Better Life with Steem || THE DIARY GAME ||11-04-2025||"injoy Day
Bismillahir Rahmanir Rahim
Assalamu Alaikum wa Rahmatullah.
Hello Everyone
I am @anikkhan1
From #Bangladesh
কেমন আছেন আপনারা সবাই,আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার সারাদিন কাটানো সময় শেয়ার করব। আশাকরি আমার সারা দিনের সময় গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো শুরু করা যাক।
ঘুম ভাঙতেই দেখি মা ভোরের আলোয় ব্যস্ত—রান্নায় মগ্ন। এই দৃশ্যটাই শান্তির।
সকালবেলার সেরা উপহার—মায়ের হাতে রান্না হতে থাকা গরম ভাত আর ভাজি।
মা যখন রান্না করে, শুধু খাবার না—ভালোবাসাও মিশে যায় প্রতিটা পদে।
মায়ের যত্ন—ঘুম থেকে উঠে এমন দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয় সবার ক’জনের?
যতই বড় হই না কেন, ঘুম থেকে উঠে মায়ের রান্না করতে দেখা মানেই এক অদ্ভুত প্রশান্তি।
মা যেন ঘরের মায়াবী আলো, যার হাতে খাবার তৈরি হয় ভালোবাসা দিয়ে।
পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর যখন ছায়ার পাশে একটু বসি, মনে হয়—সব ক্লান্তি মুছে গেল। ছায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলেই বোঝা যায়, নিঃশব্দ ভালোবাসা ঠিক কেমন হয়।
ওর নরম নিঃশ্বাস, শান্ত বসে থাকা—মনে হয় যেন পৃথিবী একটু থেমে গেছে, শুধু ভালোবাসা বয়ে যাচ্ছে। খাবার শেষে ওর পাশে বসে একটু মাথায় হাত রাখলে, মনে হয় আমিও কারো প্রিয়! ছায়ার সঙ্গটা আলাদা—না কোনো শব্দ, না কোনো চাওয়া—শুধু অনুভবের একধরনের বন্ধন। ওর চোখে একটা ভরসা, একটা নীরব বন্ধুত্ব—যা শব্দের চেয়েও গভীর।
খাবার-দাবার শেষ করে ছায়ার সাথে কাটানো কয়েকটা মুহূর্ত—দিনের সবচেয়ে শান্ত আর সত্য সময়। ও পাশে থাকলেই বুঝি, জীবনে অনেক কিছু না থাকলেও কিছু সম্পর্ক অসীম হয়।
ছায়া কেবল একটা কুকুর না, ও আমার নীরব শ্রোতা, মনের কথা বোঝার একমাত্র সঙ্গী।
দিনের সব ব্যস্ততা শেষে, ছায়ার পাশে বসেই বুঝি—ভালোবাসা কোনো ভাষা চায় না।
আজ শুক্রবার, নামাজ শেষে মনে হলো একটু নিঃশ্বাস নিই। পুকুর পাড়ের একাকীত্ব যেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার জায়গা হয়ে উঠলো।
চারদিকে নিরবতা, মাঝে মাঝে পাখির ডাক—পুকুরপাড়ে একা বসে মনে হলো, এ শান্তিই আসলে জীবনের আসল সৌন্দর্য। দুপুরের নামাজ শেষে বিকেলের ছায়ায় বসে ছিলাম চুপচাপ—মনে হচ্ছিল, এই মুহূর্তটাই সবচেয়ে নিজের। পুকুরপাড়ে বসে হালকা বাতাসে ভেসে আসছিল পাতা ঝরার শব্দ, মনটা হালকা হয়ে গেল, অনেক দিনের চিন্তা যেন মুছে গেল।
একাকীত্ব কখনো কখনো বোঝায় না ‘অভাব’, বরং বোঝায় ‘সম্পূর্ণতা’—আজ বিকেলটা ছিল ঠিক তেমনই। পুকুরের পানি যেমন চুপচাপ, আমার মনটাও ছিল ঠিক তেমন—শান্ত, ধীর আর ভেতর থেকে পূর্ণ। নামাজ শেষে এমন এক বিকেল, যেখানে আমি, প্রকৃতি আর স্রষ্টার সাথে এক গভীর নিরব সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
মানুষের ভিড় থেকে দূরে, শব্দের বাইরে একটা বিকেল—পুকুরপাড়ে বসে মনটা শুধু বললো, এই তো আমি। সময় থেমে গিয়েছিল যেন, শুধু হালকা বাতাস, পাখির ডাক আর নিজের নিঃশ্বাস শোনা যাচ্ছিল। এমন এক বিকেল, যেখানে দুনিয়ার সব কোলাহল থেমে গিয়ে শুধুই মন কথা বলছিল অন্তরের সাথে।এভাবেই কেটে গেল আমার বিকেল বেলা।
সন্ধ্যায় ভাইদের পড়াতে পড়াতে মনে হচ্ছিল—এই ছোট ছোট সময়গুলোই একদিন বড় হয়ে উঠবে, স্মৃতির গভীরে রয়ে যাবে। ওদের চোখে যখন প্রশ্ন আর শেখার আগ্রহ দেখি, তখন নিজেকে অনেক বড় মনে হয়—জানি না শিক্ষক কিনা, তবে পথ দেখানো এক আপনজন তো বটেই। বইয়ের পাতায় যখন ব্যস্ততা, তখন সময়টা চলে যায় টেরও পাই না—হঠাৎ মা ডাক দিলেন, “আয়, খেতে আয়…” ওই ডাকেই যেন সারা দিনের শান্তি। পড়ানো শেষ করে খেতে বসার সময় মনে হলো—মা’র হাতে খাবার মানেই শুধু পেট ভরানো না, সেটা একেকটা ভালোবাসার গল্প। ছোট ভাইরা যখন পাশে খেতে বসে, তখন শুধু খাবার না, যেন আনন্দের একটা ছোট্ট উৎসব চলে। মায়ের মুখে হাসি, “তোর জন্য আলাদা করে রেখেছি”—এই একটা বাক্যেই লুকিয়ে থাকে দিনের সেরা উপহার। বইয়ের শব্দ থেকে ভাতের গন্ধে এসে থামা—সন্ধ্যার শেষে এমন এক পরিবেশ, যেখানে ঘরটাই হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক জায়গা। পড়ানো শেষে যখন খেতে বসি, মনে হয়—দিনটা মন্দ যায়নি, কারণ তৃপ্তি আছে কাজে আর ভালোবাসা আছে মায়ের আহ্বানে। ছেলেরা বুঝে উঠছে ধীরে ধীরে, আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি—এই অনুভূতি, খাবারের স্বাদের থেকেও তৃপ্তিকর। মা যখন ডাকেন, তখন খাওয়ার আগে থেকেই পেট ভরে যায়—কারণ ডাকটা শুধু আহারের না, সেটা যত্নের।
আজকের দিনটা যেন নিঃশব্দে কেটে গেল, কিন্তু ভেতরে ছিল অনেক শব্দ, অনেক গল্প।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। ইনশাআল্লাহ, আমি সক্রিয় থাকব এবং সবার সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করব। কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই জানাবো, আর ডিসকর্ড সার্ভারে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।