আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি গ্রামবাংলার একসময়ের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী মার্বেল খেলা নিয়ে আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে মার্বেল খেলা। গ্রামঞ্চলের ছেলেমেয়েদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা হলো মার্বেল খেলা। কোন কোন অঞ্চলে মার্বেল খেলাকে কড়ি খেলা বলে থাকে।বিশেষ করে আমাদের গ্রামে এই খেলাটি কড়ি খেলা নামে পরিচিত। মার্বেল খেলাটি শুধু জনপ্রিয় খেলা তা নয় এটা ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা।
গ্রামাঞ্চলে মার্বেল খেলাটি আনন্দের সাথে উপভোগ করতো মানুষ। সম্ভবত ৯০ দশকের খেলা হচ্ছে মার্বেল খেলা। আগেকার সময়ে দেখা যেত মাঠে-ঘাটে,কিংবা শহরের সরু সরু রাস্তায় দেখা মিলতো কিশোরেরা দল মিলে মার্বেল খেলা যোগ দিত। এই খেলা জমে ওঠার উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল।শীতকালেই গ্রামে ছেলেরা মার্বেল খেলায় ঝুকে পড়তো।আগেকার সময়ে যেমন মার্বেল খেলাটি আনন্দের উপভোগ করতাম। ঠিক বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মার্বেল খেলাটিকে প্রাধান্য দিতে চায় না। আজকাল এই খেলা তেমন দেখাও যায় না৷
 |  |
 |
মার্বেল খেলাটি সাধারণত ৫থেকে ৬ জন মিলে খেলা হয়ে থাকে। অথবা এরও অধিক খেলা যায়। এমন জায়গা দেখে নিতে হয় যে জায়গাটি সমান এবং খেলার জন্য উপযোগী। সমান নাহলে মার্বেল খেলা ধুসকর। এই খেলার জন্য নিদিষ্ট করে একটি ছোট গর্ত করতে হয়। এরপর গর্ত থেকে প্রায় ২০ হাত দুর থেকে একটি লম্বা আকারে দাঁড়ি টেনে সেখান থেকে গর্তকে নিদিষ্ট করে মার্বেল ছুড়ে দিতে হয়। এরপরে যে প্রথম হবে সেই এই গর্তে মার্বেল মারবে। গর্তে পড়লে এরপরে অন্যকে লাগানের সুযোগ থাকে এই খেলাটি মুলত ২০ পর্যন্ত করতে হয়। তারপর যে শেষে থাকবে সে চোর হবে। এভাবেই এই খেলাটি খেলতে হয়। এই খেলাটিকে সাধারনত এক ইঁদুর বলে থাকে গ্রাম্য ভাষায়।
আবহমান গ্রামবাংলার মার্বেল খেলা বা কড়ি খেলাটি বিলুপ্তপ্রায়। হয়তো বা কিছু অঞ্চলে এখনও মার্বেল খেলা দেখা যায়। কিন্তু একসময়ে এই মার্বেল খেলাটি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।এই মার্বেল খেলাটির সাথে অনেকের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই আগেকার সময়ে যে খেলা গুলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে হারিয়ে যেতে বসছে সেখেলা গুলো আমাদের পূনরায় জন্ম দেয়া। তাহলে আর হয়তো ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো হারিয়ে যাবে না।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
আমি ছোটবেলায় প্রচুর পরিমাণে মার্বেল খেলতাম।আমার কাছে অনেকগুলো মার্বেল ছিল। মার্বেল খেলা বেশ মজার একটি খেলা। আমরা ছোটবেলায় সবাই মিলে মার্বেল খেলা খেলতাম। আমাদের মার্বেল খেলা প্রতিদিন চলতো। আমরা প্রতিদিন বিকেলবেলা এই মার্বেল খেলা চালিয়ে যেতাম। এছাড়াও আমরা যে কোন সময় সুযোগ পেলে এ খেলা চালিয়ে যেতাম। আমরা এই খেলা বেশ মজা করে আমাদের এখানে খেলতাম। আমাদের বাড়ি থেকে এসব খেলা খেলতে নিষেধ করব তবু আমার চুপ চুপ করে এই মার্বেল খেলতাম। আমাদের এই খেলা খেলতে নিষেধ করা হতো তবুও আমরা এই মার্বেল খেলা চালিয়ে যেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে শৈশবের স্মৃতি মনে করে দেওয়ার জন্য। বেশ চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1702377025569431644?t=8hwhZv4_kVA-66shh-OYoA&s=19
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ।
