স্কুইড গেম

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম।কেমম আছেন সবাই?
‎আপনারা আনেকে হয়তো স্কুইড গেম মুভির নাম শুনেছেন।এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় একটি সিরিজ।এটি জনপ্রিয় হওয়ার একটি বিশেষ কারন ছিলো এটার মুভিটার নামের সাথে খেলাধুলা(গেম) জড়িত ছিলো।এটি প্রকাশিত হয় ২০২১ সালে।সে সময়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট নেটফ্লিক্স এ বেশ নাম কামিয়েছিলো।২০২৪ এ তাদের পার্ট ২(সিজন-১) মার্কেটে আসে।মিলিয়ন -মিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জন করে এই মুভি।

‎মুভির কিছু অংশ নিয়ে আলোচনা করি।ভবঘুরে মানুষদের নিয়েই এই সিরিজ পরিচালিত।যারা মূলত গরিব,অসহায়,অলস তাদেরকে রহস্যময় খেলায় অংশ গ্রহন করতে হয়।বিজয়ীকে ৫০ বিলিয়ন দেওয়া হয় এমন একটি চিত্র শেষে দেখা যায়।খেলাধুলার অংশটি আমার কাছে খুবই সহজ মনে হয়েছে।তবে এখানে ভুল করলেই মৃত্যু।পালানোর কোনো রাস্তা নেই।আবার আপনি ভুল করেও বাঁচতে পারবেন না।ধীরে ধীরে বোঝা যায় যে এই খেলাটা ধনী লোকদের জন্য বিনোদনের মাধ্যম, আর দরিদ্রদের জন্য জীবন-মরণের সংগ্রাম। মূল চরিত্র যিনি অভিনয় করেন তার প্রচুর অর্থ ঋন থাকে এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে খেলায় অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত তিনি সব বাধা পেরিয়ে বিজয়ী হন, কিন্তু সেই বিজয়ের সুখ তিনি সত্যিকারের উপভোগ করতে পারেন না, কারণ অসংখ্য মানুষের মৃত্যু তার চোখের সামনে ঘটে গেছে।কাহিনি সহজ কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।চরিত্রগুলো বাস্তবতার সাথে মিলাতে পারাযাই বলেই এটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলো।

Screenshot_20250818-065712.jpg

‎রিয়েল লাইফে এটা কি হতে পারে?
‎উত্তর:পারে।রিয়েল লাইফের স্কুইড গেমটি ছিলো দক্ষিণ কোরিয়াতে।ব্রাদ্রাস হোম নামে একটি
‎নিষিদ্ধ এরিয়াতে এটার পরিচালিত হয়েছিল।পর্দার গেম থেকে এটা বেশি মারাত্মক ছিলো এবং ভয়ংকর ছিলো।এখানে মানুষ বাঁচার জন্য আপেক্ষা করতো না মৃত্যু জন্য তারা বেশি আশা করতো।এখান থেকে কিছু মানুষ বেঁচে ফিরে এসেছিলেন তাদের বর্ননাতে এগুলো ভেষে ওঠে।১৯৫০-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ২ কোরিয়ার ভিতরে যুদ্ধ চলমান থাকে।যুদ্ধ শেষ হবার পরে দক্ষিণ কোরিয়াতে উদবাস্তু, ভিক্ষুক,বাড়িহীন মানুষের ভিড় হতে থাকে রাস্তাঘাটে।আন্যদিকে তাদের সরকার বিদেশে তাদের বেশ দাপট দেখাচ্ছিল।১৯৬৩ সালের দিকে রিহ্যাব নাম দিয়ে সরকার একটি পোজেক্ট খুলে যেকানে বলা হয়েছিল রাস্তায় পড়ে থাকা সমস্ত মানুষদের শিল্টার দিবে বা ইত্যাদি।সেই অনুযায়ী টিম ও গঠন করা হয়।কিন্তু ওই টিম রাস্তা থেকে যারে পাচ্ছিলো ধরে নিয়ে আসতে থাকে।এটা আরো জোড়ালো হয় ১৯৮৬ সালে কারন তখন এশিয়া গেমসের দায়িত্ব পায় দক্ষিণ কোরিয়া।তখন তারা নিজেদের সুনাম বাড়ানোর জনয় এই কাজটি আরো দ্রুত করতে শুরু করে।যাইহোক ১৯৯০ এর পরে এক বিখ্যাত আইনজীবী এই গঠনার তদন্তে হাত দেন এবং তিনি সকল রিহ্যাবগুলো সরকারিভাবে বন্ধের উদ্যোগ নেন।


Screenshot_20250818-065923.jpg

Screenshot_20250818-065743.jpg

নোট: ছবিগুলো you-tube থেকে সংগ্রহ করা
ধন্যবাদ।

logo (bangla blog).png

arif red.jpg

আমি-আরিফুল ইসলাম।স্টিমিট আইডি-@apulam. জাতীয়তা:বাংলাদেশী।বর্তমানে আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত ডিসিপ্লিন এ ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।২০২৫ সালের ফেব্রয়ারি মাসের ৪ তারিখে যুক্ত হয়েছি।ফটোগ্রাফি করার প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে।পাশাপাশি ভ্রমন পছন্দ করি।স্বপ্ন দেখি বিশ্ব ভ্রমন করার।