ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

in Steem For Tradition2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।


ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা


IMG_20230915_104022-01.jpeg

গ্রাম অঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্য হলো মাটির চুলা। সেই প্রাচীন যুগ থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা মাটির চুলায় রান্না-বান্না করে থাকেন। এখন পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা মাটির চুলা ব্যবহার করে আসতেছেন। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো শহর অঞ্চলে মাটির চুলা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। কারণ শহর অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক চুলা বের হয়েছে। আর তারা সেই ইলেকট্রনিক চুলা বা গ্যাসের চুলায় রান্না-বান্না করে থাকেন। তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে ইলেক্ট্রনিক চুলা বা গ্যাসের চুলা প্রভাব পড়লেও খুব বেশি বিস্তার লাভ করেনি। এখনো গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষজন মাটির চলে রান্না-বান্না করে থাকেন। আর মাটির চুলা হলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলের অন্যতম একটি ঐতিহ্য।


IMG_20230915_103950-01.jpegIMG_20230915_104004-01.jpeg
আমি মানুষের মুখে যতটা শুনেছি বা নিজের যতটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতায় আমি বলতে পারি মাটির চুলার রান্নার স্বাদ আর গ্যাসের চুলা বা ইলেকট্রনিক চুলার রান্নার স্বাদ কখনোই এক নয়। মাটির চুলার যে কোন রান্নার স্বাদ ইলেকট্রনিক বা গ্যাসের চুলার রান্নার থেকে দ্বিগুন স্বাদ হয়ে থাকে। এইর মাটির চুলা রান্নার স্বাদ একমাত্র গ্রাম অঞ্চলের মানুষরাই বুঝতে পারে৷ এবং শহর অঞ্চলের মানুষরা সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত। আপনারা প্রায় লক্ষ্য করে থাকবেন শহরের মানুষেরা গ্রামের রান্নার অনেক প্রশংসা করে এর একমাত্র কারণ হলো মাটির চুলা।


IMG_20230915_104054-01.jpegIMG_20230915_104140-01.jpeg
ফটোগ্রাফি তে আপনারা যেই জিনিসটি দেখতে পারতেছেন এটি হলো ভাতের মার পাসানোর স্টান। এই স্টানটি আমি নীলফামারী জেলায় এক বন্ধুর বাসায় দেখলাম। আমাদের গ্রামে এরকম সিস্টেম আমি দেখিনি। তবে ভাতের মার পাসানোর জন্য এই স্টানটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই ভাতের মার পাসানোর জন্য স্টানটি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমি স্টানটি হাতে নিয়ে দেখেছি অনেক শক্ত এবং মজবুত। এই কাঠের তৈরি স্টানটি থাকার কারণে মহিলাদের ভাতের মার পাসানো খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। আমি চিন্তা করেছি বাড়িতে গিয়ে আমার আম্মুর জন্য ও এমন একটি ভাতের মার পাসানোর স্টান তৈরি করে দিব।


IMG_20230915_104038-01.jpeg

এই মাটির চুলা গুলাতে খড়ি দিয়ে রান্না করা হয়।এবং খড়ির আগুন রান্না শেষে অনেক সময় পর্যন্ত থাকে। আরে সেই আগুনে আলু পোড়া খাওয়ার অনেক স্মৃতি রয়েছে। গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি কিশোরের চুলার আগুনে আলু পোড়া খাওয়ার স্মৃতি রয়েছে৷ বিশেষ করে নতুন আলু যখন হয় সেই সময়টা বেশি আলু পোড়া খাওয়া হয়। এছাড়া গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা চুলার আগুনে আলু বা বেগুন পড়ে ভর্তা করতো। এখনো গ্রাম অঞ্চলে চুলার গুরুত্ব এখন আগের মতই রয়েছ৷ তবে খুব শীঘ্রই গ্রাম অঞ্চল থেকেও চুলার ব্যবহার কমে যাবে। বর্তমানে ইলেকট্রনিকের চুলা এবং গ্যাসের চুলার চাহিদা বৃদ্ধি পাইতেছে। তবে আমি চাই এই চুলার ব্যবহার যেন গ্রাম অঞ্চলে আরো অনেক বছর থাকে। প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।


আমার ফোনের বিবরণ
বিষয়ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা
ক্যামেরা মডেলrealme 9i
ফটোগ্রাফার@rubayat02
লোকেশনরংপুর বাংলাদেশ

প্রিয় বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা, আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে এখানেই বিদায় নিলাম, দেখা হবে আবার কোনো নতুন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।