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গ্রামের ছেলেমেয়েরা মার্বেল দিয়ে খেলতে খুব পছন্দ করে। তবে দুইজন থেকে শুরু করে যতজন হবে সবাই মিলেই মার্বেল খেলা যায়। আমরা ছোটবেলায় মার্বেল দিয়ে অনেক খেলেছি। কিন্তু এখন আর শৈশবের এই খেলা গুলো আমাদের মাঝে তেমনভাবে দেখা যায় না। এখন বেশিরভাগ বাচ্চাদের শৈশব মোবাইল গেমে কিংবা মোবাইল দেখেই কেটে যায়। গ্রাম বাংলার পুরনো এই খেলাটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
মার্বেল খেলা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে গ্রাম অঞ্চলে আগে এই মার্বেল খেলা অনেক জনপ্রিয় ছিল এবং যেখানে সেখানে এই মার্বেল খেলা দেখা যেত কিন্তু এখনকার সময় এরকম খেলা গুলো আর বেশিটা দেখা যায় না। এবং আমার কাছে এখনো এই মার্বেলা এক জারকিন এর মতো রয়েছে আমরা ছোট থাকতে এগুলো প্রচুর খেলতাম। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ।
মার্বেল খেলা দেখেই শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপু। আমিও মার্বেল খেলতে পারি, ছোটবেলায় অনেক মার্বেল খেলেছি। স্কুল ফাঁকি দিয়েও আমরা কয়েকজন মিলে মার্বেল খেলতাম। আগের দিনে এই খেলা খুবই জনপ্রিয় ছিলো। তবে এখন খুব একটা দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়া সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা ভার্চুয়াল জগতের সাথে সম্পৃক্ত। মোবাইলে আসক্ত, তারা কার্টুন দেখতে ব্যস্ত। গেমিং খেলতে ব্যস্ত। তাইতো এখন আর আগের যুগের খেলা চোখে পড়ে না। আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আমি অনেক ভালো মার্বেল খেলতে পারি। আমার কাছে এখনো দুই বোতল পার্বেল রয়েছে। এই খেলায় একটা আলাদা রকমের মজা আছে। কিন্তু এখনকার সময়ে এই মারবেল তেমন ছেলে মেয়েরা খেলতে চায় না। আপনি তো দেখি খেলার সকল নিয়ম কানুন জানেন।
ধন্যবাদ।
আমি ছোট বেলায় প্রায় মার্বেল খেলতাম।যদিও আমার মার্বেল মারা ঠিক মতো হতো না তারপরও খেলতে অনেক ভালো লাগতো।বড় বা ছোট ভাইদের সাথে খেলতাম আর না খেললে তাদের খেলা দেখতাম।ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশের জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে মার্বেল খেলা।কোন কোন জায়গায় আবার কড়ি খেলা বলে থাকে।আমি মার্বেল খেলা নামেই জানতাম।শহরে মার্বেল খেলা খেলতে দেখা যায় না।গ্রামে এ খেলাটি খেলা হয় বেশি।আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন মার্বেল খেলা নিয়ে।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই মার্বেল খেলা হয় এটি হলো একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী খেলা। মার্বেল খেলতে আমি অনেক ভালবাসি ছোটবেলায় অনেক মার্বেল খেলেছি এবং অনেক মার্বেল মানুষের কাছ থেকে জিতেছি। সেই স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন আপনি।আমি সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ জন মানুষের সঙ্গে মার্বেল খেলেছি আমার মনে আছে। যাইহোক মার্বেল খেলা সম্পর্কে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ।
আগে যখন ছোট্ট ছিলাম। তখন সবসময় মার্বেল নিয়ে থাকতাম। কারণ এটা খেলতে অনেক ভালো লাগতো। মার্বল দিয়ে আমরা গাই-বাছুর ও মাটিয়া দান খেলতাম। যেটা খেলতে কয়েকজন লাগতো। কিন্তু আমরা অনেকজন মিলে খেলতাম কারণ অনেকজন মিলে খেললে অনেক মজা হইতো। আর আপনার কাছে থেকে সেই পুরনো খেলাটা দেখে এ সেই ছোট্ট বেলার কথা মনে পড়লো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে মার্বেল খেলা শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।