্ষণে যারা মাল স্থানান্তর করবেন তারা এসে উপস্থিত। কিন্তু সত্যি বলতে আমি তখনও জানতাম না আমাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে, কারন আপু বলেছিলেন তিনি একাই যেতে পারবেন। উনার ছেলে অসুস্থ থাকায় তারা চট্টগ্রাম চলে গিয়েছেন আগেই।
যথারীতি ট্রাক এলো এবং মাল উঠানো শুরু হয়েছে। আমি চিন্তা করলাম একজন মহিলা মানুষ এতো রাস্তা একা ভ্রমণ মোটেও নিরাপদ নয় এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। যাইহোক পরে সিদ্ধান্ত নিলাম তার সাথে আমি যাবো এবং তাকে পৌঁছে দিয়ে আবার চলে আসবো। আমার সিদ্ধান্তে তিনি খুশি হলেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
যাইহোক সকাল এগারোটায় বড় কাভার ভ্যানে যাত্রা শুরু করেছি আর এখন চট্টগ্রামের কাছাকাছি রয়েছি। রাস্তায় মোটামুটি জ্যাম ছিল তাই আমরা একটু লেটে পৌঁছাবো মনে হয়। যাইহোক গাড়িতে বসে পোস্ট লিখা ভীষণ কষ্টসাধ্য কাজ, যাইহোক পোস্টে ভুল থাকতে পারে দুঃখিত। আগামীকাল আবারো ভালুকায় ফিরবো ইনশাআল্লাহ। অনেক বড় একটা জার্নি হবে। সবার দোয়া কামনা করছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনার ভাতিজার চাকরি হয়েছে খুশির খবর। বাসা চেঞ্জ করা খুব কষ্টসাধ্য কাজ। আপনার আপুর সাথে গিয়ে ভালো করেছেন। আসলে বর্তমান দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। কখন কি হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। সব মিলে ভালো ভাবে আবারো বাসায় ফিরে আসেন এই কামনাই করি।
আপনার ভাতিজার চাকরি হয়েছে জেনে খুশি হলাম। তাই হঠাৎ চট্টগ্রাম ভ্রমণ করেছেন। আপনি আপুর সঙ্গে গিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন কেননা বর্তমানে সময়ে বাসা চেঞ্জ করা খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। নিরাপদ ভাবে আপনার কাজ সম্পন্ন করে বাসায় ফিরে আসেন এই কামনা করি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাবির বড় বোনের ছেলের চাকরি হয়েছে চট্টগ্রামে।তাই আপু চট্টগ্রামে শিফট হলেন।একা এতো পথ না যেতে দিয়ে ভালোই করেছেন।আপনি সুস্থ, স্বাভাবিক ভাবে ফিরে আসবেন বাড়িতে এমনটাই দোয়া করি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
দোয়া করবেন। আমি আবারও বাসার দিকে বেক করতেছি।