পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেলো বাংলাদেশ।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। ২০২৫ সালের ২৮ মে পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এই সফরটি মূলত পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ হওয়ার কথা ছিল, তবে নিরাপত্তা ও উদ্বেগের কারণে তা তিন ম্যাচে সীমিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ দল ২৫ মে লাহোরে পৌঁছেছে। দলের কিছু সদস্য মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন, আগেই পাকিস্তানে ছিলেন কারণ তারা পাকিস্তান সুপার লিগে খেলছিলেন। গতকালের ম্যাচটি রোমাঞ্চকর ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান। বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল একটি বড় সুযোগ, কিন্তু কিছু বড় ভুল ও ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতা ম্যাচটি টাইগারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই দলটি। ফখর জামান মাত্র ১ রানে শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন এবং সিয়াম আয়ুব কোনো রান না করেই ফেরেন মাহেদী হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচ ও বোলিংয়ের মাধ্যমে। এরপর মাঠে নামে মোহাম্মদ হারিস ও অধিনায়ক সালমান আগাহ, যাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়িয়ে দেয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি আসে শাদাব খানের ব্যাট থেকে, যিনি মাত্র ২৫ বলে ৪৮ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়। এছাড়া হাসান নওয়াজ ২২ বলে ৪৪ রান এবং সালমান আগাহ ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন। দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ২টি বাকি সবাই যথাক্রমে ১টি করে উইকেট পান।
২০১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা করে দারুণভাবে। তানজিদ হাসান ১৭ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছয়। লিটন দাস ৩০ বলে ৪৮ রান করে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। তারা দু’জন মিলে পাওয়ার প্লেতে ভালো ভিত্তি গড়ে দেন। তখনই বাংলাদেশের দর্শকদের মনে আশার বানী জাগে।
তবে এরপর হঠাৎ ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। পারভেজ হোসেন ইমন মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান হাসান আলির বলে। তৌহিদ হৃদয় ও সোহান হোসাইন দ্রুত আউট হয়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ দিকে জাকির আলি কিছুটা চেষ্টা করে ২০ বলে ৩৬ রান করে, তাও যথেষ্ট ছিল না। পুরো দল ১৯.২ ওভারে মাত্র ১৬৪ রান করে অলআউট হয়ে যায়।
দীর্ঘ এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে হাসান আলি যেন পুরোনো দিনের মতই আগুন ঝরালো। তিনি ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করে দেন। তার এই পারফরম্যান্সই মূল পার্থক্য তৈরি করে দেয় দুই দলের মধ্যে।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা আবারও স্পষ্ট হলো। এত বড় রান তাড়া করতে হলে ওপেনিংয়ে বড় জুটি দরকার ছিল, যা হয়নি। মিডল অর্ডারেও ছিল আত্মবিশ্বাসের অভাব। বোলিংয়েও ছিল দৈন্যদশা। কেউ তেমন আক্রমনাত্তক বলিং করতে পারে নাই।
বাংলাদেশকে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে দ্রুত পরিবর্তন, স্পিন অপশন আরও কার্যকর করা এবং ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলার মানসিকতা তৈরি করা খুবই জরুরি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/RamimHa74448648/status/1928030732548747470?t=nkc0LUFByjN5rLu31Bkd2g&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1928030029167882451?t=yqT88xPmfbx9jovxtmgQMQ&s=19
এটা তো নতুন কিছু না ভাই। এটা তো এদের ধারাবাহিক কাজ। যতদূর দেখলাম প্রথমে রানের গতি বেশ সচল ছিল। কিন্তু ঐ ব্যাটিং বিপর্যয়। কেউ পরবর্তীতে ম্যাচের হাল আর ধরতে পারলো না আফসোস।