রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর দারুণ জয়!

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago

11-04-2025

২৮ চৈত্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়ে থাকেন তারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন আমু খেলা নিয়ে মাঝে মাঝেই আলোচনা করি। ইতোমধ্যে আইপিএল জমে উঠেছে। আর আইপিএল নিয়ে সবার আলাদা একটা উত্তেজনা কাজ করে। এবারের আইপিএল এর যে কয়টা ম্যাচ দেখেছি সবকয়টি ম্যাচেই আগে যারা ব্যাটিং করেছে তারা ২০০+ রান করেছে। তো আজকে আইপিএল এর ২০ তম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। ২০ তম ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুর এর মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান। তো টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হার্ডিক পান্ডিয়া! হার্ডিক পান্ডিয়া আগেরবারও ক্যাপ্টেন ছিল।

Screenshot_2025-04-08-16-40-27-83.jpg

Screenshot_2025-04-08-16-43-05-59.jpg

screenshot from Star Sports-1 HD

তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে সল্ট ও কোহলি! ব্যাঙ্গালুর একটা সুবিধা কি এই টিম অনেক রান সংগ্রহ করতে পারে। তবে বোলিং পারফরর্মেন্স তেমন ভালো না থাকায় বেশি রান করেও জিততে পারে না। এটা অবশ্য খারাপ লাগে। এবার বেঙ্গালুর এর ক্যাপ্টেন করা হয়েছে রাজাত পাটিদরকে। এটা অবশ্য পজিটিভই বলবো। ভিরাট কোহলি ক্যাপ্টেন থেকে আলাদা একটা প্রেসার থাকে। তাছাড়া ফ্রাঞ্চাইজি একটু ভিন্নতা নিয়ে আসলো। বেঙ্গালুর শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ওভারের দ্বিতীয় বলেই সল্ট আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে পাদিকাল! পাদিকালের ব্যাটিং স্টাইল যথেষ্ট ভালো। মাঠে থাকতে পারলে রান আসবে। ভিরাট কোহলি ও পাদিকাল মিলে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। মুম্বাইয়ের বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে।

Screenshot_2025-04-08-16-43-49-25.jpg

Screenshot_2025-04-08-16-45-11-61.jpg

Screenshot_2025-04-08-16-46-00-15.jpg

screenshot from Star Sports-1 HD

তবে বেঙ্গালুর দলীয় সংগ্রহ ৯৫ রান তখন পাদিকাল তখন ভিগনেশ পুতুরের বলে ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন রাজাত পাটিদর। তো রাজাত পাতিদর ও কোহলি দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকে। ভিরাট কোহলি ব্যক্তিগত অর্ধশত রান সংগ্রহ করে। ভিরাট কোহলি যখন ব্যক্তিগত ৬৭ রান করে তখন হার্ডিক পান্ডিয়ার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে লিভিংস্টন! শূন্য রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে জিতেশ শর্মা! জিতেশ শর্মা ও পাতিদর একের পর এক চার ছক্কা মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। পাতিদর ও শর্মা মিলে চমৎকার একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। বেঙ্গালুর দলীয় সংগ্রহ যখন ২১৩ রান তখন পাতিদর ব্যক্তিগত ৬২ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। শেষ অবধি জিতেশ শর্মার ৪০ রানের সুবাধে বেঙ্গালুর ২২১ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।

Screenshot_2025-04-08-16-46-46-30.jpg

Screenshot_2025-04-08-16-48-00-91.jpg

Screenshot_2025-04-08-16-52-13-63.jpg

screenshot from Star Sports-1 HD

তো ২২১ রান চেইস করে জেতাটা খুবই কঠিন। তবে বেঙ্গালুর এর বোলারদের বিশ্বাস করা যায় না। বেশি রান করেও বেঙ্গালুর জিততে পারে না। তবে দেখার। বিষয় ছিল বেঙ্গালুর কেমন বোলিং করে। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে রোহিত শর্মা ও রিকেলটন। রোহিত শর্মা হার্ড হিটার ব্যাটার। যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ রান হতেই থাকে। কিন্তু সেকেন্ড ওভারেই রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত ১৭ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে উইল জেকস! তো রিকেলটন ও জেকস দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকে। তবে মুম্বাইয়ের দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৭ রান তখন রিকেলটন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে সুরিয়াকুমার যাদব। তারপর দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৯ রান তখন জেকস আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে তিলক ভার্মা। তিলক ভার্মা দারুণ ব্যাট করে। যতক্ষণ মাঠে থাকবে ততক্ষণ রান আসতে থাকবে। তবে সুরিয়াকুমার যাদব সেদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। শেষের দিকে তিলক ভার্মার ৫৬ রান ও হার্ডিক পান্ডিয়ার ৪২ রানের সুবাধে শেষ অবধি মুম্বাই ইন্ডিয়ান ২০৯ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। ১২ রানের ব্যবধানে হেরে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান। ম্যন অফ দা ম্যাচ হয় রাজাত পাতিদর!



10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...