The dairy game একটি অপরিকল্পিত বিবাহ অনুষ্ঠান 21 October 2023
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনারাই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে সব সময় ভালো লাগে আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে অপরিকল্পিতভাবে ভ্রমন করতে। অনেকদিন পর্যন্ত কক্সবাজারে আছি ভালো একটা দাওয়াত পাওয়ার অপেক্ষায়। অবশেষে গতকালকে যখন সন্ধ্যার বের হলাম দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তখন এলাকার এক পরিচিত নানা আছে যিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল মাঝপথে। আমার সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরল এবং বলল তোকে অনেকদিন যাবত খুঁজছি আমার মোবাইল ফোনটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে যোগাযোগ করতে পারছি না। নানা সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে বসতে পারলাম নানা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। এবং এই বিয়ের অনুষ্ঠানটির দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে খুঁজছিলেন। ভাগ্যক্রমের আমার সাথে তার দেখা হয়ে গেল। এইবার তুমি আমাকে আর ছাড়ছেন না আমাকে নিয়েই যাবেন। যেই চিন্তা সেই কাজ আর কোন চিন্তা ভাবনা না করে নানার সাথে চলে গেলাম বিয়ে বাড়িতে।
সম্পূর্ণ নতুন একটি জায়গা কক্সবাজারের বিভিন্ন থানাতে ভ্রমণ করলেও এখনো পর্যন্ত অনেকগুলো জায়গা আছে যেখানে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান রামুর ভারুয়া কালী এলাকা। মেইন রোড থেকে একটু ভিতরে যেতে হয় এই এলাকায় ভ্রমণ করতে হলে। আমরা প্রথমেই আমাদের কক্সবাজার স্টেশন থেকে সিএনজিতে উঠে গেলাম এবং একটা নদীর পাড়ে এসে দাঁড়িয়ে গেলাম। কক্সবাজার থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিটের মত। আমরা যেহেতু বিকালের পর পরেই রওনা দিয়েছিলাম ওই জায়গায় পৌঁছানোর পর প্রায় অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। গাড়িতে করে নদীর পাড় পর্যন্ত পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত জানতাম না অন্ধকারে নদী পার হয়ে যেতে হবে। যেহেতু ওখানে তেমন কোন লাইটিং এর ব্যবস্থা নেই তাই মোটামুটি একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম এরকম অন্ধকার অবস্থায় কিভাবে একটা নদী কিংবা খাল কিভাবে পার করব। নানাকে অনেকটা দুষ্টামির ছলে বললাম নদী পার হতে হবে এই কথাটা আপনি আমাকে বললে তো আমি আসতাম না। জয় জয় হোক মাত্র ৫ টাকা করে তিনজন ১৫ টাকার বিনিময়ে ছোট খালটা পার হলাম যদিও এটাকে নদী মনে করেছিলাম অন্ধকারে। খালটা পার হতে পাঁচ সাত মিনিটের মত সময় লাগলো। এরপর আমাদের আর কোন গাড়িতে উঠতে হয়নি পায়ে হেঁটে আমরা নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে গেছি ৭-৮ মিনিট হাঁটার পরে। যে বাড়িতে বিয়ের আয়োজন হয়েছে সেই বাড়িতে যাওয়ার আগে ভারুয়া খালি এলাকার বাজারটা একটু ভ্রমণ করে নিলাম। মোটামুটি অনেক বড়সড় একটা বাজার এবং প্রায় সব ধরনের জিনিস সেখানে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে বসে চা এবং পরোটা খেলাম এরপর আমরা আর রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
গ্রাম্য পরিবেশ হিসেবে মনে করেছিলাম ওটা মোটিক কম করে হলেও একটা ছোটখাটো মেহেদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তেমন কোন ডেকোরেশন কিংবা প্রস্তুতি দেখলাম না বোঝা যাচ্ছে তারা মেহেদী অনুষ্ঠানের কোন আয়োজন করেনি। ঘরোয়া পুরি দেশে শুধু মাত্র ঘরের মানুষগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল এবং তাদের জন্য হালকা খাবারের আয়োজন করেছে। অবশেষে পরিচিত কয়েকজন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সকাল বেলা যেহেতু বিয়েতে যেতে হবে তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চলে গেলাম। বিয়ে বাড়ির বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে লিখব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)