ঈদের আনন্দে ফুটবল যুদ্ধ, আফ্রিকান তারকায় সৈয়দাবাদের গৌরবময় জয়।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গত শুক্রবারে ঢাকা থেকে বহু প্রতীক্ষিত ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরে আসি। শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রিয় জনপদের শান্ত প্রকৃতি, খোলা আকাশ আর চেনা মুখগুলো দেখতে পাওয়ার আনন্দই আলাদা। বাড়িতে পৌঁছেই যেন ঈদের খুশি দ্বিগুণ হয়ে গেল। শনিবার আমরা পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিলাম। হাঁসি, কোলাকুলি, গরুর কোরবানি, মজার রান্না, আর আত্মীয়স্বজনদের আনাগোনায় দিনটি কেটে যায় উৎসবের আবহে।
ঠিক এই দিনেই জানতে পারি, আমাদের পাশের গ্রাম বাদৈর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক বহুল আলোচিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আমাদের প্রিয় সৈয়দাবাদ গ্রাম বনাম প্রতিদ্বন্দ্বী বিষ্ণুপুর গ্রাম। খেলার নাম শুনে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ জন্মে। কিন্তু এবার খেলার গুরুত্ব এবং আকর্ষণ ছিল একেবারে অন্য রকম।
দুই দলই এবারের টুর্নামেন্টে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্য এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেয়। নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন ও আরও কিছু আফ্রিকান দেশ থেকে পেশাদার খেলোয়াড় ভাড়া করে এনে নিজেদের স্কোয়াডকে করে তোলে আন্তর্জাতিক মানের। এমন ব্যতিক্রম আয়োজন আগেও কয়েকবার দেখা হয়েছে আমাদের এলাকায়। বিদেশি খেলোয়াড়দের উপস্থিতি যেন পুরো টুর্নামেন্টের মর্যাদা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে শুধু সৈয়দাবাদ বা বিষ্ণুপুর নয়, আশপাশের গ্রাম থেকেও হাজারো মানুষ গরম উপেক্ষা করে ছুটে আসে মাঠে খেলা দেখতে।
খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টায়। প্রচণ্ড রোদ আর গরম থাকলেও মাঠ ছিল কানায় কানায় ভরা। দর্শকদের চোখে ছিল উন্মাদনা, গলায় ছিল স্লোগান, আর হাতে ছিল পতাকা। দুই দলের সমর্থকদের গর্জনে পুরো মাঠ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।
প্রথমার্ধেই দুই দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে একে অপরকে টেক্কা দেয়। আফ্রিকান খেলোয়াড়দের গতি, পাসিং এবং ড্রিবলিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলছে। প্রথমার্ধে সৈয়দাবাদ ১-০ গোলে এগিয়ে যায়, তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে বিষ্ণুপুর গোল শোধ করে খেলা ১-১ করে ফেলে। এরপর উভয় দল আরেকটি করে গোল করে ২-২ অবস্থায় ম্যাচ শেষ হয়।
ফাইনাল ম্যাচে বিজয়ী নির্ধারণের জন্য খেলাটি গড়ায় টাইব্রেকারে। পুরো মাঠে তখন নিঃশব্দ উত্তেজনা। টাইব্রেকারের প্রতিটি শটেই হৃদস্পন্দন যেন থেমে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত, আমাদের প্রিয় সৈয়দাবাদ ৪-৩ গোলে ট্রাইবেকারে জয় লাভ করে। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ফ্রিজ।
সৈয়দাবাদের জয় মানেই শুধু একটি গ্রামের বিজয় নয়, বরং এটি ছিল ঐক্যের, পরিশ্রমের, এবং সাহসিকতার জয়। মাঠে, গ্যালারিতে এবং মাঠের বাইরেও সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাক ঢোল আর উল্লাসে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এমন একটা ফাইনাল খেলা অনেক দিন মনে থাকবে।
এই খেলাটি শুধু একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল না। এটি ছিল ঈদের আনন্দকে আরও রঙিন করে তোলার এক নিখুঁত উপলক্ষ। যেখানে গ্রামের মানুষ, বড়-ছোট, তরুণ-বৃদ্ধ সবাই একসাথে হয়ে উপভোগ করেছে প্রাণের খেলাটি।
আমরা চাই এমন আয়োজন আরও হোক, আমাদের তরুণরা খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করুক, আর আমাদের গ্রামগুলো হয়ে উঠুক ক্রীড়া ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৮.০৬-২০২৫ |
সময় | বিকাল-৫.১০ মিনিট |
স্থান | বাদৈর, কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1932275579082166400?t=bk8Zm_1MudfgSBSlwA48ww&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1932276095895957744?t=4kGRVUXHBH0I5mVT0IX-Gw&s=19