৫ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড
29-01-2024
১৫ মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
শুভ সকাল 🌼। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকাল সকাল চলে এলাম খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা হয়তো জানেন যে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হয়েছে। প্রতিবছরই ঘরোয়া লিগ হয়ে আসছে। তবে আগের মতো তেমন উত্তেজনা নেই মাঠে! আগে বিপিএল অনেক আগ্রহ নিয়েই দেখতাম। তবে এবারে তেমন আগ্রহ কেন জানি নেই! কুমিলা আর ফরচুন বরিশালের বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখছিলাম এরপরে আর দেখিনি। তো যায়হোক, আপনাদের সাথে পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড এর মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেয়ার করেছিলাম। তো আজকে ৫ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেয়ার করবো। যদিও ম্যাচগুলো ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। পাচঁ ম্যাচ সিরিজের চারটিতেই হেরেছে পাকিস্তান। তাদের শুধু হোয়াইটওয়াশ ফেরানোর পালা ছিল! শেষ ম্যাচ হেরে গেলে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাবে।
তো শেষ ম্যাচে পাকিস্তান টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তান এর আগের সবকটি ম্যাচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে হিসেবে আমি বলবো টসে জিতে ব্যাটিং করার দরকার ছিল পাকিস্তানের! শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে হাসিবুল্লাহ খান ও রিজওয়ান! আগের ম্যাচে ইনজুরিতে পরেছিল আইয়ুব। এজন্য আইয়ুবকে বসিয়ে হাসিবুল্লাহ খানকে দলে নেয়া হয়। লিগে ভালো খেলেছে। শুরুতেই আউট হয়ে যায় হাসিবুল্লাহ খান! প্রথম ইনিংসটাকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেনি। টিম সাউদির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে হাসিবুল্লাহ খান। তারপর মাঠে নামে বাবর আজম। বাবর আজমকে সাথে নিয়ে রিজওয়ান দেখেশুনেই ব্যাটিং করতে থাকে। কিন্তু বাবর আজম শুরু থেকেই স্ট্রাগল করতে থাকে মাঠে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কম বলে বেশি রান করার ক্যাপাসিটি থাকা জরুরি।
কিন্তু বাবর আজম বেশি বল খেলে একটা চাপ তৈরি করে ফেলে। সুধির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে বাবর আজম। তারপর মাঠে আসে ফখর জামান। ফখর জামানের ব্যাটিং স্টাইল ভালো। হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান বলায় যায়। কারণ যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ রান হতে থাকে। ফখর জামান কম বল খেলে বেশি রান করে ফেলে। সেদিনের ম্যাচেও তাই হয়েছিল। রানের চাকাটা সচল রেখেছিল। তারপর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। ১৬ বলে ৩৩ রান করেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ফখর জামানকে। তারপর রিজওয়ানও আউট হয়ে যায়। তারপর তেমন কোনো বড় ইনিংস খেলতে পারেনি কেউ! শেষ অবধি পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ১৩৪ রানের।
বলতে গেলে নিউজল্যান্ডের জন্য লো স্কোরিং ম্যাচ! কারণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড বরাবরই সেরা। আগের চারটা ম্যাচের পরিসংখ্যান তাই বলে। ব্যাটিং করতে নামে ফিন এলেন ও রাচিন রবীন্দ্রা। আগের ম্যাচগুলোতে রবীন্দ্রাকে দেখা যায়নি। কিন্তু রবীন্দ্রা ১ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে টিম সেইফার্ট! কিন্তু তারা দুজনেও পার্টনারশিপ গড়তে ব্যর্থ হয়। ফিন এলেনকে জামান খান আউট করে দারুণ একটি সূচনা এনে দেয় পাকিস্তানকে। তারপর মাঠে আসে উইল ইয়াং! কিন্ত উইল ইয়াং বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। তারপর বলতে গেলে নিউজিল্যান্ড এর কোনো ব্যাটার পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। তবে গ্লেন ফিলিপস চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে চালিয়ে নেয়ার। কিন্তু শেষ অবধি ফিলিপসও ব্যার্থ হয়। শেষ অবধি নিউজিল্যান্ড এর ইনিংস থামে সব উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে। ৪২ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান জয় লাভ করে। ম্যান অফ দা ম্যাচ হয় ইফতেখার আহমেদ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share
পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আমার দেখা হয়নি। তবে ম্যাচের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে ম্যাচটি অত্যন্ত উপভোগ্য একটি ম্যাচ ছিল। দু'দলেই বোলিংয়ে দারুন দাপট দেখিয়েছে। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে পাকিস্তান। আর বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিঃসন্দেহে তদন্ত শক্তিশালী।
বর্তমানে পাকিস্তানের বোলিং ইউনিট আমি বলবো সবচেয়ে বাজে ভাই! আগের ম্যাচগুলোতে খারাপভাবে হেরেছে
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সুন্দর একটি খেলা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রিভিউয়ের মাধ্যমে। আসলে এই বিনোদন আমাদের সকলের জন্য প্রয়োজন মাঝেমধ্যে যদি খেলাধুলা দেখা হয় তাহলে মন ফ্রেশ থাকে। এখন যে দলকে সাপোর্ট করা হয় সেই দলের খেলায় কিন্তু টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তাদের হার-জিতের মধ্যে। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই খেলা রিভিউ দেখে।
আসলেই ভাই খেলা দেখলে ভালোই লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই