আকাশের রূপরেখা
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।নতুন একটি টপিক নিয়ে আপনাদের মাঝে আবার চলে আসলাম।
আকাশের ভিন্নতা বলতে বোঝা যায় আকাশের ভিন্ন রং,অবস্থা, পরিবেশভেদে পরিবর্তন।সাধারণত আমরা আকাশ বলতে সাদা মেঘযুক্ত আকাশকে বুঝতে পারি।আজ একটি দিনের ৪ টি অবস্থা তুলে ধরি।
ভোরবেলা:
পাখির গুন,গুন ডাকের সাথে পশ্চিম আকাশটা আস্তে আস্তে ফর্সা হতে শুরু করে রাতের আধারের কালো ছায়া কেটে যায়।পশ্চিম আকাশে সূর্যমামা উঁকি দেয়।তার এই মলিন হাসি শুধু তারাই উপভোগ করে যারা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে পারে।গ্রামীন সমাজের মানুষ ভোারবেলা ঘুম থেকে উঠে।সকালের মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারে।আস্তে আস্তে তারা তাদের কর্মকাজে ফিরে যায়।সকালের আকাশ থাকে ফ্রেশ এবং সাদা মেঘময়।
দুপুরবেলা:
সূর্য ঠিক মাথার উপর থাকে।গ্রীষ্মকালে এটার মজা বেশি টের পাওয়া যায়।তীব্র গরমে সবার জন্য দুপুরবেলা ভালো লাগে না।গাছের পাতার ফাকে সূর্যের হাসির কিছু ফটোগ্রাফি দিলাম।
বিকালবেলা:
পড়ন্ত বিকাল বলতে সবাই বেশি পছন্দ করে।পড়তে থাকা বিকাল।সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে।তার লাল নীল আভা ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ কর্মব্যস্ত জীবন থেকে বাড়ি ফিরছে।এই সময়ে আকাশ তার প্রধান রং এ সাজতে দেখা যায়।নীল-সাদা রং এর মেঘ এর দল দেখতে পাওয়া যায়।তার সাথে আকাশে পাখিদের দলবেধেঁ বাড়ি ফেরার দৃশ্য সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর।বিশেষ করে শরৎ ত কালে আপনি এই বিষয়গুলো বেশি উপভোগ করতে পারবেন।মাঝে মাঝে এই নীল মেঘের সাথে হারিয়ে যেতে মন চায়।
সন্ধ্যাবেলা:
দিনের সমাপ্তি হয় এই সময়ে।সূর্য পুরোপুরি ডুবে যায়।শুধুমাত্র তার আভা (বিভিন্ন রং মিশ্রিত আকাশ) কে দেখতে পাওয়া যায়।কিছু সময় পড়ে বেলা একেবারে ডুবে যায়।আধার হতে শুরু করে।নদীর তীরে গেলে এই সময়টা সবচেয়ে বেশি ভালো উপভোগ করা যায়।মাঝ নদীতে নৌকায় উপরে বসে এই সময়টা উপভোগ করার মজাই আলাদা।
রাত:
চারদিকে আঁধার, ঝিঝি পোকার ডাক সবকিছু মিলিয়ে গ্রামীন রাত বেশ ভয়ানক।রাত একটু গভীর হলেই মানুষের আনাগোনা থাকে না।চারদিকে শুধু ভয় আর ভয়।তবে রাতের আকাশ পরিষ্কার।হাজারো তারার মাঝে একটি চাঁদ যেন হাসতে থাকে।ফুলের মতো বিছিয়ে থাকে তারা।
বি.দ্র:সামগ্রিক একটি রূপ দিয়ে একটি দিনের আকাশের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।প্রকৃতঅর্থে আমরা জানি ১২ মাস পরিবর্তনের সাথে আকাশের রূপের পরিবর্তন রয়েছে।ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি-আরিফুল ইসলাম।স্টিমিট আইডি-@apulam. জাতীয়তা:বাংলাদেশী।বর্তমানে আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত ডিসিপ্লিন এ ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।২০২৫ সালের ফেব্রয়ারি মাসের ৪ তারিখে যুক্ত হয়েছি।ফটোগ্রাফি করার প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে।পাশাপাশি ভ্রমন পছন্দ করি।স্বপ্ন দেখি বিশ্ব ভ্রমন করার। |