এখন হাতের নাগালেই "ঋক,ঋষি" স্টেশনারি দোকান। shy-fox 10% |abb-charity 5%

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা

সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।

স্টেশনারি দোকানে বিশেষ করে পেন, বই, নোটবুক, স্ট্যাপলার, ক্যালকুলেটর, পেন্সিল এবং পড়াশোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
তাছাড়া আজকাল স্টেশনারি দোকানে অথবা এই লেখন সামগ্রী দোকানে গ্রিটিংস কার্ড, বিয়ের কার্ড এবং গিফট কার্ড রাখার ফলে মানুষের এই দোকানের প্রতি উৎসাহ বেড়ে চলেছে।
photoCollageMaker_20230307_234924713.jpg

আমি যখন প্রথম এই এলাকায় আসি তখন মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাই, প্রথম যেদিন স্কুলে যাবে ওর খাতার প্রয়োজন তখন স্কুলের আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি দোকানেও খাতা কলম পেলাম না। যাকেই জিজ্ঞেস করি সেই বলে যে খাতা কলম চৌধুরী লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়,তাছাড়া আর অন্য কোথাও পাবেন না। চৌধুরী লাইব্রেরিতে যেতে টাকা এবং সময় দুটোরই প্রয়োজন আছে কিন্তু কিছু করার নেই প্রয়োজন তো আর বাধা মানে না তাই রিক্সা ভাড়া দিয়ে চৌধুরী লাইব্রেরিতে গিয়ে খাতা কলম কিনে আনলাম।তারপর থেকে ঢাকা থেকে আমার হাসবেন্ড একবারে খাতা কলম পাঠিয়ে দেয় যাতে করে আমাদের কোনো ভোগান্তি না হয়।

IMG_20230307_234703.jpg

IMG_20230307_234654.jpg

সেদিন মেয়েকে নিয়ে কোচিং এ যাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই একটা নতুন দোকান চোখে পড়লো,আ৷ চোখ পড়তেই দেখি দোকানের নাম ঋক,ঋষি স্টেশনারি,নাম টা দেখেই কেমন জানি চেনা চেনা লাগলো।তারপর গুটি গুটি পায়ে দোকানের দিকে এগিয়ে গেলাম আর গিয়ে দেখি দোকানের মালিক আর কেউ নয় সে আমার ভাগ্নী জামাই সবুজ। আমার জ্যাঠাতো বোনের মেয়ে পূজা ওর হাসবেন্ড এর নাম সবুজ। ঋক হচ্ছে সবুজের ভাগ্নের নাম আর ঋষি হচ্ছে সবুজ পূজার ছেলের নাম। ভাগ্নে ও ছেলের নামেই দোকানের নামকরণ করেছে।ব্যস্ততার কারনে অনেকিদন ওদের বাড়িতে যাওয়া হয়না তাই নতুন দোকানের কথা টা আগে থেকে জানতাম না।
IMG_20230307_234645.jpg

IMG_20230307_234449.jpg

দোকানে ঢুকলাম চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম খুব সুন্দর করে নতুন দোকান টা সাজিয়ে তুলেছে যা সকলের খুবই কাজে লাগবে,বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জন্য।এখন আর কোনো ছাত্র-ছাত্রীদের রিক্সা ভাড়া দিয়ে চৌধুরী লাইব্রেরিতে ছুটতে হবে না খাতা কলম বা অন্যান্য জিনিসপত্রের জন্য। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হাইস্কুল ও গার্লস স্কুলের মাঝামাঝি দোকান টি তাই দুই স্কুলের ছেলেমেয়েরা এই দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারবে।
IMG_20230307_234449.jpg

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমার কিছু জিনিসের দরকার ছিলো যা আমার বাসায় ছিলো না। সেদিন শুক্রবার সব দোকানপাট বন্ধ কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না হঠাৎ করেই মনে পড়লো যে সবুজ কে ফোন দিয়ে দেখি তো পাওয়া যায় কি না। সবুজ কে ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই বললো ঠিক আছে আমি দোকানে যাচ্ছি,মেয়েদের পাঠিয়ে দিলাম যা যা দরকার সবকিছু ওর দোকান থেকে নিয়ে আসলো আর তাই সাথে সাথেই ডাই পোস্টের কাজ শুরু করে দিলাম। ঘন্টা দুয়েক পর আবার মনে পড়লো একটা এন্টি কাটার খুবই দরকার,আবারও সবুজ কে ফোন দেওয়া হলো ও দুপুরে খেয়েদেয়ে রেস্ট করছিলো বোধহয় কিন্তু আমার ফোন পাওয়ার সাথে সাথেও আবারও দোকান খুলে আমার প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়।পরে অবশ্য আমার বিষয় টি খুবই লজ্জাজনক মনে হয়েছে,যে ভাগ্নী জামাই বলে তার উপর এতো অত্যাচার করা টা মনে হয় আমার ঠিক হয়নি।
IMG_20230307_234625.jpg

