২০২৫ এর সোলার ফ্লেয়ার
প্রতি ১১ বছর পর পর সূর্য তার ম্যাগনেটিক ফিল্ড পরিবর্তন করে অর্থাৎ চৌম্বক ক্ষেত্র পরিবর্তন হয়। এই ১১ বছরের শেষের ১-২ বছর সূর্য এতটাই উত্তপ্ত থাকে যেটা আসলে আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না. এ সময়টা সূর্যের মধ্যে সান স্পট বিষয়টা খুব বেশি দেখা যায় কারণ সূর্যের ম্যাগনেটিক ফিল্ড যখন পরিবর্তন হয়ে যায় তখন তার সাথে সাথে যেসব সৌর ঝর পৃথিবী সূর্যের উপরে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ায়। সেগুলো একটি সৌরজগতের বিভিন্ন প্রান্তে আলোর গতিতে ছুটতে থাকে এবং সেসব সৌরঝড় হওয়ার যে কোন গ্রহ কিংবা উপগ্রহের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
এই সূর্য ঝড়ের সবথেকে বেশি শিকার হয়েছে বুধ গ্রহ। কারণ সূর্য থেকে অনেকটা কাছেই অবস্থান করছে এই গ্রহটি এর পরে শুক্র গ্রহ অনেকটা সূর্যের ঝড় সারভাইভ করেছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে বোধ গ্রহ কিংবা শুক্র গ্রহে কোন প্রাণীর অস্তিত্ব নেই। তারপরও সেই গ্রহেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং রেডিয়েশন লেভেল বেড়ে চলেছে। এছাড়াও আপনারা সকলেই জানেন শুক্র গ্রহ আমাদের এই সৌরজগতের সবথেকে উত্তপ্ত গ্রহ। এইসব কিছুর জন্যই সূর্যের তাপ এবং শুক্র গ্রহের তাপ ধারণ ক্ষমতাটা অনেক বেশি। তাইতো সেই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঝড় বইতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, আসন্ন ২০২৫ সালে এমন একটি সোলার ফ্লেয়ার সরাসরি পৃথিবীর বুকে আঘাত হানতে পারে। এমত অবস্থায় আমাদের পৃথিবীবাসীর জন্য কি ধরনের পরিস্তিতি অপেক্ষা করছে সেটা শুধুমাত্র সময় বলতে পারবে। আমরা শুধুমাত্র অনুমান করতে পারি। তবে এই রকম ঘটনাটি ও আজ থেকে আর ৪০০ বছর আগে ঘটেছিল যদিও। তখন খুব বেশি একটা ইলেকট্রিসিটি ছিল না কিন্তু তারপরও তখনকার সময়ে সমস্ত ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রগুলো নিজে নিজেই চলা শুরু করেছিল এবং অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস একদম মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আজ আমরা সকলেই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের উপর কতটা বেশি নির্ভর, আমরা সকলেই জানি। আজকের সময় যদি এরকম কোন তাহলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা ইলেকট্রনিক্স মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।