FrDSZio5ZCzUamf35asauSgs1tnNGCc8exBrDii52qi3JqqaFB2GnW5yVNodCtswB8EedAbTMPKcxh8DGMNUdQWhdKqxc6HEzAbJHTjR23...YXDiJ1FhQMpcnzAZ1j5XwnEqTpNS9qvgZfTFzPvPYLS5hLMpKGysnXjXrfDNEPWom7c6NZLKkiYqXhmtfrqzFVcV2VwLKc5uz8S8HdSnbyd6MoqzNodFnqxPh8.png

-খোদা হাফেজ-

FrDSZio5ZCzUamf35asauSgs1tnNGCc8exBrDii52qi3JqqaFB2GnW5yVNodCtswB8EedAbTMPKcxh8DGMNUdQWhdKqxc6HEzAbJHTjR23...YXDiJ1FhQMpcnzAZ1j5XwnEqTpNS9qvgZfTFzPvPYLS5hLMpKGysnXjXrfDNEPWom7c6NZLKkiYqXhmtfrqzFVcV2VwLKc5uz8S8HdSnbyd6MoqzNodFnqxPh8.png


UF7UDccXmKiRkXceCavGEKH3TNDM65wJtxFfBvK53mUcMEN1RtxDtd2qctmxbj85zamfAyPuQoVu5pH2hQSYC82VLsES2d3cmZ8aKnsxxU...ZRqX57aCNfBEVr8xP4ZVQvXtGnN9RTYY3tTRTP3iJsec9qp2U7UVz8sdPRmeySEvfJ4wcrT5G4DKYMC3jwNKSbfqbxJiCzMFawmJqraZZFqesWqtUQ4fXishWN.png

IMG_20230513_190258.jpg

আমি রুবাইয়াত হাসান হৃদয়, সোনালী বাংলাদেশে আমার বসবাস, বাংলা আমার মাতৃভাষা, পেশায় আমি একজন ছাত্র এবং এর পাশাপাশি আমি Steem For Tradition কমিউনিটির নিয়মিত একজন সদস্য, Steem For Tradition কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি অনেক গর্বিত, কারণ আমি এখনে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি, আমার আগ্রহ, আমি বাংলার ইতিয্য এখানে নতুন করে ফুটিয়ে তুলবো, এছাড়াও আমি ফটোগ্রাফি, অঙ্কণ, রেসিপি এবং DIY পোস্ট করতে অনেক ভালোবাসি, এবং এটা মন দিয়ে মানি যে মানুষ মানুষের জন্য।

UF7UDccXmKiRkXceCavGEKH3TNDM65wJtxFfBvK53mUcMEN1RtxDtd2qctmxbj85zamfAyPuQoVu5pH2hC82VLsES2d3cmZ8aKnsxxU...ZRqX57aCNfBEVr8xP4ZVQvXtGnN9RTYY3tTRTP3iJsec9qp2U7UVz8sdPRmeySEvfJ4wcrT5G4DKYMC3jwNKSbfqbxJiCzMFawmJqraZZFqesWqtUQ4fXishWN.png

