স্পোর্টস পোস্ট || ওভার কনফিডেন্স এর কারণে ম্যাচটি হেরে গিয়েছিলাম
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি স্পোর্টস পোস্ট শেয়ার করবো। অর্থাৎ সাউথ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় প্রতি বছরই আমাদের এরিয়া অর্থাৎ আনসান সিটির দুটি মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হতো। তো সেই টুর্নামেন্টে সাউথ কোরিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে দল গঠন করে খেলা হতো। তবে শুধুমাত্র আমরা বাংলাদেশীরা ই কয়েকটি টিম গঠন করে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতাম। আর টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হতো ইপিএস কমিউনিটি কর্তৃক। আসলে সাউথ কোরিয়াতে ইপিএস কমিউনিটি রয়েছে এবং ইপিএস কমিউনিটি বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করার পাশাপাশি, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে।
কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে
আজকে হঠাৎ করে গুগল ফটোস গুলো ঘাটাঘাটি করছিলাম। তো হঠাৎ করে ক্রিকেট ম্যাচের কয়েকটি ফটোগ্রাফি চোখে পড়লো। তাই ভাবলাম এটা নিয়ে একটা স্পোর্টস বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করা যাক। যাইহোক সেই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের একটি ম্যাচের গল্প এই পোস্টে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ম্যাচটি ছিলো দুরন্ত আনসান একাদশ এবং ইনছন ওয়ারিয়র্স এর। আমাদের টিমের নাম ছিলো দুরন্ত আনসান একাদশ এবং এই ম্যাচে আমরা ওভার কনফিডেন্স এর কারণে হেরে গিয়েছিলাম। তো সেই ম্যাচের কিছু গল্প এই পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এটা অবশ্য ২০১৫ সালের গল্প। যাইহোক সেইবার খুব সম্ভবত ১২ দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল। তো আমরা প্রথম রাউন্ডে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাই।
তখন ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছিল
দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিলো মাত্র একটি করে ম্যাচ। অর্থাৎ যে দল হারবে দ্বিতীয় রাউন্ডে সেই দল বাদ পড়বে। যাইহোক আমরা দুরন্ত আনসান একাদশ টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেই। ১৬ ওভারের ম্যাচ ছিলো। তো আমরা খুব সম্ভবত সেই ম্যাচে ১২৫/৬ রান করেছিলাম। বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা তো। তাই স্পষ্ট মনে নেই সবকিছু। আমাদের ওপেনিং জুটি বেশ ভালোই ব্যাট করেছিল। আমি দুই উইকেট পড়ার পর ব্যাট করতে নেমেছিলাম। খুব সম্ভবত তখন ১০ ওভারের খেলা চলছিলো। তো হাতে ওভার বেশি ছিলো না,কিন্তু বেশ কয়েকটি উইকেট হাতে ছিলো বলে,ব্যাটিং এ নেমেই আমি বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করলাম দলের স্কোর বড় করার জন্য। আমি সেই ম্যাচে একটি ছয় এবং তিনটি চারের সাহায্যে ১১ বল মোকাবেলা করে, ২৫ রান করে একটি স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হয়ে যাই।
এরপর বাকি ব্যাটসম্যানেরা মোটামুটি ভালোই ব্যাট করে। যাইহোক আমরা আগেই জেনেছিলাম, ইনছন ওয়ারিয়র্স এর দলে একজন খুব ভালো ব্যাটসম্যান রয়েছে। সেই ছেলেটার নাম হচ্ছে জীবন। তো আমাদের টার্গেট ছিলো জীবনকে দ্রুত আউট করার। আমরা ওদের ওপেনিং জুটি খুব তাড়াতাড়ি ভাঙ্গতে সক্ষম হই। তারপর জীবন ব্যাট করতে নামে। সে ব্যাটিং এ নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সেদিন। একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিলো ইনছন ওয়ারিয়র্স টিম। এক পর্যায়ে ৪৯ রানে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তখন খেলার ১০ ওভার চলছিলো। তো আমাদের দর্শক এবং টিমের সবাই ভেবেছিলাম যে ম্যাচটা আমরা খুব সহজেই জিতে যাবো। কারণ ৬ ওভারে তারা ৭৭ রান করতে পারবে না। তাছাড়া তাদের হাতে মাত্র ৩ উইকেট রয়েছে।
কথায় আছে না,ওভার কনফিডেন্স কখনোই ভালো নয়। আমাদের বোলার এবং ফিল্ডাররা তারপর থেকে এতো বাজে পারফরম্যান্স করা শুরু করলো,এতে করে প্রচুর রান নিয়ে ফেলে ইনছন ওয়ারিয়র্স টিম। আমাদের উইকেট কিপার মাহাবুব এর কারণে ৪/৫ টা চার পেয়ে যায় বাই রানে। শেষ পর্যন্ত লাস্ট ওভারে ১৫ রানের প্রয়োজন ছিলো। সেই রানও তারা নিয়ে ফেলে ১ বল বাকি থাকতেই। আমরা সেই ম্যাচে ৩ উইকেটে পরাজিত হই। মানে ওদের লাস্ট পার্টনারশিপ আমাদেরকে হারিয়ে দেয়। এমন জেতা ম্যাচ শুধুমাত্র ওভার কনফিডেন্স এর কারণে হেরে ভীষণ খারাপ লেগেছিল। বেশ কয়েকদিন টানা আফসোস হয়েছিল আমাদের। যাইহোক এই ম্যাচের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৬.১০.২০২৪ |
লোকেশন | আনসান সিটি,গিয়ংগিদো,সাউথ কোরিয়া |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে যদি অভার কনফিডেন্স হওয়া যায় তাহলে সেই কাজে কোন সময় সফলতা অর্জন করা যায়। ক্রিকেট খেলতে আমারও অনেক ভালো লাগে তাই তো মাঝে মাঝে যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করে দেয়। কোরিয়াতেও আপনারা এভাবে ক্রিকেট খেলেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
হ্যাঁ ভাই সাউথ কোরিয়াতে থাকতে প্রায়ই ক্রিকেট খেলতাম। পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অতিরিক্ত কোনকিছু ভালো নয় তবে কিছুটা আশা থাকা ভালো।যাইহোক আপনারা সাউথ কোরিয়াতে বাংলাদেশিরা মিলে টিম গঠন করে ক্রিকেট খেলতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।ভাইয়া 15 নম্বরের ফাঁকা জায়গায় নিশ্চয়ই আপনার নাম বসবে?হার-জিত নিয়েই খেলা তবুও আপনারা জিতলে ভালো হতো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার নাম তো লিস্টের মধ্যে ৫ নম্বরে রয়েছে। ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
ইস ভাইয়া, আমি দেখেও কি করে মিস করে গেলাম বুঝলাম না!হয়তো লক্ষ্মীপূজার তাড়াহুড়োতে, কিন্তু আমি আপনার পুরো নামটাই একত্রে খুঁজেছিলাম এইজন্য হয়তোবা।
লিস্টে আমার পুরো নাম লেখা হয়নি। শুধুমাত্র মহিন লেখা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।