স্কুইড গেম এবং এক নিদারুণ বাস্তবতা।।

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ২৯ ই জুন ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000582609.jpg

Source


গতকাল নেটফিক্সে মুক্তি পেয়েছে স্কুইড গেম ওয়েব সিরিজের সিজেন-৩। সাধারণত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সবচাইতে আলোচিত একটা সিরিজ। কারণ এটার প্রেক্ষাপট কাহিনী সবকিছুই ছিল আলাদা। গতকাল আমার শেষ পরীক্ষা ছিল। সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ। এখন কাজ সুন্দর একটা সিরিজ দেখা। আর গতকালই মুক্তি পেয়েছে সিজেন-৩। গতকাল পুরো ৬ ঘন্টার সিরিজ শেষ করেছি। যদিও বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। তবে একটা দারুণ ব‍্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি সিরিজের মধ্যে যেটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেও একেবারে বাস্তব। কাহিনী থ্রীলার ইমোশনাল টাচ সবকিছুই ছিল এই এপিসোডে। গেমস এর নিয়মে পড়ে যখন একে অন‍্যকে মেরে ফেলছে অর্থাৎ প্রতিটা গেম শেষে অনেকেই মারা যাচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে।

কারণ গেমস এ এলিমিনেটেড হলেই মৃত্যু। সেখানে সবাই সুযোগ পেয়েছিল প্রতিটা গেমস শেষে। যে তারা চাইলেই বন্ধ করতে পারে এই খেলা। এবং যতটা পুরষ্কার জমা হয়েছে সেটা নিয়ে বের হয়ে যেতে। প্রতিটা গেম শেষে ভোটিং হয়। যদি ভোটিং এ অধিকাংশ মানুষ খেলা বন্ধ করার পক্ষে ভোট দেয় তাহলে সবাই বেঁচে ফিরবে। খেলায় যা পুরষ্কার জমা হয়েছে ঐসময় পর্যন্ত হয়েছে সেটা নিয়ে তারা চলে যাবে। কিন্তু অধিকাংশ সদস‍্য সেখানে টাকার লোভে পড়ে গেমস চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। অর্থাৎ তারা জানে গেমস চালিয়ে যাওয়ার অর্থ মৃত্যু। কিন্তু তারপরও অধিকাংশ টাকার লোভে ভোট দেয় গেমস চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। অর্থাৎ তারা জেনে বুঝে ভুল জায়গাই ভোট দেয়। এটা আমাদের অধিকাংশ মানুষের সাইকোলজি বলতে পারেন অভ‍্যাসও বলতে পারেন।



এইবার আসি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমাদের দেশে যখন জাতীয় নির্বাচন হয় তখন আমরা তো একই কাজ করি। আমাদের সামনে ভালো খারাপ দুইটাই থাকে। যদিও আমি ভালো কাউকে দেখি না। কিন্তু অধিকাংশ সময় আমরা খারাপ টাকেই নির্বাচন করি। ভোটিং করার সময় ভালো আদর্শ শিক্ষিত এগুলো আমাদের মাথায় থাকে না। অধিকাংশ জনগণ দলীয় প্রতিক দেখে সাময়িক স্বার্থের জন্য ভোট দেয়। সেই প্রতিকের ব‍্যক্তি অসৎ দূর্নীতিবাজ হলেও সমস্যা নাই। খুবই সীমিত সংখ্যক মানুষ থাকে যারা ভোট দেওয়ার সময় ভালোটা নির্বাচন করে ঠিক ঐ স্কুইড গেমস এর মতো। এখানে সমস্যা ঐ গেমস এর সদস‍্যদেরও না আবার আমাদেরও না। সমস্যা হলো গণতান্ত্রিক পন্থা। আপনারা বলতেই পারেন যেখানে পৃথিবীর সবাই এই গণতান্ত্রিক পন্থা চাই গণতন্ত্র চাই তাহলে আমি কেন এটার বিপক্ষে বলছি।

আমি ঠিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে না। আমি চলমান গণতান্ত্রিক সিস্টেমের বিরুদ্ধে। যেসব দেশের মানুষ খুব একটা শিক্ষিত না। ধর্মের নাম দিয়ে খুব সহজেই যাদের ভোট কেনা যায়। সেসব দেশে গণতন্ত্র একেবারেই বৃথা। প্রচলিত গণতন্ত্রে জনগণ সবসময় ভুল মানুষকেই নির্বাচিত করে। অর্থাৎ মানুষ জেনে বুঝেই ভুল করে। ঠিক যেমন নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয় স্কুইড গেমের খেলোয়ার রা। আমরাও তো ঐ একই কাজ করছি শুধুমাত্র একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। গণতন্ত্রের সিস্টেম টা আমার কাছে এইজন্যই পছন্দ না কারণ যদি একটা ভুল জিনিস কে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন বলে ঐটা ঠিক তাহলে ঐটাকেই ঠিক ধরে নেওয়া হয়। বাস্তবে কিন্তু ঐটা ভুল। ভুলকে ভুল জেনেও সঠিক ধরে নেওয়ার নামই গণতন্ত্র।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png