জেনারেল রাইটিংঃধোঁয়াশা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২৫শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।৮ই মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।
আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। সমসাময়িক বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে চেষ্টা করি। আজকের বিষয় ধোঁয়াশা। চৈত্র মাস প্রায় শেষ হতে চলছে।কয়েকদিন পরেই চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষ। বর্ষবিদায় ও নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে! এই সময়টা গরম পরে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। আমি এখনো গ্রামের বাড়িতে আছি। দিনে৷ গরম হলেও রাতে কিন্তু ঠান্ডা আবহাওয়া। মাঝে মাঝে এমন হয় পাতলা কাঁথা গায়ে দিতে হয়। কেন এমন হয়! হয়ত তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। আমি সে দিকে যাব না। আমার আজকের আলোকপাত ধোঁয়াশা নিয়ে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে বৃহত্তম দিনাজপুর -রংপুরের যে কোন জায়গায় ভোরে ঘন কুয়াশার মত আবরণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এটা কিন্তু কুয়াশা নয়। আবহাওয়াবিদরা এটাকে বলছেন ধোঁয়াশা। ধোঁয়া ও কুয়াশা থেকে এসেছে শব্দটি। ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয় বায়ূদূষণ থেকে।বিশেষজ্ঞরা ধোঁয়াশাকে বিষবাষ্প হিসেবে অবহিত করেছেন। তার বায়ুদূষণ এমনমাত্রায় পৌঁছে গেছে আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলও এখন নিরাপদ নয়।
কবির সেই ছায়া ঘেরা- পাখি ডাকা গ্রাম আর নেই। বন-জঙ্গল,খালবিল উধাও হয়ে যাচ্ছে। চাষাবাদে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার।জ্বালানি নির্ভর গাড়ী ব্যবহারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং যত্রতত্র ইটভাটার কারণে পরিবেশের এই বিপর্যয়। পরিবেশ নীতিমালা শুধু কাগজে কলমে আছে বাস্তবায়নের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। পরিবেশের এই দূষণ শহর থেকে গ্রামে কোথাও থেমে নেই। আগে ভাবতাম গ্রামে গেলে নির্মম বায়ূ পাব কিন্তু এবার এই ধোঁয়াশা দেখে সে আশায় গুড়েবালি। নির্মল বায়ূতে শ্বাস নেওয়ার আর জায়গা থাকলো না! আসুন গ্রাম থেকে শহরে পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলি। নিজে সচেতন হই অপরকে সচেতন করি। আমাদের পৃথিবীকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। সবাই ভালো থাকুন-নিরাপদে থাকুন।শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1909663171121758402
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
link
https://x.com/selina_akh/status/1909609700108460092
https://x.com/selina_akh/status/1909609294913556499
https://x.com/selina_akh/status/1909601012450468305
https://x.com/selina_akh/status/1909599236565721490
https://x.com/selina_akh/status/1909598097359224861
CMC

এই সময়টা তো আর কুয়াশার সময় নয় আপু। এ সময় যাক কুয়াশার মতো দেখায় তা ধোঁয়াশাই আসলে বর্তমানে পলিউশন এত বেশি বেড়ে গেছে বিশেষ করে কলকারখানা এবং নানান ধরনের যানবাহনের চলাচলের কারণে। আর কিছু বেশি থাকবে না বেঁচে থাকাই দায়।
ধোঁয়াশার বাড়াবাড়ি সত্যিই চিন্তার বিষয়। আমাদের পরিবেশের ক্ষতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে। আশা করি সবাই সচেতন হয়ে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসবে। লেখাটির জন্য ধন্যবাদ আপু।
দিন দিন যেভাবে কলকারখানা এবং অন্যান্য জিনিসপত্রগুলো বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে এর ফলে অনেক সময় পরিবেশের এত বেশি পরিমাণে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে যে পরিবেশ যেন শীতকালীন কুয়াশার মত হয়ে যায়। এই পরিবেশ দূষণ প্রতিনিয়ত যেন বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ এটি নিরাময়ের যেন কোন উপায় কেউ তৈরি করছে না এবং তৈরি করার জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে না৷ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