you can also vote for @bangla.witness witnesses

IMG-20230513-WA0000.jpg

VOTE for @bangla.witness

Sort:  
 2 years ago 

আমাদের গ্রামে এই মাটির চুলা এ নিত্যকার দিনের রান্না করার সবচেয়ে একমাত্র মাধ্যম। যেটা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে রান্না হয় না। সকাল হলে এ সেই মাটির চুলায় আগুন দিয়ে নানান ধরনের রান্না করতেছে। যেটস খেতেও অনেক স্বাদ। বর আপনি মাটির চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনি মাটির চুলা নিয়ে বেশ ভালো আলোচনা করেছেন। মাটির চুলা এখন আর তেমন একটা ব্যবহার করা দেখা যায় না। আগে সবার বাড়িতে মাটির চুলায় রান্না করা হতো। তবে এখন এটি আর কেউ সহজে ব্যবহার করতে চায় না কারণ এটি ব্যবহার করতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয়। এখন আধুনিক যুগে মানুষ রান্না করার জন্য গ্যাস এর চুলা ইলেকট্রিক চুলা এগুলো ব্যবহার করছে। কারণ এগুলো তে রান্না করা খুবই সহজ। খুব সহজ রান্না করা যায় বলে সবাই এখন এই চুলগুলো ব্যবহার করে রান্নার কাজ করে। তবে মাটির চুলায় যে রান্নার স্বাদ হয় সেই স্বাদ এই চুলা গুলোতে পাওয়া যায় না। সেজন্য অনেকেই এখনো মাটির চুলায় রান্না করে থাকে। মাটির চুলা আমাদের বিশেষ একটি ঐতিহ্য। মাটির চুলা তৈরি করার জন্য প্রথমে মাটি সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে সুন্দর করে এই চুলা তৈরি করা হয় এরপর এই চুলা শুকিয়ে গেলে কিছু নরম মাটি দিয়ে মুছে নিয়ে মসৃন করা হয়। এরপর এই চুলায় রান্না করা হয়। আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মাটির চুলা নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই,মাটির চুলা গ্রাম গঞ্জের ঐতিহ্য । গ্রামের মানুষ মাটির চুলায় রান্না করে, মাটির চুলার রান্না অনেক সুস্বাদু। আমার গ্রামের বাড়িতে এখনো মাটির চুলায় রান্না করা হয়। তবে আধুনিকতার ছোঁয়াতে মাটির চুলায় রান্না খবু একটা দেখা যায় না। গ্রাম কিনবা এখন শহরে ইলেকট্রিক চুলা এবং গ্যাসের চুলায় মানুষের চাহিদা বেশি। মানুষ এখন আগের মত কষ্ট করতে চায় না। তাইতো মাটির চুলায় রান্না করে না। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফী দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই মাটির চুলা যা আজ ও যুগ যুগ বছর ধরে বিরজমান রয়েছে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। তবে এই মাটির চুলায় রান্না করলে যে পরিমাণ স্বাদ পাওয়া যায় গ্যাসের চুলা বা ম্যাজিক চুলায় রান্না করলে এরকম স্বাদ পাওয়া যায় না। যাইহোক অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন গ্রাম অঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্য হলো মাটির চুলা।সেই প্রাচীন যুগ থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা মাটির চুলায় রান্না করে থাকেন।এখন পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা মাটির চুলায় রান্না করে আসছে।শহরেও মাটির চুলা অনেকের বাসায় আছে কিন্তু তা বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন নাম দেয়া কারণ সে চুলা গুলোতে ধোয়া হয়না।এবং দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে সে গুলো চুলা বানানোর এবং ব্যবহার করার অনেক নিয়ম আছে।ঠিকই বলেছেন শহরের বেশিরভাগ মানুষ গ্যাসের চুলা বা ইলেকট্রনিকস চুলায় রান্না করে থাকে।অনেকেই বলে মাটির চুলার রান্নার স্বাদ আর গ্যাসের চুলার স্বাদ আলাদা হয় তবে আমি কখনো এটা খেয়াল করে দেখিনি। আমার কাছে সব চুলার রান্নাই ভালো লাগে।ভাতের মার বসানোর৷ স্টান অনেক ধরনের অনেক নকশার হয় কাঠের বা লোহার ও হয়ে থাকে।আলু পোড়া আমিও ছোট বেলায় খেয়েছিলাম।অনেকেই বেগুন আর আলু পুড়ে ভর্তা করে।আমারও মনে হয়,মাটির চুলার ব্যবহার কমে যাবে গ্রাম অঞ্চলেও।মাটির চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।

 2 years ago 

প্রাচীনকাল থেকেই এখন পর্যন্ত এই মাটির চুলা ব্যবহার করা হয়।মাটির চুলা ঐতিহ্য বহন করে। মাটির চুলা সাধারণত গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। মাটির চুলায় রান্নার স্বাদ অন্যরকম হয়ে থাকে। মাটির চুলা আমাদের দেশের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। এই মাটির চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 2 years ago 

গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা ও মাড় পাশানোর স্ট্যান্ড নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন মাটির চুলার রান্নার স্বাদ আর ইলেকট্রিক চুলা রান্নার স্বাদ কখনোই এক নয়। আর মাড় পাশানোর জন্য আপনি যে স্ট্যান্ড আপনি দেখিয়েছেন আমাদের এলাকাতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে সেই স্ট্যান্ড ব্যাবহার করা হয়। চমৎকার লিখেছেন ভাই। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু

 2 years ago 

মাটির চুলা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বলা যায়। মাটির চুলা গুলো গ্রামগঞ্জের দেখতে পাওয়া যায়। মাটির চুলা প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত চলমান ভবিষ্যতে ও থাকবে এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।মাটির চুলা শহরে দেখা যায় কারন অনেক ইলেকট্রনিক জিনিস আসার পর থেকে মাটির চুলা শহরাঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। মাটির চুলায় রান্নার স্বাদ বেড়ে দেয়। মাটির চুলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু

 2 years ago 

ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। একটা সময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই এইরকম মাটির চুলা দেখা যেতো। তবে এখন আস্তে আস্তে এই মাটির চুলা সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো গ্রামের বেশীরভাগ বাড়িতেই মাটির চুলা আছে। এমনকি আমাদের বাড়িতেও মাটির চুলা আছে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া