স্পোর্টস পোস্ট || বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের বিশাল জয়
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা জানেন যে,ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে। গত পরশুদিন পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে। টসে জিতে বাংলাদেশ দল ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু প্রথম থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। দলীয় ২৩ রানের মাথায় বাংলাদেশ দলের প্রথম সারির তিন জন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়। তানজিদ,শান্ত এবং মুশফিক আউট হওয়ার পর লিটন দাসের সাথে যোগ দেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
লিটন এবং রিয়াদ বিপর্যয়ের মধ্যেও ভালো ব্যাট করতে থাকে। তারা বিপর্যয় কাটিয়ে রানের চাকা বেশ ভালোই সচল করতে সক্ষম হয়। তখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ মোটামুটি বড় স্কোর গড়তে সক্ষম হবে। কিন্তু ২১ তম ওভারে দলীয় ১০২ রানের মাথায়, ইফতেখার আহমেদ এর স্পিন বলে লিটন দাস ৪৫ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যোগ দেয় রিয়াদের সাথে। সাকিব প্রচুর স্ট্রাগল করছিল শুরু থেকেই। রান পাচ্ছিল না একেবারেই। সাকিব প্রথম ৩৪ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১৩ রান নিতে সক্ষম হয়েছিল। তবে শেষের দিকে সাকিব কিছু রান পায়। যাইহোক ৩১ তম ওভারে দলীয় ১৩০/৫ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলে, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরতে থাকে।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
মাহমুদউল্লাহ ৭০ বল মোকাবেলা করে ৫৬ রান করে এবং সাকিব ৬৪ বল মোকাবেলা করে ৪৩ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ দল ৪৬ তম ওভারে ২৯ বল বাকি থাকতেই মাত্র ২০৪/১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। একসময় মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ২৫০+ রান করতে সক্ষম হবে, কিন্তু অল্প রানেই গুটিয়ে যায় তারা। পাকিস্তানের ৫ জন বোলার ই উইকেট পান। আফ্রিদি এবং ওয়াসিম জুনিয়র ৩ টি করে উইকেট তুলে নেয়। জবাবে ২০৫ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ফখর জামান উড়ন্ত সূচনা করেন। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫২ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান দল। দলীয় ২২ তম ওভারে ১২৮/১ রানের মাথায় শফিক ৬৮ রান করে, মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যায়।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
এরপর বাবর ব্যাট করতে নামে এবং একটু পর বাবর আউট হয়ে যায়। তারপর রিজওয়ান ক্রিজে নামার পর একটু পর, ফখর জামান ৮১ রান করে দলীয় ১৬৯/৩ রানের মাথায় মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। তারপর ইফতেখার আহমেদ যোগ দেয় রিজওয়ান এর সাথে। তারা দুইজন অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। মাত্র ৩৩ তম ওভারে পাকিস্তান দল ২০৫/৩ রানের টার্গেট চেজ করে, ৭ উইকেট এর বিশাল জয় তুলে নেয়। মিরাজ তিনটি উইকেট পায়। সেরা ব্যাটিং এর জন্য ফখর জামান ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই, খেলায় হার-জিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দল প্রতিটি ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হচ্ছে এবং একজন বাংলাদেশী হিসেবে, এমন পরাজয় কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তবুও শুভকামনা রইল বাংলাদেশ টিমের জন্য।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২.১১.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
ভাই পোস্টটা দেখে আবারও মন খারাপ হয়ে গেল। অবশ্য আপনার পোস্টটি ভাল ছিল। মন খারাপ হওয়ার কারণ ভাই বাংলাদেশের প্রতি যে আমরা আশাটা রাখি তারা সেটা কখনোই আমাদের পূরণ করতে পারতেছে না। সামান্য লড়াই টুকু করতে পারতেছে না। অন্যান্যদেশগুলি আফগানিস্তানের মত নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলি চোখে চোখ রেখে লড়াই করতেছে বড় বড় টিমের সাথে আর বাংলাদেশ তো এখন একটা বড় পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করি। আগে কিছুদিন আগে অনেক ভালো খেলতেছিল আশা ছিল অনেক। আজকে বোলিং ও ব্যাটিং কোন কিছুতেই লড়াই করতে পারে নাই এবং বাংলাদেশ বোলিং ভালো করে কিন্তু বরাবরের মতোই ব্যাটিং বিপর্যয়। খেলা দেখতে আর ইচ্ছে করেনা। আগে পরীক্ষা বাদ দিয়ে খেলা দেখতাম সবকিছু ফেলে খেলা দেখতাম এখন খেলার প্রতি আর তেমন আগ্রহ নেই। যাক আপনি অনেক সুন্দর একটি বিশ্লেষণ করেছেন।
আসলেই ভাই শ্রীলংকা, আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ড যেভাবে লড়াই করছে বড় দলগুলোর বিপক্ষে, সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আর বাংলার দামাল ছেলেরা খুবই বাজেভাবে প্রতিটি ম্যাচ হারছে,যা সত্যিই খুব হতাশাজনক। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই জাতীয় খেলা গুলো দেশের মানুষের খুবই কষ্ট দিয়ে থাকে। তবে বর্তমান বাংলাদেশের টিমে যে সমস্ত প্লেয়ার রয়েছে তাদের খেলা গুলো মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় দেশবাসীর জন্য। যাইহোক চমৎকার ভাবে আপনি খেলাটা রিভিউ করে দেখেছেন তাই ভালো লাগলো।
আসলেই ভাই ওদের পারফরম্যান্স দেখে বাংলাদেশের সবাই হতাশ। সবাই অনেক আবেগ নিয়ে বসে খেলা দেখার জন্য, আর প্লেয়াররা দর্শকদের মন একেবারে ভেঙে দেয়। যাইহোক পোস্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই এখন আর বাংলাদেশের খেলা দেখতে ইচ্ছা করে না। বাংলাদেশ যে এবারের বিশ্বকাপে এতটা খারাপ করবে সেটা ভেবে রেখেছিলাম যখনই তামিমকে বিশ্বকাপের থেকে বাদ দেয়া হয়েছিলো। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের খেলা দেখে তো হতাশ আমি। বাংলাদেশের জন্য এখন শুভকামনা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমাদের সবারই ধারণা ছিলো যে, বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুবই বাজে হবে এবারের বিশ্বকাপে। তবে প্রথম ম্যাচটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়লাভ করার পর, আশা করেছিলাম ভালো করবে বাংলাদেশ দল। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।