IMG_20230308_003450.jpg

IMG_20230307_234401.jpg

IMG_20230307_234344.jpg

যতবারই ওর দোকানের সামনে দিয়ে যাতায়াত করি ততবারই দেখি দোকানে ছেলে-মেয়েদের অনেক ভীড়। একে তো এরকম দোকান আশেপাশে আর একটাও নেই তার উপরে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় তাই সবাই নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্যেই দোকানে ভীড় জমায়। হাতের নাগালে এরকম দোকান হওয়াতে সকলেই কত যে উপকৃত হয়েছে তা বলার মতো নয়।ঋক,ঋষি স্টেশনারি দোকানের সাফল্য কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগ টি এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।

IMG_20230307_234749.jpg

ধন্যবাদ সবাইকে।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNtz39XCnYMDYouKA1uXsSHWbLXe5FajaYqjbdwiQZyKeh8vtrwrsmC8RXcg47BzPx9MA4chBBk.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WD38ZqUeRnVUECQkCUtERy26TtJgXchPPruCuG4aYFBuTAMzpZcSvvMhve24nx82PpqjRpciui4qTvoaVEYW.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

Sort:  
 2 years ago 

আপু, একদম ঠিক বলেছেন, প্রয়োজন তো আর বাধা মানে না। আর তাই যে কোন জিনিসের প্রয়োজন হলে দূরত্ব যতই হোক না কেন সেই জিনিসের জন্য তো যেতেই হবে। তবে ভালো লাগলো জেনে আপনার হাতের কাছে দোকানটি পেয়ে গেছেন বলে। আপনার পোস্ট পড়ে দোকানটির নাম রেখেছে কার কার নামে তা জানতে পারলাম। ছেলে ও ভাগিনার নামে এই দোকানের নামকরণ করেছে। দোকানটিতে দেখলাম প্রয়োজনীয় সকল জিনিস রেখে দিয়েছে। যাইহোক আপু, হাতের নাগালে ঋক,ঋষি স্টেশনারি দোকান নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

জ্বি ভাইয়া কোনোকিছুর প্রয়োজন পড়লে তা যতদূরেই হোক না কেনো আনতে যেতেই হবে। এখন হাতের নাগালের মধ্যে সবকিছু পেয়ে যাচ্ছি এটা অনেক বড় রকমের সুবিধা।সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।

 2 years ago 

দরকারের সময় যে কিছু হাতের কাছে পাওয়া যায় না তা আরেকবার প্রমান হল। প্রতিযোগীতার জন্য জিনিস তৈরি করতে গিয়ে আমিও এমন বিপদে পড়েছিলাম।অনেক সুন্দর ভাবে দোকান টির রিভিউ লিখেছেন।ধন্যবাদ কাকিমা।

 2 years ago 

হ্যাঁ তাই হয় কাজের সময় দেখবা এটা নেই সেটা তখন খুবই রাগ লেগে যায়।এখন হাতের কাছে দোকান হওয়াতে দৌড়ে গিয়ে আনতে পারছি তাই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

কিছু সামগ্রী ওখান থেকে আমায় কিনে দিলে মাইন্ড করবোনা😝।
বাসায় আসলেও ওদিক খুব একটা যাওয়া পরেনা।তাই দোকানটা দেখিনি।তবে এটা বেশ ভালো একটা কাজ হয়েছে দুপাশের স্টুডেন্টদের জন্য।
ভালো ছিল সবমিলিয়ে, শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

আচ্ছা আচ্ছা, কিনো দিবো আর তুমি যখন টাকা দিবা,সেই টাকা নিতে আমিও একটুও মাইন্ড করবো না। 🤣🤣 একদিন ঘুরতে ঘুরতে চলে আসিও ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

দোকান টা আমিও দেখেছি।আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে।আপনি ঠিকই বলেছেন আগে খুবই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে অনেক দূরে যেতে হতো।এখন হাতের কাছেই পাবো।যাইহোক আমারও কিছু রঙের দরকার। যেতে হবে একদিন।

 2 years ago 

হ্যাঁ এখন কয়েক পা হেঁটে গেলেই হাতের নাগালের মধ্যে সব প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো পেয়ে যাচ্ছি এটা খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাবি।